
সমুদ্র সৈকত ছাড়াও পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, ছেড়াদ্বীপ সোনাদিয়া, রামুর বৌদ্ধ বিহার, আদিনাথ মন্দির, বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কসহ জেলার পর্যটন স্পটগুলো।
হোটেল সী-গালের নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ইমরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতার দূর হওয়ায় এবং হরতাল-অবরোধ না থাকার কারণে পর্যটকরা আগমন করছে। ফলে গত এক বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করেন তিনি। অন্যদিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার ও অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুর রহমান কোম্পানী বলেন, টানা হরতাল-অবরোধ এবং দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় পর্যটন শিল্পে যে বিপর্যয় নেমে এসেছিল তা গত এক মাস ধরে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ফলে বন্ধ হোটেল-মোটেল ও রেষ্টুরেন্ট ফের খুলছে। এদিকে পর্যটকদের আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ। পর্যটকরা যাতে করে ছিনতাই’র কবলে কিংবা হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকে এবং পর্যটক বেশে পুরুষ ও মহিলা পুলিশ কাজ করছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ফেব্র“য়ারী থেকে একের পর এক হরতাল-অবরোধ আর রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে বিপর্যয় দেখা দেয় কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে। ভর পর্যটন মৌসুমেও পর্যটকের দেখা না মেলায় বন্ধ হয়ে যায় শতাধিক হোটেল-মোটেল, গেষ্ট হাউস ও রেষ্টুরেন্ট। সাথে চলে কর্মচারী ছাঁটাই। কয়েক কোটি টাকার ক্ষতিও হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন