ডেস্ক রিপোর্ট: উখিয়ার সমুদ্র চ্যানেল দিয়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া আদম পাচার উদ্ধেগ জনক হারে বেড়ে চলছে। রোহিঙ্গা সহ ১৩৫ জন দালাল আদম পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ থাকলেও তারা থেকে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গত ১ বছরে এসব দালালরা কমপক্ষে সহস্রাধিক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালয়েশিয়া পাচার করেছে। তৎমধ্যে কয়েক শতাধিক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বজন হারাদের আহাজারীতে গ্রাম গঞ্জের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠলেও দেখার কেউ নেই। এক শ্রেনীর বেকার যুবক ও বর্তমান সরকারের আমলে বৌদ্ধ বিহার হামলা সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামী হয়ে পালিয়ে বেড়ানো অনেক মানুষ স্বল্প ব্যায়ে সাগর পথে মালয়েশিয়া গমন করছে। বৈধ ভাবে একজন মানুষ মালয়েশিয়া গমন করতে কমপক্ষে তিন লাখ টাকার প্রযোজন পড়ে।
সেক্ষেত্রে দালালের মাধ্যমে সাগর পথে মালয়েশিয়া গমন করলে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার প্রয়োজন পড়ে। পুলিশ, বিজিবি, কোষ্টগার্ড সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কড়া নজরদারী না থাকায় উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার সমুদ্র চ্যানেল অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। এ সমুদ্র সৈকতটি সরাসরি বঙ্গোপসাগরের সাথে সংযুক্ত থাকায় মালয়েশিয়া আদম পাচারের নিরাপদ রোড হিসাবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। বিশেষ করে উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যা¤প থাকায় ক্যা¤প ভিত্তিক একাধিক দালাল চক্র মালয়েশিয়া আদম পাচারের সাথে সরাসরি জড়তি রয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। থানা পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে কিছু কিছু দালাল আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের ভুমিকা নিস্ক্রিয় থাকায় আদম পাচার অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও মানব পাচার প্রতিরোধে সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ প্রজ্ঞাপন আকারে জারী করলেও উখিয়ায় এ আইনের কার্যকারিতা নাই বললে চলে। সচেতন মহলের মতে মানব পাচার আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে মানব পাচার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
সেক্ষেত্রে দালালের মাধ্যমে সাগর পথে মালয়েশিয়া গমন করলে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার প্রয়োজন পড়ে। পুলিশ, বিজিবি, কোষ্টগার্ড সহ সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কড়া নজরদারী না থাকায় উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার সমুদ্র চ্যানেল অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। এ সমুদ্র সৈকতটি সরাসরি বঙ্গোপসাগরের সাথে সংযুক্ত থাকায় মালয়েশিয়া আদম পাচারের নিরাপদ রোড হিসাবে ব্যবহার করছে পাচারকারীরা। বিশেষ করে উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়া শরনার্থী ক্যা¤প থাকায় ক্যা¤প ভিত্তিক একাধিক দালাল চক্র মালয়েশিয়া আদম পাচারের সাথে সরাসরি জড়তি রয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। থানা পুলিশ মাঝে মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে কিছু কিছু দালাল আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনের ভুমিকা নিস্ক্রিয় থাকায় আদম পাচার অপ্রতিরোধ্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও মানব পাচার প্রতিরোধে সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ প্রজ্ঞাপন আকারে জারী করলেও উখিয়ায় এ আইনের কার্যকারিতা নাই বললে চলে। সচেতন মহলের মতে মানব পাচার আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং পাচারের সাথে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনলে মানব পাচার প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
উখিয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে মালেয়েশিয়া আদম পাচারের সাথে যে সব লোকজন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছে এরা হচ্ছেন ঃ-
টেকনাফের লেদা ক্যা¤েপর মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে নুর হোছন (২৪), মৃত জমির হোসনের ছেলে মোঃ নাগু (৩৫), নাজির পাড়া গ্রামের মৃত মনি উল্লাহর ছেলে কামাল (৩০), কুতুপালং শরনার্থী ক্যা¤েপর আলী আহম্মদের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৮), আমিন উল্লাহ প্রঃ নাগুর ছেলে মোঃ ফারুক (১৯), শামশুল আলমের ছেলে জোবাইর হোসেন (২০), কক্সবাজার কালুর দোকান এলাকার রোহিঙ্গা মোঃ জুহারের ছেলে মনজুর আহম্মদ (১৮), মৃত কালা মিয়ার ছেলে কাশেম (৪০), জাহিদ হোছনের ছেলে আবুল কালাম (২৬), চট্টগ্রাম কর্ণফুলি চিরার টেক গ্রামের রোহিঙ্গা মোঃ আজিম (৩৬), উখিয়ার রূপপতি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে জমির মিয়া, গফুর মিয়া (৩৮)। তারা ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর রাত ১টায় উখিয়ার জালিয়া পালং ইউনিয়নের রূপপতি গ্রামের মৃত ইসলাম মিয়ার ছেলে আব্দুল গফুর (৩৮) এর বাড়ীতে মালয়েশিয়া আদম পাচার করার জন্য লোকজন জড়ো করলে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ধাওয়া করে ৯জন দালাল কে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আই.সি মোঃ সাঈদ মিয়া বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ২০ নভেম্বর রাতে জালিয়া পালং ইউনিয়নের বঙ্গোপ সাগরের তীরবর্তী উত্তর মাদারবুনিয়া ঘাট এলাকার ঝাউ বাগানে কুতুপালং শরনার্থী ক্যা¤েপর সেকান্দরের ছেলে আবু ছৈয়দ (২৬), আবু ছিদ্দিক (৩০), চোয়াংখালী গ্রামের শামশুল হকের ছেলে ছলিম উল্লাহ (৩০), মাদারবুনিয়া গ্রামের শফিকুর রহমানের ছেলে আব্দুল জলিল (২৫) মালয়েশিয়া পাচারের জন্য লোকজন জড়ো করলে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ধাওয়া করে ২ জন দালাল কে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আই.সি মোঃ সাঈদ মিয়া বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে জালিয়া পালং ইউনিয়নের ডেইল পাড়া মেরিণ ড্রাইভ সড়কস্থ জাগির হোসনের দোকানের পশ্চিম পাশ্বে সাগর পাড়ে জালিয়া পালং ডেইল পাড়া গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে মোঃ আবু তাহের (৩৫), আহম্মদ হোছনের ছেলে জসিম উদ্দিন (২৮), রফিক উল্লাহ (৩০), রহমত উল্লাহ (৩২) কুতুপালং শরনার্থী ক্যা¤েপর রোহিঙ্গা মৃত ফোরকান আহম্মদের ছেলে রবিউল আলম (২২) মালয়েশিয়া পাচারের জন্য লোকজন জড়ো করলে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ধাওয়া করে ৩ জন দালাল কে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক মোঃ জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত ২০১২ সালের ২৯ নভেম্বর রাতে বঙ্গোপ সাগরের তীরবর্তী জালিয়া পালং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনার পাড়া গ্রামের শামশুল আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮), এর বাড়ীতে কুতুপালং শরনার্থী ক্যা¤েপর মৃত ফারুক আহম্মদের ছেলে ছৈয়দ আমিন (২৭), হাছু মিয়ার ছেলে হামিদ হোসেন (২২), জাফর আহম্মদের ছেলে আরিফ উল্লাহ (২০), শফি উল্লাহর ছেলে ছৈয়দ কাশেম (১৯), কামাল হোছনের ছেলে রশিদ উল্লাহ (২০), উলা মিয়ার ছেলে মোঃ কালু (২০), সোনার পাড়া গ্রামের মির আহম্মদ প্রঃ মিরু বলির ছেলে মোঃ শফিউল আলম (৩০), নাজির হোছন প্রঃ নাজুর ছেলে জয়নাল আবেদিন (২৮), শামশুল আলমের ছেলে জালাল উদ্দিন (২৮) মালয়েশিয়া পাচারের জন্য লোকজন জড়ো করলে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ধাওয়া করে ৬ জন দালাল কে গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক মোঃ জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর রাতে বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী জালিয়া পালং ইউনিয়নের দক্ষিণ মাদারবুনিয়াস্থ এল.জি.ই.ডি সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে আব্দুল¬াহ এর সুপারী বাগানে টেকনাফের শাপলাপুর পুরান পাড়ার শফি উল্লাহর ছেলে আশিক উল্য¬াহ (২০), শহীদুল¬্যাহ (৩২), মৃত হাবিব উল্লাহর ছেলে শফি উল¬্যাহ (৬০), মালয়েশিয়া পাচারের জন্য লোকজন জড়ো করলে ইনানী পুলিশ ঘটনাস্থলে হানা দেয়। এ সময় দালার ও মালেশিয়াগামী ছত্র ভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যাওয়ায় চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া করে ১ জন দালাল কে গ্রেপ্তার করে ও বিপুল পরিমান সরজ্ঞাম উদ্ধার করে। ব্যাপারে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আই.সি মোঃ সাঈদ মিয়া বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত ২০১৩ সালের ১১ মার্চ রাতে জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া এস আলম হ্যাচারীর পার্শ্বে মেরিণ ড্রাইভ সড়কে সোনার পাড়া গ্রামের মৃত কাদের হোছন বৈদ্যর ছেলে নুরুল কবির (৪০), নুরুল কবিরের ছেলে নুরুল আবছার (২০), বশির আহম্মদের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৫), মোঃ ইলিয়াছের ছেলে সাগের আলী প্রঃ সাগর (৩০), নুরুল আলম মাঝি মোঃ আলম (৩৫), সোনাইছড়ি গ্রামের মোঃ সোলতান প্রঃ হাতী সোলতানের ছেলে জিয়াউল হক (৩৮), শফি আলম (৩৮), মালয়েশিয়া পাচারের জন্য লোকজন জড়ো করলে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ধাওয়া করলে দালাল চক্র কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক মোঃ জয়নাল আবেদিন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
২০১৩ সালের ১৭ আগষ্ট রাত ১১ টায় মনখালী গ্রামের মোহাম্মদ হোছন প্রঃ ফেসুক্রুরী (৪৫) এর বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ৩০ জন মালয়েশিয়াগামী লোকজন সহ ৪ দালাল কে আটক করে। আটককৃতরা হলেন, মনখালী গ্রামের বশরত আলীর ছেলে মোহাম্মদ হোছন প্রঃ ফেসুক্রুরী (৪৫), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দু রাজ্জাক (২৮), মোঃ ফয়সাল (৩২) ও মোহাম্মদ হোছন (৩৫)। এ ঘটনায় উখিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ ইব্রাহীম খলিল বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়াও মালয়েশিয়া মোহাম্মদ শফির বিল গ্রামের মোজাফফর আহম্মদের ছেলে মনজুর আলম (২৯), মৃত ইসলাম মিয়ার ছেলে আব্দুস ছালাম (৩০), মৃত নুর আহম্মদের ছেলে জমির আহম্মদ (৩০), রামু এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে মোস্তাক আহম্মদ (৪২), চোয়াংখালীর কালা মিয়ার ছেলে জাহেদ মেম্বার, মনখালীল মনির আহম্মদের ছেলে নুরুল আবছার প্রঃ ধইল্লা (৩৮), রূপপতির ইসলাম মিয়ার ছেলে আব্দুস ছালাম (৩৬), চেপটখালীর মোঃ শাকুরানের ছেলে আব্দুল জলিল (৩৫), মৃত ছৈয়দ করিমের ছেলে নবী হোছন (৪২), থাইংখালী রহমতের বিল গ্রামের মোজাহের মিস্ত্রির ছেলে আলতাজ আহম্মদ (৪০), শাপলাপুর বাহার ছড়া গ্রামের শামশুল আলম প্রঃ বাঘ শামশু সহ জালিয়া পালং, সোনাইছড়ি, লম্বরী পাড়া, সোনার পাড়া, ডেইল পাড়া, ইনানী, রূপপতি, চোয়াংখালী, বোয়াংখালী, মাদার বুনিয়া ও মনখালী এলাকার একাধিক মানুষ মানব পাচারের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মোহাম্মদ শফিরবিল এলাকার মোজাফফর আহম্মদের ছেলে মনজুর আলম (২৯) পাচারের উদ্দেশ্যে লোকজন জড়ো করার জন্য তার বসত ঘরের পার্শ্বে পৃথক ঘর ও মৃত ইসলাম মিয়ার ছেলে আব্দুস ছালাম (৩০) পৃথক ৪টি টিনসেড ঘর নির্মাণ করেছে। এসব ঘর গুলো বর্তমানে রোহিঙ্গা রফিক (৩৮) ও ফকির আহম্মদ (৪০) এর নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। তারা যুবতী নারীদের পাচারের জন্য নিরাপদ আস্থানা হিসাবে এসব ঘরে আশ্রয় দিয়ে রাখে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি দালাল মনজুর আলম (২৯) ও আব্দুস ছালাম মোহাম্মদ শফির বিল গ্রামের শাহ আলম (৩২), রোহিঙ্গা খোরশেদ আলম (২৭), মনজুর আলম (২৮), চেপটখালীর আনোয়ার (২৮), ইউনুছ (২৬), মোঃ বাবুল (২৫) সহ বেশ কিছু লোককে কৌশলে মালয়েশিয়া পাচার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মালেয়েশিয়া যাওয়ার পথে যে সব মানুষ নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, তারা হলেন ঃ-
২০১৩ সালের ৫ জুন বিকালে কুতুপালং গ্রামের ছৈয়দ নুরের শিশু সন্তান মোঃ ইব্রাহিম (১৭) কে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার করে একই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মোঃ ইলিয়াছের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন (৪৫), ইলিয়াছের ছেলে মোঃ মামুন (২১), জামাতা মোঃ হান্নান (৪০), মৃত কাদির হোছনের ছেলে মোঃ রশিদ (৫০), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে মোঃ আলী (৪৭) এ ঘটনায় ছেলে হারিয়ে ছৈয়দ নুরের অসহায় স্ত্রী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে উখিয়া থানায় অভিযোগ করলেও তার ছেলের এখনো সন্ধান পায়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উজেলার কুতুপালং কচুবনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে মোক্তার আহম্মদ (৫৮) উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানান, ২০১৩ সালের ১৩ জুলাই কুতুপালং গ্রামের ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে মোঃ কামাল (৩০) সহ তার গ্রামের জালাল মিয়া (৩০), মোঃ শাহ জাহান (২০), রিপন বড়–য়া (১৫), মিকু বড়–য়া (২০), সুপন বড়–য়া (১৭), অনিল বড়–য়া (৩২), রিবন বড়–য়া প্রঃ কহলু (২৬), নিপন বড়–য়া (২০), খলিলুর রহমান (৪৮) দের সাগরপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাচার করে করে দেয় কুতুপালং গ্রামের ছৈয়দ আহম্মদের ছেলে মোঃ কামাল (৩০)। এ ঘটনায় উখিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এখানো তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
গত এক মাস পূর্বে কুতুপালং ধইল্যাঘোনা এলাকার রোহিঙ্গা নাগরিক মোঃ লাল মিয়ার ছেলে নুরুল আলম (৩২) প্রলোভনে ফেলে ওই গ্রামের ৮জন বেকার যুবককে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচার করে দেয়। তৎমধ্যে মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে কামাল উদ্দিন ড্রাইভার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন