
ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান জানান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও শিমুল বিশ্বাসকে ২০১৩ সালের ৬ মে মতিঝিল থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় ৬ মাসের জামিন দেওয়া হয়। ৫ মে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট তাণ্ডবে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহজাহান হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করে।
এ দুটি মামলায় তাদের উসকানিদাতা হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ছাড়া মওদুদ আহমদকে মতিঝিল থানায় করা গাড়ি ভাঙচুরের একটি এবং দুদকের করা আরও একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। বাকি তিনজনকে আরও একটি করে মামলায় গ্রেফতার দেখানো রয়েছে। তাই তারা কারামুক্তি পাচ্ছেন না।
এদিকে হেফাজতের ঘটনায় দায়ের করা এ দুটি মামলায় হান্নান শাহকে ছয় মাসের জামিন দানের পাশাপাশি হরতাল-অবরোধের ঘটনায় করা আরও তিনটি মামলায় জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তার বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা না থাকায় তার কারামুক্তিকে কোনো বাধা নেই।
ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাঙচুরের অভিযোগে আটক দেখানো একটি মামলায় হাইকোর্ট ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন। এর আগেও দুটি মামলায় তিনি চট্টগ্রাম জজ কোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন এবং হাইকোর্ট তাকে যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ ছাড়া গ্রেফতার ও হয়রানি না করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই তার কারামুক্তিতে কোনো আইনগত বাধা নেই।’
উল্লেখ্য, রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে গত বছরের ৮ নভেম্বর মওদুদ আহমদ, একমে আনোয়ার, রফিকুল ইসলাম মিয়া ও শিমুল বিশ্বাসকে, ২৪ নভেম্বর হান্নান শাহকে এবং চট্টগ্রাম থেকে ২৮ নভেম্বর মীর নাসিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা কারাগারে রয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন