সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক মানতে রাজি এরশাদ


ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, “আমি বরাবরই তত্ত্বাবধায়কের বিরোধিতা করেছি। কিন্তু বর্তমানে দেশে যে সংঘাতময় পরিস্থিতি, তত্ত্বাধায়ক সরকারব্যবস্থা এলে এই সংঘাতময় পরিস্থিতি যদি বন্ধ হয় এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তাহলে আমি তা মেনে নিতে প্রস্তুত।” সোমবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে বারিধারায় প্রেসিডেন্ট পার্কের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন এরশাদ।  তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় আরো দু’টি নির্বাচন হতে কোনো অসুবিধা নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি। জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, “আমার ধারণা তারা (বিএনপি) মনে করছে বিগত নির্বাচনের মতো এবারেও কারচুপি হতে পারে। তাই তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচনে আসতে রাজি হচ্ছে না। আর বিএনপির সবচেয়ে বড় ভয় শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা প্রধান থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।”
তিনি বলেন, “বিএনপি ২৯ আসন পাওয়ার মতো দল নয়। কিন্তু গত নির্বাচনে তারা ২৯ আসন পেয়েছে।”
“আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ভয় বিএনপি। বিএনপি প্রার্থী দিলে তাদের নিশ্চিত ভরাডুবি জেনে তারা একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করছে।” বলেন সদ্য মহাজোট ছেড়ে আসা জাপা চেয়ারম্যান।

এরশাদ বলেন, “আমার দলের মহাসচিবকে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে পাঠিয়েছি। মহাসচিব সেখানে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছেন না বলে আমাকে ফোনে জানিয়েছেন মহাসচিব। পদত্যাগ নিয়ে অনেক ধুম্রজালের সৃষ্টি করা হয়েছে।”

পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করলে করণীয় বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, “উনি গ্রহণ করুক বা না করুক তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি আমার কাজ শেষ করেছি। আমরা দলের কেউ আর মন্ত্রী নয়।”

তিনি বলেন, “শুনেছি আমার জন্য নাকি ১০০ আসন ঠিক করে রাখা হয়েছি। একশ’ কেন দুইশ’ আসন দিলেও এই ক্ষণস্থায়ী নির্বাচনে আমি যাবো না। এ নির্বাচন অর্থহীন ও ক্ষণস্থায়ী, সরকার অর্থহীন।” 

এদিকে সোমবার গণমাধ্যমে এক বিজ্ঞপ্তিতে এরশাদ ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে তার দলের সব প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন বার্তা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন