উখিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হয় নাক বন্ধ করে

উখিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের উখিয়া আড়াই লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণের একমাত্র মাধ্যম উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবায় অনন্য অবদানের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চারিপার্শ্বের ময়লা আবর্জনা সহ জঙ্গলাকীর্ণ পরিবেশের মারাÍক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে রোগীদের নাক বন্ধ করে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

সদর প্রাণকেন্দ্রে তৎকালীন বৃটিশ শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত এই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের চারিদিকে জঙ্গলাকীর্ণ ও ময়লা আবর্জনার স্তুপ। হাসপাতালে ডাক্তারের বাসস্থান হিসাবে টিনসেটের একটি ঝরাঝীর্ণ কোয়ার্টার থাকলেও তা এখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে পড়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানালেন, সম্প্রতি উক্ত বাসায় চুরি সংগঠিত হয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র হলেও স্বাস্থ্য সেবার কোন ঘাটতি নাই। তবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে রোগীদের অভিযোগ রয়েছে। ডেইলপাড়া থেকে আসা মহিলা রোগী ছেমন আরা জানান, হাসপাতালে আসা-যাওয়ার পথে ময়লা আবর্জনার স্তুপের পঁচা গন্ধের কারণে নাক বন্ধ করে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। একইভাবে একাধিক রোগী জানান, এ হাসপাতালে বর্তমান অস্বাস্থ্য পরিবেশ দূর করে সার্বিকভাবে উন্নীত করা হলে এখানকার অধিকাংশ গরীব জনসাধারণ চিকিৎসা সেবার দিক দিয়ে উপকৃত হওয়ার অধিক সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও কেন যে হাসপাতালের উন্নয়ন করা হচ্ছে না সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। হাসপাতালের দায়িত্বরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার মোহাম্মুদুল হাসান বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ময়লা আবর্জনা হাসপাতাল সড়কে ফেলা হচ্ছে। তাদের এ ব্যাপারে একাধিকবার সতর্ক করে দেওয়া স্বত্বেও তা মানা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবরে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতি মাসে তার বেতনের টাকা দিয়ে হাসপাতালে টুকিটাকি সংস্কার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হলেও সরকারীভাবে বরাদ্দ না আসা পর্যন্ত হাসপাতালের বর্তমান চিত্রের পরিবর্তন হওয়ার আদৌ সম্ভাবনা নেই। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন