বিপ্লব বিশ্বাস : বার্মিজ আচার আর শুটকি মাছের প্যাকেটে করে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে ইয়াবার চালান। এরপর টেকনাফের ইয়াবা ডিলাররা সেই ইয়াবা রাজধানীর হোটেলে বসে বিক্রি করে। সংঘবদ্ধ এক ইয়াবা চক্রের কাছ থেকেই জানা গেছে এমন তথ্য। গত সোমবার রাতে রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এমন একটি সংঘবদ্ধ চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) কর্মকর্তারা। টেকনাফের এ ৬ ইয়াবা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮ শ’ পিস ইয়াবাও উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিএসসি’র কর্মকর্তারা জানান, সোমবার রাত ১১ টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল কবীরের নেতৃত্বে চলে ইয়াবার ‘টেকনাফ চক্র’ গ্রেপ্তারের অভিযান। অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন টেকনাফের বাসিন্দা নুরুল আমিন, সৈয়দ আলম, মো. সাবের, বোরহান উদ্দিন কায়সার, ফারুক হোসেন এবং শরীয়তপুরের বাসিন্দা ইকবাল হোসেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নুরুল আমিন টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী। সৈয়দ আলমও প্রশাসনের তালিকাভূক্ত ইয়াবার ডিলার। বাকিরাও ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্য। ডিএনসি’র এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার রাতে প্রথমে মহাখালীর জাকারিয়া হোটেলে অভিযান চালিয়ে নূরল আমিনকে সহযোগীসহ আটক করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৮৮ বড়মগবাজার আয়েশা গোমতি ভবনের পাশে এবং ১০৪২ নম্বর বাড়ি এবং আদাবরের ১৪/এ নম্বর রোডে অভিযান চালানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, চক্রটি মায়ানমার থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের আচার এবং শুটকি মাছের প্যাকেটের ভিতরে বিশেষ কায়দায় ইয়াবা এনে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে থাকে। গত রোববার চক্রটি ২০ হাজার ইয়াবার চালান নিয়ে রাজধানীতে আসে। অভিযান চালিয়ে ৮ শ’ ইয়াবা উদ্ধার করা গেছে। বাকি ইয়াবা আগেই হাত বদল হয়ে যায়। এ ঘটনায় রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, একটি নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, বার্মিজ আচার ও শুটকির প্যাকেটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব ইয়াবাগুলো পাচার হচ্ছে, সেখানে আকাশ ও নৌপথ সমানতালে ব্যবহার হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এস.এ পরিবহনসহ কুরিয়ার সার্ভিস গুলোও এসব অবৈধ পণ্যের প্যাকেট গুলো শুটকি কিংবা আচার ভেবে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, ইয়াবা পাচারকারীরা দীর্ঘদিন ধরে ট্যাবলেটটি টেকনাফ বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েও দেশে ঢুকাচ্ছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন