দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লী সড়কটি সংস্কারের অভাবে জনদুর্ভোগ

সংবাদ দাতা: নৈস্বর্গ লীলাভুমি কক্সবাজারের শহরতলীর পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ডের বর্ডার গার্ড স্কুলের পেছন রোড টির বেহাল দশা। এ জরাশীর্ণ রোড টি দক্ষিণ সাহিত্যিকা পল্লীর উপর দিয়ে বয়ে যায় পাল্লান কাটা ও সাহিত্যিকা স্কুল পর্যন্ত। সকড় টি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে শোচনীয়ভাবে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এলাকাতে জন সাধারণের বসতির হার আনুমানিক বারো হাজার থেকে পনের হাজার মত। এ সকড় দিয়ে যাতায়ত করে অজস্র ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং বি.জি.বি সৈনিকেরা।
এমন গুরুত্বপূর্ণ সকড় টি সংস্কার না হওয়ায় বর্ষার ভরা মৌসুমে খানাখন্দক সহ অসংখ্য গর্তের  সৃষ্টি হয়েছে। তাতে এলাকার জন সাধারণ ও ছাত্র- ছাত্রীদের কে যাতায়তে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহতে হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি দিন দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। নালা নর্দমা না থাকায় পরিবেশের ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। যেহেতু বাড়ি-ঘরের টয়লেটের ময়লা আর্বজনা সরাসরি রাস্তার উপর ছেড়ে দিচ্ছে। সচেতন মহলের অভিযোগ, বর্ষার পানি ও বাড়ি-ঘরের টয়লেটের ময়লা আর্বজনা ইত্যাদি রাস্তার উপর দিয়ে ভেসে যাচ্ছে বিধায় ছাত্র-ছাত্রী, জনসাধারণের চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ ও দুঃসাধ্য। কোন দিন ওয়ার্ডের কাউন্সিল ও মেয়র এসে রোডটি দেখে যায় নি বলে অভিযোগ উঠে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও খামখেয়ালীপনায় এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কারণে সড়ক টি সংস্কার ও উনয়ন্নের ছোঁয়া লাগে নি। প্রাপ্ত তথ্য মতে, সড়কটির জন্য বাজেট হয়েছে ২০০৯ সালের শেষের দিকে। কিন্তু কেন বা আদৌ সড়ক টির সংস্কারের কাজ শুরু হয় নি তা বলা অসাধ্য ব্যাপার হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সড়ক দিয়ে পাল্লান কাটা,বি.জি.বি সৈনিকের, ছাত্র-ছাত্রী, অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারী ইত্যাদি যাতায়ত করে। সুতরাং সকলের সুবিধার্থে দ্রুত গতিতে সংস্কার প্রয়োজন। ইতিমধ্যে সড়কটির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশংকা রয়েছে। সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কে অপরিসীম দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার জন্য এবং অবিলম্বে এ সড়কের সংস্কার ও তাদের উনয়ন্নের ধারা অব্যাহতি রাখার আহবান জানান এলাকাবাসী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন