কক্সবাজারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে ও পূর্নিমার তিথিতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে মঙ্গলবার কক্সবাজারের ৪ উপজেলার ৩২ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সে সাথে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাঁধ আরো ভেঙ্গে গেছে।
বাধঁ ভেঙ্গে জেলার ৭৮ টি চিংড়ি প্রকল্পের মাছ ভেসে গেছে। বিশেষ করে মহেশখালীর ধলঘাটায় আজকের জোয়ারের সময় এমন কোন জায়গা নেই, যে খানে পানি উঠে নাই বলে জানিয়েছেন, সখানকার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লাহ বাচ্ছু,তিনি ১৯৯১ সালের পর এত পানি আর হয়নি বলে ও জানান। উপকূলের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। বয়ে যাচ্ছে ধমকা হাওয়া।
এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন,পূর্নিমার তিথি ও রবিবার চন্দ্র পৃথীবির খুব কাছা কাছি আসার কারনে সাগরে জোয়ারের পানি বেড়ে গিয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার দিনের জোয়ারে কক্সবাজার সদর,কুতুবদিয়া,মহেশখালী ও টেকনাফের ৩২ টি গ্রাম সাগরের লবন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ও বাধঁ ভেঙ্গে জেলার ৭৮ টি চিংড়ি প্রকল্প প্লাবিত হয়ে ৩ কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে বলে চিংড়ি প্রকল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোর্শেদুর রহমান খোকন জানিয়েছেন। সোমবার থেকে জেলার উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে ধমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারনে পানি আরো বেড়ে যায় বলে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ একে এম নাজমুল হক জানিয়েছেন। সে সাথে সাগরে লঘু চাপ সৃষ্টির কারনে ও পানি বেড়ে যায় বলে তিনি জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন