প্রযুক্তি ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন ফেসবুক ছিল তরুণ-তরুণীদের কাছে একটা ক্রেজ এর মত। দৈনিক তিন-চারবার ফেসবুক চেক না করলে তাদের ঘুমই হত না। ফেসবুকের প্রায় ১ বিলিয়ন সক্রিয় গ্রাহক আছেন যার সিংহভাগই তরুণ-তরুণী। তবে, সাম্প্রতিক কিছু খবরে দেখা গেছে যে ফেসবুকের প্রতি তরুণ-তরুণীদের আকর্ষণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফেসবুকের জন্য উদ্বেগজনক এ খবর প্রকাশ পাচ্ছে বিভিন্ন রিসার্চ মিডিয়া এবং টেক জার্নালে।
সম্প্রতি রুবি কার্প নামের এক মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থী ম্যাশ্যাবল এ লেখা একটি ব্লগ পোস্ট এ জানায় যে, ফেসবুকে একাউন্ট খোলার বয়সগত যোগ্যতা অর্জন এর আগেই সে এবং তার বন্ধুরা ইন্সট্রাগ্রাম এ একাউন্ট খুলে ব্যবহার করা শুরু করেছে। এবং তারা ইন্সট্রাগ্রাম নেটওয়ার্ক নিয়েই খুশি। তার মতে, ফেসবুক এমনা একটা জিনিস যা কিনা তার অভিভাবক ব্যবহার করে।
সিএনএন এ ব্যাপারে একটি রিপোর্ট লেখার সময় বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। এবং তারা তরুণ সমাজের ফেসবুক বিমুখীতার সত্যতা খুজে পেয়েছে। ফেসবুক প্রথমবারের মত এই সপ্তাহে এ ব্যাপারটি স্বীকার করেছে। গত বুধবার ফেসবুকের চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ডেভিড এবার্সম্যান বলেনঃ
“ আমরা তরুনদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারের প্রবণতা হ্রাসের বিষয়টি খেয়াল করেছি। এ প্রবণতাটা উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বেশী।“ কিন্তু কয়েক মাস আগেই এটিকে নিছক একটি আর্বান লিজেন্ড বলে উড়িয়ে দেন এবার্সম্যান। এমনকি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ তাতে সম্মতি প্রকাশ করেন। মে মাসে, পিউ রিসার্চ গ্রুপ একটি সার্ভে করে সোস্যাল নেটওয়ার্ক এবং তরুণদের উপর । সার্ভেতে দেখে গিয়েছে যে, ফেসবুকে বয়সী ব্যাক্তিদের উপস্থিতি তরুণদের কাছে সমস্যা বলে মনে হয়েছে।
অনেকদিন ধরে চলা সমালোচকদের এই ভবিষ্যতবাণী অবশেষে সত্যি বলে প্রমাণিত হল। অনেকে বলছেন যে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হয়তোবা ফেসবুক মাইস্পেস এর মত ভুতুড়ে সাইটে পরিণত হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন