নির্বাচন হলে ৪ আসনে প্রার্থী হবেন যাঁরা
ফরিদুল মোস্তফা খান: দুই নেত্রীর সংলাপ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য হরতাল আর হরেক রাজনৈতিক সহিংস পরিস্থিতির মধ্যেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা ভাবছেন কক্সবাজারবাসী। ফলে জেলার ৪ সংসদীয় আসনের ৮ উপজেলাবাসী নিজেরা-নিজেদের মধ্যেই জল্পনা-কল্পনা শুরু করে দিয়েছেন। সম্ভবত তাই জেলাব্যাপী হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি ও চায়ের দোকানসহ সবর্ত্রে এখন একই আলাপ, সেটি হচ্ছে কি ঘটটে যাচ্ছে দেশে? নির্বাচন আদৌ হবে কিনা, আর হলেও কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে, আর সেখানে প্রধান বিরোধীদল অংশ নিচ্ছেন কিনা? শুধু তাই নয়, জেলাবাসী আওয়ামীলীগ-বিএনপির দুই জোটের অংশগ্রহণ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক দল নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হউক সেটাও চায়না।
জেলার মোট জনগোষ্ঠীর ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষ খালেদার ডাকে সাড়া দিয়ে চায় একক কোন সরকার কিংবা গোষ্ঠরি অধীনে নয়, জাতীয় নির্বাচন হউক অতিতের মতো নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সেটাই প্রত্যাশা করেন। সেক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়ক নামে না হলেও জেলাবাসী মনে করেন, অন্য যেকোন নামে নির্বাচন হউক সুষ্ঠ-শান্তি ও নিরপেক্ষ ভাবে। আর সেই নির্বাচনে প্রধান বিরোধীদল হিসেবে বিএনপি সহ ১৮ দলীয় জোট যথাযথ ভাবে অংশগ্রহণ করুক, সেটাই কক্সবাজার জেলার ভোটারদের প্রত্যাশা। এ অবস্থায় সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আর সেখানে বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোট অংশ নিলে কক্সবাজারের ৪ সংসদীয় আসনের ৩টিতেই মহাজোট প্রার্থীদের কাছে আওয়ামীলীগ তথা মহাজোট প্রার্থীরা হারবেন। শুধু তাই নয়, আসন গুলোতে মহাজোট প্রার্থীরা ১৮ দলীয় জোট প্রার্থীদের সাথে উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন কিনা মনে করে কক্সবাজারের সীমান্ত ঘেঁষা সংসদীয় আসনের বেশকিছু ভোটার জানান, এখানেই বিএনপি ও আওয়ামীলীগ প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সেখানকার ভোটাররা তার যুক্তি হিসাবে বলেন, যদি মহাজোট সরকার বর্তমান সাংসদ আব্দুর রহমান বদিকে বাদ দিয়ে এ আসনে বিকল্প কোন প্রার্থী দেন তাহলে জেলার অন্য ৩ সংসদীয় আসনের মতো এই আসনটিও নির্ঘাত ১৮ দলীয় জোটের দখলে চলে যাবে। কাজেই উখিয়া-টেকনাফবাসী মনে করেন, দেশের অন্য কোন অঞ্চলে যাই ঘটুক না কেন, কক্সবাজারেই একমাত্র জেলা এই সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলেও ৪ সংসদীয় আসনের কমপেক্ষ ৩টিতে নির্ঘাত পরাজয় বরণ করবে। একই সাথে জেলাবাসী আগামী নির্বাচনে নিজেদের এলাকায় কে কোন দলের প্রার্থী হচ্ছেন, তা নিয়েও সরব আলাপ আলোচনায় এখন ব্যস্ত।
কক্সবাজার জেলার ৮ উপজেলার অসংখ্য ভোটারদের সাথে আলাপে জানা গেছে, জামায়াত নির্বাচন করতে না পারলে কক্সবাজারের ৪ সংসদীয় আসনের মধ্যে কুতুবদিয়া-মহেশখালী আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, চকরিয়া-পেকুয়ায় বর্তমান সাংসদ হাসিনা আহমেদ, সদর-রামু আসনে বর্তমান সাংসদ লূৎফুর রহমান কাজল ও উখিয়া-টেকনাফে সেখানকার বারবার নির্বাচিত সাংসদ সাবেক হুইপ জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ১৮ দলীয় জোটের একক প্রার্থী হবেন। তবে, ৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে একটিতে ১৮ দলীয় জোটের অভ্যন্তরীণ কোন কোন্দল না থাকায় দলীয় প্রার্থী হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে সেখানকার সাবেক এমপি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, সদর-রামু আসনে সাবেক এমপি এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান, উখিয়া-টেকনাফ আসনে নিজ দলের নেতাকর্মীদের কাছেও অপরিচিত প্রার্থী আলমগীর সহ ১৮ দলীয় জোটের ২/১ জন চুনুপুটি শাহজাহান চৌধুরীর কাছ থেকে মনোনয়ন কেড়ে নেয়ার তৎপরতা চালাতে পারেন। এ অবস্থায় ৪ সংসদীয় আসনের প্রত্যেকটিতেই আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীদের তালিকায় নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, এতে কোন সন্দেহ নেই। শুধু তাই নয়, ওই ৪ আসন গুলোতে বর্তমানেও আওয়ামীলীগ তথা মহাজোটের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সব দলের শীর্ষে।
এ অবস্থায় নির্বাচন হলে সদর-রামু আসনে সাবেক মহাজোট প্রার্থী সায়মুম সরওয়ার কমল, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, ব্যারিষ্টার মিজান সায়িদ,কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আ’লীগ নেতা নুরুল আবছার ও পৌর আ’লীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক মহাজোট প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপির বিপরীতে সাবেক পরিষদ চেয়ারম্যান জাপা নেতা সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র জাফর আলম ও উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল করিম, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাবেক প্রার্থী আনসারুল করিমের বিপরীতে জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতা সিরাজুল মোস্তফা, জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি কবির আহমদ সওদাগর ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের বর্তমান নির্বাচিত সাংসদ আব্দুর রহমান বদির বিপরীতে নিজ দলের উখিয়া উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ও এমপি বদির চাচা শ্বশুড় হামিদুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলম এবং ওই আসনের সাবেক সাংসদ বর্তমানে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীও তৎপরতা চালাতে পারেন দলীয় মনোনয়ন নিজেদের মধ্যে আনতে।
সার্বিক বিশ্লেষণে কক্সবাজার জেলার ৪ সংসদীয় আসনেই ১৮ দলীয় জোট ও মহাজোটের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দলে শীর্ষে রয়েছে আওয়ামীলীগ নেতৃাত্বাধীন মহাজোট। শুধু তাই নয়, জেলার ৪ সংসদীয় আসনের ৩টিতেই ১৮ দলীয় জোটে টুকটাক কোন্দল ও বিদ্রোহ থাকলেও সর্বশেষ মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, চকরিয়া-পেকুয়ায় বর্তমান সাংসদ হাসিনা আহমেদ, সদর-রামু আসনে লুৎফুর রহমান কাজল ও উখিয়া-টেকনাফে শাহজাহান চৌধুরীই দলীয় মনোনয়ন পাবেন, এমন আভাস পাওয়া গেছে জেলার ৮ উপজেলা ঘুরে।
সূত্র জানায়, এছাড়া কক্সবাজার জেলায় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভক্তি ততই ¯পষ্ট হচ্ছে। ফলে জেলার ৮ উপজেলায় তৃণমূল নেতা কর্মীদে মধ্যে চরম হতাসা বিরাজ করছে প্রকট ভাবে। জেলা আ.লীগ ও বিএনপির প্রবীন নেতারা মনে করেন, প্রত্যেক উপজেলায় দলের অভ্যান্তরীন বিভক্তি মেটানো হলে মনোনীত প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করা যাবে। তবে বাস্তবতা এটাই সুষ্ঠ ও সুন্দর নির্বাচন হলে জেলার ৪ সংসদীয় আসনের ৩টিতেই ১৮ দলীয় জোট প্রার্থীদের সাথে মহাজোট প্রার্থীরা ভাল করে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন না। সেখানে ১৮ দলীয় জোটের বিজয় নিশ্চিত এবং উখিয়া-টেকনাফ আসনেও হারানো অর্জন পুনরায় ফিরে পেতে ১৮ দলীয় নেতাকর্মীরা আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। তাই সেখানে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে টানটান উত্তেজনায় ভোটাররাই সময় মতো প্রমাণ করবেন আসলে সেখানকার বিজয়ের মুকুট কে পড়বেন?
বিএনপির প্রার্থীরা জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিততে হলে আন্দোলনের মাধ্যমে জিততে হবে। আন্দোলনে জিততে হলে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের রাজ পথে থেকে জিততে হবে। আ.লীগের প্রার্থীরা জানান, কিছু কিছু নেতা কর্মী দলীয় স্বার্থ বাদ দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল নিয়েই বেশি চিন্তিত। তাই তারা বিভক্তির নামে নেতা কর্মীদের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করছে। তারা আশা করছেন সংসদ নির্বাচনের আগেই এ সমস্যাগুলো মিটে যাবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকরিয়া উপজেলা পর্যায়ের ২ জন আওয়অমীলীগ নেতা জানান, বিএনপির সালাহ উদ্দিন পরিবার ছাড়া এ আসনে আওয়ামীলীগের পক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার উপযুক্ত প্রার্থীও নেই। তবুও নির্বাচনী নিয়ম মতে মহাজোটের কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে হারবেন তো নিশ্চয়ই, ভোটের হিসেবেও দেখা যাবে চরম অপমানজনক অবস্থা।
ওই আওয়ামীলীগ নেতাদের মতে অভিযোগ উঠেছে, গত ৫ বছরে তার দল ক্ষমতায় থাকলেও আগামী সংসদ নির্বাচনে ভালো ফল পাওয়ার মতো অবস্থান কক্সবাজারে সৃষ্টি করতে পারেন নি। অবশ্যই এজন্যই তারা নিজেদের দ্বন্দ্ব ও মেধাহীন এবং দুর্বল রাজনৈতিক নেতৃত্বকে দায়ী করছেন।
সূত্র মতে, জেলার ৪ আসনেই বিএনপি-আ.লীগের একাদিক মনোনয়ন প্রতাশী থাকলেও গত ৪টি সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে আগামী ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি, জাফর আলম, ও উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। বিএনপিতে একমাত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের স্ত্রী এড: হাসিনা আহমেদ। দেখা গেছে, বেশিরভাগ সময়ে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী জয়ী হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১৯৭৯ সালে মাহমুদুল করিম, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সালাহ উদ্দিন আহমদ এবং ২০০৮ সালে তার স্ত্রী হাসিনা আহমদ বিজয়ী হয়েছেন। স্বাধীনতার পর আ.লীগ শুধু ১৯৭৩ সালে চকরিয়া- কুতুবদিয়া আসনে ১ বার জয়ী হয়েছিলেন। ঐ সময়ে পেকুয়া উপজেলা ছিল না। ঐ নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন ড.শামসুদ্দিন আহমদ। এছাড়া ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি এবং ১৯৯১ সালে জামায়াতের অধ্যাপক এনামুল হক মঞ্জু ১ বার এ আসনে জয় লাভ করেন।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে আ.লীগের প্রার্থী ড. আনছারুল করিম, এড. সিরাজুল ইসলাম ও এড. ফরিদুল ইসলামের নাম এবং বিএনপিতে দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ ফরিদ ও জামায়াতের এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদের নাম বেশি শুনা গেলেও ১৮ দলীয় জোটের পক্ষে মনোনয়ন যাকেই দেবেন তিনিই সেখানকার এমপি নির্বাচন হবেন বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সাবেক মহাজোট প্রার্থী ও সাবেক সোনালী ব্যাংক পরিচালক সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর সহধর্মীনি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগ নেতা নুরুল আবছার ও মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। বিএনপি থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল ও ইঞ্জিনিয়ার শহিদুজ্জামান নাম লোকমুখে শুনা গেলেও শেষ পর্যন্ত বর্তমান সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজলই মনোনয়ন পাবেন এবং তিনি এমপি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা সব চাইতে বেশি।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে আ.লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলম ও অধ্যক্ষ হামিদুল হক। বিএনপি থেকে এম শাহজাহান চৌধুরী, আলমগীর চৌধুরীসহ গুটি কয়েক চনুপুটির নাম আকাশে বাতাসে উড়লেও শেষ খেলায় দেখা যাবে এখানে শাহজাহান চৌধুরী ও আব্দুর রহমান বদির মধ্যেই চুড়ান্ত লড়াই হবে এবং সেখানে শাহজাহান চৌধুরী অর্থাৎ ১৮ দলীয় জোট প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ ওই আসনে ব্যক্তি শাহজাহান চৌধুরীর চেয়ে তার দল ১৮ দলীয় জোটের গণজোয়ার এখন বেশ লক্ষ্যণীয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে জেলার কক্সবাজার-২ মহেশখালী ও কুতুবদিয়া আসনে ইছহাক মিয়া ও কক্সবাজার- ৩ সদর রামু আসনে মোস্তাক আহমদ চৌধুরী আ.লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। এর পর ৩ টি নির্বাচনে এ ২টি আসনে আ.লীগের প্রার্থী আর জিতে আসতে পারেন নি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ (টেকনাফ-উখিয়া) আসনে অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আ.লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে ৪টি আসনেই আ.লীগের ভরাডুবি হয়। ইতিমধ্যে ৪ আসনে আওয়ীমীলীগের মনোনয়ন পাওয়াকে কেন্দ্র করে দলীয় বিরোধ আরো বাড়ার আশংকা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তবে সে ক্ষেত্রে বিএনপি একক প্রার্থী নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান জাতীয়তাবাদী দলের তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরা। এ বিষয়ে একাধিক প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রার্থীতা নিয়ে আপাতত কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশের পাশাপাশি দেশে আদৌ নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন