আদালতের কাজে অসহযোগিতা করায় কক্সবাজার জেল সুপারের লঘু শাস্তি

সংবাদ দাতা
টেকনাফ থানার একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া আসামী সনাক্তকরণ মহড়ায় (টি আই প্যারেড) বিচারককে অসহযোগিতার দায়ে কক্সবাজারের জেলা কারাগার তত্বাবধায়ককে (জেল সুপার) আদালত
চলাকালীন সময় পর্যন্ত কোর্টের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে রেখে লঘু শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট (টেকনাফ আদালত) নিশাত সুলতানার আদালতে এ ঘটনা ঘটেছে। বিচারক এ সংক্রান্ত একটি আদেশের অনুলিপি প্রেরণ করেছেন সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট।

আদালতে পুলিশের মামলা পরিচালনাকারী জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম জানান, গত ৩০ এপ্রিল টেকনাফ থানায় জামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে একটি ডাকাতি মামলা (জিআর-২৩২/১৩) দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা অজ্ঞাত। পুলিশ এ মামলার আসামী সন্দেহে ৫ জনকে গ্রেফতারের পর কারাগারে প্রেরণ করে। গ্রেফতার হওয়া আসামীদের সনাক্তকরণের জন্য গত ১৭ জুন বিচারক দিন ধার্য করে কারাগারের তত্বাবধায়ককে যথারীতি অবহিত করেন। ম্যাজিষ্ট্রেট নিশাত সুলতানা গত ২৪ জুন ধার্যদিনে কারাগারে আসামী সনাক্তকরণের জন্য উপস্থিত হলেও কারা তত্বাবধায়ক এ ব্যাপারে অসহযোগিতা করে আদালতের আদেশ অবজ্ঞা, অবমাননা এবং দায়িত্বে অবহেলা করেন বলে বিচারক অর্ডার শীটে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে বিচারক কারা তত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে কেন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না-তা জানতে চেয়ে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত হতে নির্দ্দেশনা প্রদান করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারি শহিদুল ইসলাম জানান, গতকাল কক্সবাজার কারাগারের তত্বাবধায়ক সাঈদ হোসেন আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। এ কারনে ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত চলাকালীন সময় (সকাল ১১ টা থেকে সোয়া ১২ টা) পর্যন্ত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রেখে প্রথম বারের মত তাকে ক্ষমা করে দেন। এ প্রসঙ্গে কারাগারের তত্বাবধায়ক সাঈদ হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানান-‘ম্যাজিষ্ট্রেট খবর না দিয়ে তাৎক্ষনিক কারাগারে আসায় আমার ২০ বছরের চাকুরিজীবনে এরকম একটি ঘটনা ঘটে গেছে।’ এরকম ঘটনাকে তিনি ছোট খাট বিষয় বলে উল্লেখ করে এটি পত্রিকায় না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।