কক্সবাজারে ২৫০ পূজা মন্ডপ, দুর্গোৎসবের ব্যাপক প্রস্তুতি

স্টাফ রিপোর্টার: পর্যটন নগরি কক্সবাজার জেলার ২৫০ পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন এগিয়ে চলেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে এখানকার মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা কাদা মাটির কাজ শেষ করে এখন প্রতিমা রং পোষাক তৈরি ও মন্ডপ সাজানোর কাজ করছেন।
এদিকে পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শিল্পীর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় দেবী দুর্গার আগমনী সুর বেজে উঠেছে। পূজা মন্ডপে দুর্গা প্রতিমা ছাড়া দেবদেবীর প্রতিমাও তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিমা কারিগররা জানান, মাটির কাজ শেষ পর্যায়ে এখন রংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর দুর্গা সূচনা শুরু হবে।
জানা গেছে, আগামী ১০ অক্টোবর থেকে সারা দেশব্যাপি উৎসবমূখর পরিবেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হতে যাচ্ছে। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার জেলার ২৫০ পূজা মন্ডপে শেষ মুর্হুতে চলছে প্রতিমা তৈরি আর ডেকোরেশনের কাজ। খড়, কাঠ দিয়ে প্রতিমার আকৃতি গঠনের পর এবার চলছে রং লাগানোর কাজ।
জানা যায়, এবার ২৫০ পূজা মন্ডপের মধ্যে ১২৪টি প্রতিমা ও ১২৬টি ঘট পূজার মন্ডপ রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৩৮টি প্রতিমা ও ২৭টি ঘট, রামু উপজেলায় ১৬টি প্রতিমা ও ৮টি ঘট, চকরিয়া উপজেলায় ৩৯টি প্রতিমা ও ৩০টি ঘট, পেকুয়া উপজেলায় ৬টি প্রতিমা ও ৫টি ঘট, কুতুবদিয়া উপজেলায় ১৪টি প্রতিমা ও ২২টি ঘট, মহেশখালী উপজেলায় ১টি প্রতিমা ও ৩০টি ঘট, উখিয়া উপজেলায় ৫টি প্রতিমা ও ৪টি ঘট, টেকনাফ উপজেলায় ৫টি প্রতিমা পূজার মন্ডপ স্থাপন করা হয়েছে।
এদিকে পূজায় যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং সুষ্ঠ, সুন্দর ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মাধ্যমে যাতে পূজা করতে পারে সে জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও রয়েছে সার্বিক নিরাপত্তার প্রস্তুতি। শহরের সরস্বতী বাড়ির বাসিন্দা ও জেলার প্রবীণ প্রতিমা কারিগর নেপাল ভট্টাচার্য্য বলেন, অনেক দিন ধরে এ কাজ করছি। তেমন লাভ নেই, অল্প কিছু লাভ হয়।

এদিকে পুজাকে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে স¤পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দফায়-দফায় সভা চলছে। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আজাদ মিয়া জানান, দুর্গোৎসবকে সুষ্ঠভাবে স¤পন্ন করতে ইতোমধ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন সতকাবস্থায় রয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সাংবাদিক বলরাম দাশ অনুপম জানান, পুজার শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি চলছে। পুজার বর্তমান সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে পুজা কমিটির নেতৃবৃন্দরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও পূজার সময় নিরাপত্তা জোরদারের উপর জোর দিয়েছেন। কবি বিপ্লব সরকার বলেন, এ উৎসব আনন্দের। উৎসবে আমরা মাতোয়ারা হয়ে পড়ি। তাই আসুন সকলে আনন্দ করি। তিনি সকলকে উৎসবে যোগদানের আহবান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন