
দেশের বোদ্ধামহল মহল মনে করছেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা যোগ দেয়াতে কোন শুভ লক্ষণ নেই। বরঞ্চ সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সংলাপ-সমঝোতার অনিশ্চয়তার আগুনে ঘি ঢেলেছেন তিনি।
তারা মনে করছেন, সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিয়ে দেশ-বিদেশের সমালোচনা ও ঘৃণার পাত্র বনে গেছেন জাপার চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। আনোয়ার হোসেন মঞ্জুও এ অপযাত্রার সামিল হলেন।
এদিকে শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মধ্যে বহুল কাঙ্খিত যে অঘোষিত বৈঠক হয়েছে তাতে কোন ধরণের সংলাপ-সমঝোতা হয়নি বলে স্বীকার করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিদেশীদের বহু চেষ্টা-তদবির এবং সরকার ও বিরোধী জোটের শীর্ষস্তরে বৈঠক হয়েও ভেস্তে যাওয়ায় সংলাপ-সমঝোতা অনেকটা অনিশ্চিয়তায় মুখে পতিত হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনীতি বিশ্লেষকরা। সব কিছু পেছনে ফেলে সর্বশেষ গতকালও সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৮ জোটের প্রতি আহ্বান; এটাও সে ইঙ্গিত বহন করছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপিও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এ প্রস্তাব কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে বহুল আলোচিত সংলাপ হচ্ছেই না! এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মনেও নতুনভাবে জন্ম নিচ্ছে শঙ্কা আর হতাশা।
অন্যদিকে প্রতিনিয়ত জল্পনা-কল্পনার ডালা-পালা বিস্তার করছে আরও! এ যেন শেষ হবার নয়। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় তা বলাই মুশকিল হয়ে গেছে। আদৌ সংলাপ-সমঝোতা হচ্ছে কি হচ্ছে না? না হলেও নির্বাচন হচ্ছে কিনা? নির্বাচন হলে কাদের নিয়ে হবে, কোন পদ্ধতিতে হবে? এ নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে আর স্থায়ীত্বের দৌড়ও কতদূর? সব কিছু এখন ধোঁয়াশায় ঘেরা। সর্বশেষ গঠিত সর্বদলীয় সরকার এ ধোঁয়াশাকে আরো ঘণিভূত করেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে সরকার ও বিরোধীদল অনড় অবস্থানে রয়েছে দীর্ঘদিন। এ দীর্ঘ সময়ে হরতাল, সহিংসতায় অনেক ক্ষতি হয়েছে দেশের। নাজুক হয়ে পড়েছে অর্থনীতি। সরকারী বাহিনী ও প্রতিপক্ষের হাতে প্রাণ গেছে অনেক মানুষের। বর্তমানে তা মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ থেকে পরিত্রাণ হচ্ছে কি আদৌ?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন