চোরাই ও লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেলে পরিনত সীমান্ত শহর টেকনাফ

আবুল কালাম আজাদ: ইদানিং মাদক দ্রব্য বিরোধী অভিযান ভাটা পড়ায় চোরাই ও লাইসেন্স বিহীন মোটর সাইকেলে পরিনত হয়েছে সীমান্ত শহর টেকনাফ। উদেশ্য ইয়াবা পাচার। টেকনাফ উপজেলা ও পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ছাড়াও গ্রামের মেঠোপথ পর্যন্ত এখন চোরাই হুন্ডার বেপোয়ারা চালানো উচ্চ স্থরে হরণ বাজানোর কারণে এলাকার লোকজন আতংকিত হয়ে পড়েছে। উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করে দেখা যায়, ৮/১০ বছরের শিশুরা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চালাচ্ছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, এ সমস্ত মোটরসাইকেলের কোন বৈধ লাইসেন্স, ব্লু-বুক ও ফিটনেস নেই। ভারতের তৈরী ২শ হতে ৪শ সিসি মোট সাইকেল বাংলাদেশ সড়কে চালানো ট্রাকি আইনে বাধা বাধ্যকতা থাকলেও কিন্তু এখানে তা মানা হচ্ছে না। যার যা ইচ্ছা মোতাবেক ট্রাকি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নাকের ডগার উপর দিয়ে বেপোয়ারা ভাবে গাড়ী চালাচ্ছে। স্থানীয় সচেতন মহলের প্রশ্ন লাইসেন্স বিহীনে, চোরাই মোটর সাইকেল চালালেও ট্রাফিকেরা ব্যবস্থা নিচ্ছে না কোন? এ ব্যপারে টেকনাফস্থ ট্রাফিক সার্জেন্ট ও হাবিল দারদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, আমরা এ ব্যাপারে খুবই উৎগ্নি। কিন্তু এখন এটা আটক করে পিদে পড়ে যায়। এম পি রাজনৈতিক নেতাদের তৎবিরে গাড়ী গুলো ছেড়ে দিতে হয়। ফলে সরকার প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যপারে টেকনাফস্থ ট্রাফিক প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, বর্তমানে টেকনাফে আনুমানিক ৬/৭ হাজার মোটর সাইকেল হতে পারে। আমাদের জানামতে এ সমস্ত মোটর সাইকেল ৯০ ভাগ লাইসেন্স নেই। এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়ে এলাকাবাসি জানান, আপনারা অভিযান করে আটক করলে সমস্যা হয়, আপনারা আটক না করে বিজিবি ও কোষ্টগার্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হলে টেকনাফ অবৈধ মোটর সাইকেল মুক্ত হবে। এ ব্যপারে বিজিবির সাথে যোগাযোগ করা হলে এরা জানায়, আমরা যারা চেকপোষ্টে চাকুরী করি, মনে হয় দৈনিক ৪/৫ হাজার মোটর সাইকেল আসা যাওয়া করে, এদের মোটর সাইকেল চালানোর এত দ্রুত যে, কোন সময় দূর্ঘটনায় পরিনত হলে কেহ প্রানে রক্ষা পাবেনা। অভিযানের ব্যপারে তারা জানায় আমাদেরকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আটকের ব্যপারে নির্দেশ প্রদান করলে অবশ্যই আটক করব। এ ব্যপারে স্থানীয় সচেতন মহল জানায়, শুধু ইয়াবা পাচার নয় এ মটরসাইকেল গুলো আসন্ন নির্বাচনে ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে। তাই নির্বাচনের আগেই সাড়াশী অভিযান পরিচালনা করে আটক করা একান্ত প্রয়োজন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন