পেকুয়ায় সামুদ্রিক জোয়ারে বেড়িবাঁধের ১৫টি ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি ঢুকছে লোকালয়ে

মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন
কক্সবাজারের পেকুয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের বেড়িবাঁধ উপচে ও ১৫টি ভাঙ্গা দিয়ে সামুদ্রিক জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকছে। কোন কোন এলাকায় জোয়ার-ভাটা চলছে।
এতে ওই এলাকার শত শত মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছে। গতকাল ২৬ জুন পূর্ণিমার জোয়ারে এসব এলাকার বেড়িবাঁধ উপচে যায়। দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারের না হলে ওই এলাকায় আমন চাষ ও চিংড়ি চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। এলাকাবাসি ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত পুনঃনির্মাণের দাবী জানিয়েছে।
এলাকাবাসি জানায়, গতকাল ২৬ জুন পূর্ণিমার জোয়ারে সাগরে পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। এতে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কাকপাড়া, শরত ঘোনা, রাজাখালী ইউনিয়নের সুন্দরী পাড়া ও উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া এলাকার পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের বেড়িবাঁধ উপচে ও ভেঙ্গে গিয়ে সমুদ্রের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। কিছু কিছু এলাকায় সমুদ্রের পানি ঘরবাড়িতেও উঠে গেছে। অনেক চিংড়ি প্রকল্প পানিতে ভেসে গেছে। এলাকাবাসি জানায় এসব এলাকায় আগে থেকে বেড়িবাঁধ খারাপ অবস্থায় ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেড়িবাঁধ ক্ষয়ে গিয়ে অনেক নিচু হয়ে গেছে। ফলে বড় জোয়ারেও এখানে সমুদ্রের পানি লোকালয়ে উঠে।
       পানি উন্নয়ন বোর্ড়র পেকুয়ার শাখা কর্মকর্তা ফয়জুর রাব্বী জানিয়েছেন, পেকুয়ায় প্রায় ১৫কিঃমিঃ বেড়িবাঁধ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত আছে। এতে ১৫টি ভাঙ্গা পয়েন্ট দিয়ে এখন সামুদ্রিক জোয়ারের পানি উঠানাম করছে। তিনি জানান এসব ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ ও ভাঙ্গা নির্মাণের জন্য ২কোটি টাকার চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে, কিন্তু এখনও কোন বরাদ্দ মেলেনি। মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল মোস্তাফা চৌধুরী জানিয়েছেন, মগনামা কাকপাড়া ভাঙ্গাটি গত বছর থেকে খোলা। এবছরও এই ভাঙ্গা দিয়ে সমুদ্র থেকে পানি ঢুকছে। দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ বা সংস্কারের না হলে ওই এলাকায় আমন চাষ ও চিংড়ি চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা রয়েছে।
     কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন জানান, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না পাওয়ায় এসব বেড়িবাঁধ সংস্কার করা যাচ্ছে না।