টেকনাফ পৌরসভায় যত্রতত্র স্থাপনা ও বাউন্ডারী নির্মাণের ফলে কয়েকটি ওয়ার্ড জলবদ্ধতার শিকার

মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী
টেকনাফ পৌরসভার ঐতিহ্ন্যবাহী কায়ুখালী খালের উভয় পাশের সরকারী জায়গা দখল, খাস জায়গা দখল, ড্রেন দখল, ড্রেনের উপর স্থাপনা নির্মাণ, অনুমতি ব্যাতীত ইমারত বা ভবন ও বাউন্ডারী নির্মাণ ও
যত্রতত্র স্থাপনা ও বাউন্ডারী নির্মানের ফলে টেকনাফ পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ড সামান্য বৃষ্ঠি হলেই জলাবন্ধতার শিকার হয়। বিশেষ করে টেকনাফ পৌরসভার অভ্যন্তরিন রাস্তা ও পানি চলাচলের জন্য প্রাকৃতিকভাবে গড়া ড্রেইন সমূহ চিহ্নিত, নজরদারী এবং ব্যাপারে নজরদারী এবং দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা না থাকার কারনে জলাবদ্ধতা এখন স্থায়ীভাবে সমস্যা দেখা দিয়েছে। পৌর এলাকা নাইথংপাড়া, পুরাতন পল্লান পাড়া, ইসলামাবাদ ও পশ্চিম অলিয়াবাদের সাইট্যাং খিল পাড়া গত কয়েক বছর যাবৎ জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে। এ চারটি পাড়া বর্তমানে ঝুকির মধ্যে রয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, টেকনাফ পৌরসভার একমাত্র ঐতিহ্ন্যবাহী খালটি পৌরসভার মধ্যস্থান দিয়ে প্রবাহিত হয়। টেকনাফ পৌর সভার বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ি নাফ নদী মোহনা হতে ইসলামাবাদ পর্যন্ত কায়ুকখালী খালটির উভয় পাশ্বে প্রায় অর্ধকিলোমিটার পর্যন্ত স্থানীয় প্রভাবশালী কর্তৃক বেদখল হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করার ফলে খালটি ছোট হয়ে গেছে। এছাড়া খালের একাংশের থানার পশ্চিমে ব্রীজ ও ইসলামাবাদ এলাকায় মৎস্য চাষ করে বিপুল সরকারী খাস জায়গা দখল করে নেয়। এছাড়া নাইথং পাড়া, সরকারী খাস জায়গার উপর স্থাপনা নির্মান করার ফলে বর্ষার পানি চলাচলের বাধাগ্রস্থ হয়ে জলাবদ্ধতা রূহ নেয়। অপর দিকে টেকনাফ পৌর এলাকার হাসপাতাল হতে টেকনাফ ষ্টেশান পর্যন্ত ড্রেন না থাকার কারনে বর্ষার পানি প্রধান সড়কের উপর চলাচল করে এবং এতে যানবাহন চলাচলের বিঘœ সৃষ্টি হয়। পুরাতন পল্লান পাড়ার পাহাড়ী ও উপজেলা পরিষদ এলাকার পানি চলাচলের একমাত্র ড্রেন বা চড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের দক্ষিনে পানি চলাচলের চড়া ও ব্রীজটি  স্থানীয় বাড়ীর সীমানা প্রাচীন ও স্থাপনা নির্মাণ করার ফলে ১০ থেকে ১৫টি বাড়ী বর্ষার পানিতে ডুবে থাকে। পানি চলাচলের স্থায়ীভাবে কোন ড্রেন না থাকাতে পুরাতন পল্লান পাড়ার নীচু এলাকা জলাবদ্ধতার মধ্যে থাকে। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে টেকনাফ পৌরসভা এ সমস্যা সমাধানকল্পে ১৭ টি বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে ৬০ লাখ টাকা প্রকল্প হাতে নিয়েছে। উক্ত প্রকল্পের মধ্যে প্রায় প্রকল্প ড্রেইন। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পৌর এলাকা জলাবদ্ধতা থেকে রেহায় পাবে বলে পৌর মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ইসলাম জানান।