গ্রেপ্তার হচ্ছেন সাকার পরিবারের সদস্যরা!

ডেস্ক রিপোর্ট :  ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে মৃত্যুদ- রায়ের খসড়া কপি রায় প্রদানের আগেই ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হচ্ছেন। এ রায়ের কপি ফাঁসের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী ও হুম্মাম কাদের চৌধুরী, আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলাম, ম্যানেজার, ফখরুলের সহকারী মেহেদী হাসান যে কোন সময়  গ্রেফতার করা হতে পারে।

রায় ফাঁসের ষড়যন্ত্রের পেছনে সংঘবদ্ধ ও দুষ্টচক্র জড়িত রয়েছে দাবি করে তা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে ঐ রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রায়ের খসড়া ফাঁসের ঘটনায় দোষ স্বীকার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন আলী। রায় ফাঁসের সঙ্গে এরা জড়িত আছেন বলে  জবানবন্দিতে তিনি উল্লেখ করেন। জবানবন্দি রেকর্ডের কপি পাওয়ার পর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন।
সূত্র আরও জানায়, রায়ের খসড়া কপি এনে দেওয়ায় ব্যারিস্টার ফখরুল নয়নকে ধন্যবাদ দেন। নয়ন যখন বুঝতে পারেন যে, তার দেওয়া পেনড্রাইভে সালাহউদ্দিনের মামলার রায় রয়েছে, তখন তিনি ফখরুলকে তা ফেরত দিতে বলেন।
তখন সালাহউদ্দিনের ম্যানেজার তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন। কাকরাইলে ফখরুলের চেম্বারে একাধিক দিন গেছেন নয়ন। তিনি পেনড্রাইভে করে এসব মামলার রায়ের খসড়া কপি দিয়ে আসতেন।
এ বিষয় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদেরের আজকের বাংলাদেশকে বলেন, সরকার যদি আমাকে, আমার দুই ছেলেকে গ্রেফতার করে তাহলে আমাদের কী বলার আছে। সরকারের ক্ষমতা আছে পারবো। স্কাইপির ঘটনার পর আমার ছেলেদেরকে ট্রাইব্যুনালে প্রবেশ করতে দেওয়া হত না।
তিনি আরো জানান, আমাকেও ট্রাইব্যুনালের গেটে প্রবেশের সময় নানাভাবে হয়রানি করা হত। কখনও বলা হত, আজকে রেজিস্ট্রার নেই, ভেতরে যাওয়া যাবে না। আমার ছেলেরা দীর্ঘদিন ট্রাইব্যুনালে যায় না। তাহলে তারা এসব ঘটনার সঙ্গে কিভাবে জড়িত থাকবে তা আপনারা ভালো বলতে পারবেন। আজকের বাংলাদেশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন