টেকনাফের স্থানীয় কাঁকড়া জাতীয় অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারে সহায়তা করছে

জাফর আলাম: টেকনাফে স্থানীয় দেশী কাঁকড়া শিকারী ও ব্যবসায়ীরা জাতীয় অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারে সহায়তা করলেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেনা। একটি চক্র এই পেশা নিয়ে চক্রান্তে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়-টেকনাফে ১৯৯৪সাল হতে আরকান রপ্তানীযোগ্য কাঁকড়া সরবরাহকারী সমবায় সমিতি (রেজিঃ নং-৪৯৩) বিস্তীর্ণ নাফনদী ও বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় এলাকা হতে হাজার হাজার কাঁকড়া
শিকারীর সহায়তায় প্রতিদিন শাহপরীর দ্বীপ, টেকনাফ পৌর এলাকা, হ্নীলা জাদিমোরা, চৌধুরী পাড়া, গোদাম পাড়া, মৌলভী বাজার, হোয়াইক্ষ্যংয়ের খারাংখালী, নয়াবাজার, কাঞ্জরপাড়া, উনছিপ্রাং, লম্বাবিল, উলুবনিয়া ও তুলাতলীতে ফিশিংয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত কাঁকড়া প্রক্রিয়াজাত করার পর ঢাকায় বিদেশে রপ্তানীকারকদের নিকট সরবরাহ করে। সেখান হতে সরকারকে পর্যাপ্ত পরিমান রাজস্ব দিয়ে বিশ্বের কাঁকড়া চাহিদা সম্পন্ন দেশ সমুহে রপ্তানী করছে। টেকনাফ, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সন্দ্বীপ, বরিশাল ও বরগুনা এলাকা হতে কাঁকড়া পরিবহনকারী যানবাহন হতে এ পর্যন্ত কোন চোরাই এবং অবৈধ পণ্য আটক হয়নি। টেকনাফ কাঁকড়া সমিতির সাধারন সম্পাদক বলেন-প্রতিমাসে আমাদের সমিতিভূক্ত কাঁকড়া ফিশিং হতে প্রায় কোটি টাকার কাঁকড়া ঢাকায় রপ্তানীর জন্য সরবরাহ করা হয়। এই খাত হতে সরকার বিপূল পরিমান রাজস্ব আদায় পূর্বক বিদেশে রপ্তানী করছে। যা জাতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করলেও শিকারী এবং সরবরাহকারীদের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। সুতরাং কাঁকড়া শিকার ও বিপনন সংশ্লিষ্ট পরিবার সমুহ প্রাকৃতিক উৎস হতে কাঁকড়া সরবরাহ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। সম্প্রতি সুবিধাভোগী একটি চক্র হ্নীলা চৌধুরী পাড়ার সংখ্যালঘু কাঁকড়া ফিশিং মালিক মংবুসে রাখাইন হতে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে না পেরে নাফনদী হতে সংগৃহীত কাঁকড়া নিয়ে অপ-প্রচার ও অপবাদে জড়িত করার পায়তারা চালাচ্ছে। সীমান্ত বিজিবির উপস্থিতিতেই নাফনদী হতে শিকারীরা কাঁকড়া শিকার করে থাকে। এখানে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কোন প্রশ্ন আসেনা বরং রাজস্ব আয়ে ভূমিকা পালন করছে। সুতরাং আগামীতে সম্ভাবনাময় এই ব্যবসা নিয়ে ষড়যন্ত্র ও অপ-প্রচার থেকে রক্ষার জন্য এই সমিতি সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন