
জেদ্দা, দাম্মাম ও অন্যান্য শহরের লতিফের মত হাজার হাজার শ্রমিক রয়েছে। তাই এধরনের অভিযান তাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। এক ভারতীয় স্কুল শিক্ষক নায়ার সিদ্দিকি বলেন, কেউ চায়না দেশে ফিরে যেতে। আজিজিয়া জেলায় সে কাজ করছে। তার মত অনেকেই আকামা পুননবায়ন করতেও ভয় পাচ্ছে পাছে তাদের গ্রেফতার করা হয় এটা ভেবে। ফলে পারতপক্ষে বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও তারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
দাম্মামে কর্মরত বাংলাদেশি আনিসুল ইসলাম জানান, আমাদের ধারণা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এধরনের অভিযান শেষ হবে। তবে সৌদি আরব সরকার এধরনের অভিযান সহজে শেষ করবেন না বলেই অন্যদের ধারণা। সৌদি সরকারের একাধিক কর্তা ব্যক্তিরা বলছেন, এধরনের অভিযান দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার মানসুর আল-তুর্কি বলেছেন, অভিযান প্রথম পর্যায়ে রয়েছে। সব্জী দোকান, শিল্প এলাকা, অটো মেরামত ও রঙ করার দোকানগুলোতে অভিযান সীমাবদ্ধ থাকলেও ভবিষ্যতে তা আরো বেশি এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। এবং এসব এলাকায় অভিযানে বেশ কয়েক হাজার অবৈধ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অভিযান শুরু কথা ভাবা হচ্ছে। সৌদি আরবের অধিকাংশ নাগরিক মনে করছে এধরনের অভিযান করে সরকার ঠিক কাজটিই করছে।
জেদ্দার একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক সাইদ আল-শামরানি বলেন, কোনো দেশই অবৈধ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে থাকতে পারেনা। এধরনের অভিযানে হাজার হাজার অবৈধ শ্রমিক আটকের ঘটনা প্রমাণ করে এধরনোর উদ্যোগ যথাযথ। সাইদের এক সহকর্মী ইয়াহিয়া আল- দোসারি বলেন, এধরনের অভিযানে সমস্যা হচ্ছে এবং তা সাময়িক কিন্তু এর ফল পাওয়া যাবে দীর্ঘমেয়াদি। আমাদের বিদেশি শ্রমিক দরকার এবং তা বৈধ উপায়ে। অতএব সরকার সঠিক কাজটি করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন