এরশাদ এখন ক্ষমতার ডিগবাজিতে ব্যস্ত!

ডেস্ক রিপোর্ট
হঠাৎ রাজনীতিতে ফুরফুরে অবস্থানে জাতীয় পাটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এরশাদের কদর বাড়ছে দুই শীর্ষ দলের কাছে। এরশাদ এখন ক্ষমতার ডিগবাজিতে ব্যস্ত। ক্ষমতাসীন দল
চাচ্ছে এরশাদ মহাজোটে থাকুক, অন্যদিকে বিএনপি চাচ্ছে এরশাদ মহাজোট থেকে বেড়িয়ে আসুক। অন্যদিকে এরশাদ বার বার মহাজোট ছেড়ে একক নির্বাচনের ঘোষণা দিলেও মহাজোট ছাড়তে পারছেন না। অদৃশ্য এক সুতার টানে মহাজোটেই থাকছেন তিনি। জোট মহাজোটের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি এখন তুরুপের তাস। পার্টিও চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ আওয়ামী লীগ-বিএনপির কাছে ক্ষমতায় যাওয়ার বাজির ঘোড়ার মতো। আর সেই এরশাদের নিয়ন্ত্রক এখন পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ ও জিএম কাদের । জাপা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটে থাকবে কী থাকবে না, বিএনপির সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটে যোগ দেবে কী দেবে না, বা অন্যকোন নির্বাচনী জোট গড়ে তুলবে কী না তার ঠিক করছেন কাজী জাফর। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে আপন করতে রশি টানাটানি চলছে। এ প্রতিযোগিতায় নেমেছেন দুই নেত্রী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন মহাজোটে রাখতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। আর এরশাদকে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটে টানতে রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাবও দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে উভয় জোটের নেতারা নানামুখী যোগাযোগ করছেন বলে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে। সম্প্রতি জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে একক নির্বাচন ও মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দেয়া হলেও এরশাদের পক্ষে কখনোই মহাজোট ছাড়া সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন জাতীয় পাটির নেতা-কর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে জাপার অনেক নেতা বলছেন, পার্টি চেয়ারম্যান এরশাদের নাটাই এখন কাজী জাফরের হাতে। অন্যদিকে জিএম কাদের ও নাটাই ঘুড়াচ্ছেন। এরশাদের কাছে পরীক্ষিত এই নেতা, এরশাদের শাসনামলের প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর এখন জাপার বড় ফ্যাক্টর। অন্যদিকে নিজ ভাই জিএম কাদের কথা শুনছেন। তিনি জাপার রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর। হেভিওয়েট কয়েকজন নেতা আছেন কাজী জাফরের সঙ্গে, অন্যকিছু জাপা হেভিওয়েট কিছু নেতা আছেন জিএম কাদেরের সাথে। নেতাসহ দলের সিংহভাগ নেতাকর্মী আছেন তার সঙ্গে। মহাজোট থেকে বেরিয়ে আসতে দলের চেয়ারম্যানকে শুরু থেকেই জোর তাগিদ দিয়ে আসছেন তারা। তবে দলের অপর একটি অংশ মনে করে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে জাতীয় পার্টিকে মহাজোট ছাড়তে হবে। এ বিষয় জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলের মুখপাত্র কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, এরশাদ সাহেব বিচক্ষণ রাজনীতিক। একটি দলের নেতা-কর্মীরাই হলো দলের প্রাণ। তাই স্যার কর্মীদের চাওয়ার বাইরে যাবেন না বলেই আমার বিশ্বাস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপার এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, মহাজোট ছাড়ার চাপ থাকলেও স্যার কেন মহাজোট ছাড়েন না এটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। মনে হচ্ছে অদৃশ্য এক সুতার টানে স্যার আটকে আছেন। তবে যে কানাঘুষা চলছে তা যদি সরকার করে এদেশের মানুষ তা বিশ্বাস করবে না।