কক্সবাজার শহরেরে কয়েক স্পটে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের উৎপাত

এম আমান উল্লাহ
পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরে কয়েকটি চিহ্নিত স্পট ঘিরে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। লক্ষ করা যাচ্ছে বেশ কিছু অপরিচিত লোকজনের আনাগুনাও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বয়সে তরুণ ও কিশোর শ্রেণিরা এসব অপরিচিত লোকের আবাধ বিচরণ সম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় পথচারী, ব্যবসায়ীসহ সর্বশ্রেণির মানুষের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে ফযরের আগ পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু লোকজনের আনাগুনার বেড়ে যায় শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত হোটেল আল মুবিনের নিচে মতিলাল দাশের পানের দোকানে, বার্মিজ মার্কেট এলাকায়, ফজল মার্কেটের সামনে ও লাল দিঘীর পাড়। তৎমধ্যে বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতি হোটেল আল মুবিনের নিচে মতিলাল দাশের পানের দোকানসহ আশেপাশে। জানা গেছে, এসব এলাকায় আগে কোন দিন দেখা যায়নি এরকম কিছু তরুণ ও কিশোর বয়সী বখে যাওয়া মাদক আসক্তদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয় রাতের সাথে পাল্লা দিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকার আশেপাশে অলিগলিতে বিশেষ করে মতিলালের পানের দোকানের সামনের রাস্তায় নাম্বার প্লেটবিহীন বিভিন্ন মটর সাইকেল ও রঙ বেরঙের গাড়ি ঘুরাফেরা করে। স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, এই এলাকার হোটেল আল মুবিনের স্বত্বাধিকারী জৈনক মুবিনুল হককে তার ভাড়াটিয়া পানের দোকানদার মতিলাল দাশ দীর্ঘদিন দোকান ভাড়া থাকার অজুহাত নিয়ে হোটেল আল মুবিন কমপ্লেক্স দখল করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাত জেগে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদেরও আনাগুনা বেড়ে গেছে এবং তাদের ধারণা এই এলাকায় বড় ধরণের কোন একটা অঘটন ঘটতে পারে। সচেতন মহলের ধারণা এব্যাপারে আইন শৃংখলা বাহিনী আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে সন্দেহজনক এসব অজ্ঞাত ব্যক্তিদের প্রতিহত না করলে এখানে খুন কিংবা অপহরণসহ বড় ধরণের কোন নাশকতা ঘটতে পারে। ফজল মার্কেট এলাকায় বসবাসকারীরা জানান, আমরা দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকায় বসবাস করে আসছি। কিন্তু এই এলাকায় পরিচিত ছাড়া অপরিচিত ও সন্দেহজনক কাউকে দেখিনি। ইদানিং এখানকার সড়ক ও উপ-সড়কগুলোতে দেখা যায় রাতভর রঙ বেরঙের মানুষ। এমনকি মাদকাসক্ত যুবকদের বেশি দেখা যায় । ওই সময় তাদের পরিচয় জানতে চাইলে অচেনা যুবক পিস্তল দেখিয়ে সোঁজা বাসায়  চলে যেতে বলেন। সাথে সাথে মোটর সাইকেল নিয়ে চটকে পড়ে। এরপর তাদের মনে ভীতি সঞ্চার হলেও কাউকে চিনতে না পারায় বিষয়টি এখনো তাদেরকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে। শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যদি আইন শৃংখলার বাহিনীর টহল না থাকে তাহলে তো এরকম অবস্থা কেন ? যেকোন সময় খুনাখুনি হতে পারে। কারণ এই সড়কে জনগুরুত্বপূর্ণ আইনজীবি, পেশাজীবি, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের যাতাযত রয়েছে। এদিকে হোটেল আল মুবিনের স্বত্বাধিকারী মুবিনুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মতিলাল আমার ভাড়াটিয়া পানের দোকানদার তার সাথে বনিবনা না হওয়ায় ওই দোকানদারকে আমি পানের দোকান ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ করেছি। নোটিশ পেয়ে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার হোটেল দখল করার পায়তারা চালিয়ে আসছে এবং তার দোকানে সন্ত্রাসীদের আনাগুনাও লক্ষ করা যাচ্ছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে তড়িৎ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানিয়েছেন।