ইনানী সাগরে আটকে পড়া ট্রলার নিয়ে নানান রহস্যের শেষ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী ইমামের ডেইল এলাকার সন্নিকটে সাগরে রহস্যাবৃত একটি ট্রলার আটকে পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলার সর্বত্র নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। গত তিন দিন ধরে ওই ট্রলারটি আটকে যাওয়া, গোপনে উদ্ধার প্রচেষ্টা, এক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়াসহ পরবর্তীতে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করার ঘটনা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নানান প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ট্রলারে আসলে কি ছিল,কেন এত লুকোচুরি এনিয়ে চলছে নানা রকমের গুঞ্জন।
পটুয়াখালী থেকে ওই ট্রলারের মালিক এসে গত শনিবার ১৬ নভেম্বর সকাল থেকে এফবি-এফ করিম নামে ফিশিং ট্রলারটি উদ্ধারের প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোপূর্বে ৩০-৪০ জন জেলেকে অন্য ট্রলারের সাহায্যে উদ্ধার ও আটকা পড়া ট্রলারটি উদ্ধার প্রচেষ্টার সময়ে গত বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারের ২ শ্রমিক সাগরে ডুবে যায়। একজন সাঁতার কেটে ট্রলারে উঠলেও পটুয়াখালীর রুহুল আমিনের ছেলে নুরুজ্জামান (২৮) এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় মোস্তাক আহমদ চৌধুরী জানান, গত কয়েকদিন ধরে এফবি-এফ করিম নামে ফিশিং ট্রলারটি ইনানী ইমামের ডেইল সাগর উপকূলে আটকা পড়ে ।
উখিয়া জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, সাগর পথে মালয়েশিয়া লোকজন পাচারের জন্য দালালরা ওই ট্রলারটি উপকূলে নিয়ে আসছিল। জোয়ার ভাটার কারণে ট্রলারটি আটকা পড়ে যায় বলে তিনি শুনেছেন। অনেকে বলে বেড়াচ্ছে, হয়ত ট্রলারে করে অবৈধ অস্ত্র নতুবা আমদানি নিষিদ্ধ চোরাচালানি পণ্য এনে খালাস করে দিয়ে ভাটায় আটকা পড়েছে ট্রলারটি।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন মিয়া জানান, ফিশিং ট্রলারটি বালিচরে আটকা পড়েছে মাত্র । তবে তাকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে ট্রলার মালিক, নিখোঁজ ব্যক্তিসহ মামলার বিভিন্ন ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও টাকা নেয়ার ব্যাপারটি সত্য নয় দাবি করেন ওসি ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন