টাইটানিক এর চাঞ্চল্যকর সত্যি ঘটনা!


ব্লগথেকে: আজ থেকে ১০০ বছর আগে ১৯১২ সালের ১৪/১৫ই এপ্রিল উত্তর আটলান্টিকে বরফের চাইয়ের আঘাতে খন্ড বিখন্ড হয়ে ডুবে যায় টাইটানিক জাহাজ। জাহাজ ডুবির ইতিহাসে এটিই হল সবচে বিয়োগান্তক ঘটনা। টাইটানিক নিয়ে তৈরী হয়েছে অসংখ্য সিনেমা, লেখা হয়েছে গল্প,নাটক, উপন্যাস।
অনেক গান, অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে রেডিও, টেলিভিশনে। । ১৯৯৭ সালে জেমস ক্যামেরুন নির্মিত এবং লিওনার্ডো ডি ক্যাপ্রিও অভিনীত “টাইটানিক”(Titanic) ছিল রেকর্ড ভঙ্গকারী চলচ্চিত্র। অটাইটানিকের প্রথম এবং একমাত্র সমুদ্র যাত্রা- ১৯১২ সালের ১০ ই এপ্রিল যখন এটি রওয়ানা দেয় ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন বন্দর থেকে। এবং সেটিই ছিল টাইটানিকের প্রথম এবং একমাত্র সমুদ্র যাত্রা। ১০ তারিখ দুপুরে যাত্রা করে প্রথম নোঙ্গর ফেলে ফ্রান্সের শেরবুর্গ বন্দরে। তারপর আইয়ারল্যান্ডের কুইন্সটাউন এবং কুইন্সটাউন ছাড়ে ১১ ই এপ্রিল দুপুর ১-৩০ মিনিটে। তখন ক্রু এবং যাত্রী মিলে জাহাজে ২,২০০ জন লোক।

১২, ১৩ তারিখ নিরাপদে কেটে গেলেও ১৪ তারিখে সমুদ্রে ভাসমান বরফ খন্ড সম্পর্কে সতর্ক বার্তা পেতে থাকেন ক্যাপ্টেন স্মিথ। রাত ৯-২০ ক্যাপ্টেন সবাইকে সতর্ক থাকতে বলে বিশ্রামে গেলেন। রাত ১১-৪০ এ বরফের চাই যখন খুব কাছে ফার্স্ট অফিসার মারডক নির্দেশ দিলেন জাহাজ বায়ে ঘুরিয়ে পেছনের দিকে সরে যেতে।কিন্তু বড্ড দেরী হয়ে গেছে ততক্ষনে। মুহুর্তের মধ্যেই বরফের চাই আঘাত হানল। যাত্রীরা অধিকাংশ তখন ঘুমে যারা জেগে ছিলেন তারাও খুব বেশী টের না পেলেও ক্যাপ্টেন ঠিকই বুঝলেন । বরফের আঘাতের পর জাহাজের ১৬ প্রকোষ্ঠের মধ্যে ৬ টাতেই পানি ঢুকছে তখন।ক্যাপ্টেন ১২-১০ মিনিটে লাইফবোট বার করতে এবং চারিদিকে বিপদ সঙ্কেত পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বেতার কর্মীদের। ১২-৪৫ এ প্রথম লাইফ বোট পানিতে নামল। ২-০৫ এ যখন শেষ লাইফবোট জাহাজ ছাড়ল তখন বাকীদের আর কোন আশাই থাকল না। যাত্রীরা ভেসে থাকার মত হাতের কাছে যা কিছু পেল (যেমন ডেক চেয়ার) তাই আকড়ে ধরে বাচতে চাইল। ২-১৮ মিনিটে জাহাজ ভেঙ্গে দুটুকরো হয়ে , ২-২০ মিনিটে পুরো জাহাজ তলিয়ে গেল পানির নীচে। পর এক উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ছিল ১৯৫০ সালে নির্মিত চলচ্চিত্র “"A Night to Remember”

পুরো ফিল্মটাই পরিবারের এক প্রধান ব্যক্তিত্বের সাথে তার সুন্দরী বাগদত্তার বিশ্বাসভঙ্গের ঘটনায় পরিপূর্ণ। বাগদত্তা যেই মহিলাটির সাথে ঐ ব্যক্তির বিয়ে হবার কথা ছিল, তথাকথিত স্বাধীন মেলামেশার সুযোগে ঐ মহিলাটি বিশ্বাসভঙ্গ করে। মজার ব্যাপার হলো, হলিউডের চলচ্চিত্র এ ধরনের স্বাধীন মেলামেশার পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে থাকে। সেজন্যে ঐ মহিলার বিশ্বাসভঙ্গ করাটাকে ফিল্মে এমনভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে দর্শকরা তাদের মনের অজান্তেই ঐ মহিলার অন্য পুরুষের সাথে গড়ে ওঠা সম্পর্ককে নৈতিক এবং মানবিক সম্পর্ক হিসেবে মেনে নিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে। অথচ যৌনতার লাগামহীন এই সম্পর্ককে যে-কোনো বিবেকবান মানুষ, যে-কোনো ধর্ম কিংবা নৈতিকতা সম্পন্ন যে-কোনো আদর্শই প্রচণ্ড ঘৃণার চোখে দেখে। এবং বলা বাহুল্য যে – ১৮ বছরের রোজ (নায়িকা) এবং ১৯ বছরের জ্যাক (নায়ক) এর রোম-খাড়া-করা-যৌন-উত্তেজনা-ছড়ানো প্রেমের কাহিনীটিও সম্পূর্ণ বানোয়াট। আরো বানোয়াট নিচের কাহিনীটিওঃ

কাহিনীটি নিম্নরূপঃ

কোনদিনও ডুববে না এমন দাবি করে ১৯১২ সালে প্রথম বিহারেই ১৫০০ যাত্রী নিয়ে বিলাসবহুল টাইটানিক আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাবার পর যে সকল কাহিনী প্রচারিত হয়েছিল তাদেরই একটি এক অভিশপ্ত মমির অভিশাপ। আর এই মমিটি ইজিপ্টের রাজকুমারী আমেন রা এর। বলা হয় মমির অভিশাপের কারনেই ভাসমান বরফদ্বীপের সাথে ধাক্কা খেয়েছিল টাইটানিক। গল্পটি বহু বছর ধরে প্রচারিত হলেও এর পালে হাওয়া লাগে অস্কার বিজয়ী টাইটানিক ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাবার পর।

গল্পটি এরকম - ১৮৯০ সালের শেষার্ধে এক ধনী ইংরেজ লুক্সরের কাছে এক প্রত্নতাত্নিক খননকাজ দেখতে যান। তিনি সেখান থেকেই কেনেন কফিনশুদ্ধ রাজকুমারীর এই মমিটি। এরপর তিনি জাহাজে করে মমিটি দেশে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন কিন্তু বন্দরে মমিটি গ্রহণ করার জন্য আর উপস্থিত থাকতে পারলেন না। তিনি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন। বাস্তবিকই তাকে আর কোনদিনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গী অপর তিন জনের একজন কিছুদিন পরেই মারা যান, দুর্ঘটনায় একজনের হাত কাটা পড়ে আর অপরজন ব্যাংক ফেল করায় সর্বসান্ত হন।

কফিনটি ইংল্যান্ডে পৌছলে একজন ব্যবসায়ী তা কিনে নেন। এর ফলে সেই ব্যবসায়ীর পরিবারের তিনজন মোটর দুর্ঘটনায় আহত হন এবং তার বাড়ীতে আগুন লাগে। মমিটিকে অভিশপ্ত মনে করে সেই ব্যক্তি এটি ব্রিটিশ মিউজিয়ামে দান করে দেন।

মিউজিয়াম এটিকে সাদরে গ্রহণ করলো। কিন্তু মিউজিয়ামের কর্মচারীরা রাত্রিবেলা শুনতে পেল কফিনের ভেতর থেকে তীব্র কান্নাস্বর। প্রদর্শনী কক্ষের জিনিসপত্রগুলো সব এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখা গেল। মারা গেল এক প্রহরী। এ কথা জানতে পেরে এক ফটোগ্রাফার কফিনের ছবি তুলে আনলেন। ছবি ডেভেলপ করার পর ছবিতে যে বীভৎস রূপ তিনি দেখলেন তাতে আত্নহত্যা করেই তিনি মুক্তির পথ খুঁজলেন।

ব্রিটিশ মিউজিয়ামও আর এসব সহ্য করতে পারছিল না। কিন্তু মমিটির কুখ্যাতি এতটাই ছড়িয়েছিল যে এ থেকে তারা সহজে মুক্তি পাননি। অবশেষে একজন আমেরিকান প্রত্নতত্ত্ববিদ এসব কিছুকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়ে কিনে নিলেন মমিটি আর টাইটানিকে চড়িয়ে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন। আর এরপরের ঘটনা তো সবারই জানা।

তবে এই গল্পের আরেকটি ভার্সনে বলা হয় সেই প্রত্নতত্ত্ববিদ টাইটানিকের এক নাবিককে ঘুষ দিয়ে মমিটি লাইফবোটে তোলেন এবং এটি আমেরিকা পৌছায়। এরপর মমিটি আবার হাতবদল হয়ে আরো কয়েকবার সমুদ্রবিহার করে অবশেষে সাগরতলে আশ্রয় নেয়।

বলাই বাহুল্য – ঐ কাহিনীও সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ডাহা মিথ্যে। তাহলে আসল ঘটনা কী? আসল সত্য কী?

নিচে দেখুন আসল ঘটনা যা’ টাইটানিক ডুবির আসল ও সত্যিকারের কারণঃ

ইতিহাসে দেখা যায় – ১৮৩০? সালের শুরুর দিকে আমেরিকার কোন সেন্ট্রাল ব্যাংক ছিল না। এসময় জেসুইট্স্-রা মরিয়া হয়ে উঠে একটি প্রাইভেট সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার জন্য যাতে তারা একটি তলাবিহীন ঝুড়ি তৈরী করতে পারে যা’ থেকে টাকা নিয়ে পৃথিবীজুড়ে গোপন পরিকল্পনার মাধ্যমে যুদ্ধ বিগ্রহ ও নানান অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা চালাতে পারে।

সময় ১৯১০ সাল। স্থান জেকিল আইল্যান্ড। নাম পরিচয় গোপন করে ৭ জন লোক অতি গোপনে সাংবাদিকদের চোখ এড়িয়ে আমেরিকার জর্জিয়া উপকূলের অদূরে জেকিল আইল্যান্ডে মিলিত হয়। উদ্দেশ্য? আমেরিকায় কেন্দ্রিয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা। ব্যাংকের নাম “ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক”। ঐ ৭ জন লোক হলো Nelson Aldrich, Frank Vanderlip (এ দু’জন রকফেলার অর্থ সাম্রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী), Henry Davison, Charles Norton, Benjamin Strong (J.P. Morgan অর্থ সাম্রাজ্যের প্রতিনিধিত্বকারী), Paul Warburg (ইউরোপের রথচাইল্ড ব্যাংকিং ডাইনেষ্টির প্রতিনিধিত্বকারী)। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই যে রথচাইল্ড ব্যাংকিং ডাইনেষ্টি আবার রোমান ক্যাথলিক ভ্যাটিক্যান জেসুইট্স্দেরও এজেন্ট। এবং এই জেসুইট্স্-রা আবার রোমান ক্যাথলিক চার্চের অর্থ সম্পদের নিয়ন্ত্রক। অর্থাৎ রোমান ক্যাথলিক ভ্যাটিক্যান, জেসুইট্স্ এবং রথচাইল্ড ব্যাংকিং ডাইনেষ্টি একই চেইনের অন্তর্ভূক্ত। বিভিন্ন দেশের সাংবিধানিক কর্তৃত্বকে খর্ব করে পোপকে বিশ্ব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আনার জন্য তারা যে কোন কিছু করবে, তা’ যতই হীন কাজ হোক-না-কেন।

টাইটানিকের নির্মান কাজ শুরু হয় ১৯০৯ সালে। নির্মান স্থান উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজধানী বেলফাষ্ট। আর এই বেলফাষ্ট হচ্ছে প্রটেষ্টান্টদের স্বর্গভূমি ও ঘাটি। এই প্রটেষ্টান্টদের সাথে আবার জেসুইট্স-দের সম্পর্ক সাপে-নেউলে।

টাইটানিক হচ্ছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিপিং কোম্পানী White Star Line-এর মালিকানাধীন একটি বিলাসবহুল জাহাজ। সে যুগের সেরা সেরা ধনীরা সে যুগের শ্রেষ্ঠ বিলাসি জাহাজ টাইটানিকের টিকেট কেনে। কেউ কেউ এমন আছে যে তারা তাদের সমগ্র জীবনের সঞ্চিত সম্পদ নিয়ে ঐ জাহাজ চড়ে।

ব্যাংকিং-ই একমাত্র ব্যবসা নয় J.P. Morgan এর যাতে প্রচন্ড ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িত, সে আমেরিকার জাতীয় রেল লাইন ব্যবসার উপর কর্তৃত্বকে ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক শিপিং ট্রাষ্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরী করে যাতে জার্মানীর বৃহত্তম দু’টি শিপিং লাইন, ইংল্যান্ডের White Star Lineও অন্তর্ভূক্ত।

ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক এর প্রসঙ্গে আসা যাক। একদিকে মরগান, রকফেলার এবং রথচাইল্ড পরিবারবর্গ আমেরিকায় একটি প্রাইভেট সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় মরিয়া হয়ে উঠে, অন্যদিকে ক্ষমতায়, বিত্তে এবং প্রতিপত্তিতে তাদের চাইতে কোন অংশে কম যায় না, এমন কিছু ধনী লোক ছিলো যারা ছিলো প্রাইভেট কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোরতর বিরোধী। তারা রথচাইল্ড গ্রুপের পথের কাঁটা হয়ে দাড়ায়। এ যেন বাঘে মোষে লড়াই।

এসময় ভ্যাটিক্যানের মিলিশিয়া বাহিনী “জেসুইট্স্-রা এগিয়ে আসে। Jesuits General মরগানকে নির্দেশ দেয় “টাইটানিক” বানাবার। ব্যাপক প্রচার প্রপাগান্ডা চালানো হয় যে “টাইটানিক” এমন একটি জাহাজ যা’ কোনদিন ডুবে যাবে না (An Unsinkable Ship?)। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিলো একটি মৃত্যু-জাহাজ (Death Ship), যেটি তৈরী করা হচ্ছিলো তাদের জন্য যারা রথচাইল্ড পরিবারের জন্য “ফেডারেল রিজার্ভ সিষ্টেম” প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। এটি এমন একটি মার্ডার প্ল্যান যা’ কেউ ঘুণাক্ষরেও বলবে না যে এটি একটি “হত্যা”। এবং কেউ এটিও বলবে না যে এটি “জেসুইট্স্”দেরই কাজ। সন্দেহের ছিঁটেফোঁটাও যাতে না-থাকে সেজন্য ক্যাথলিক-জেসুইট্স্-রা তাদের স্বগোত্রীয় অন্যান্য নামীদামী রোমান ক্যাথলিক এলিটদেরও টাইটানিকে ভ্রমনের প্ররোচনা (Motivate) করে। দাওয়াত দেয়। অনেক আইরিশ, ফ্রেঞ্চ এবং ইতালিয়ান রোমান ক্যাথলিক প্রমোদ ভ্রমনের জন্য “টাইটানিকে” উঠে। স্বগোত্রীয় ঐ সব লোক এমন যে তারা দুনিয়া থেকে খরচ হয়ে গেলেও Jesuits-দের কিছু যায় আসে না। তাদের মূল লক্ষ্য পথের কাঁটা দূর করা। এবং তা’ যেকোন প্রকারেই হোক। টাইটানিকের নির্মানস্থল “বেলফাষ্ট” থেকেও অনেক প্রটেষ্টান্টকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিলো আমেরিকা ভ্রমনের জন্য। এবং সকলেই সে আমন্ত্রণে সাড়া দেয়।

ক্ষমতায়, বিত্তে যারা বিপদজনক হতে পারে এমন সবাইকে আমন্ত্রণ জানায় জেসুইট্স্-রা টাইটানিকে ভ্রমন করার জন্য। এদের মধ্যে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো ৩ জন।

Benjamin Guggenheim, Isador Strauss, and John Jacob Astor (ঐ সময়ের পৃথিবীর ১ নং ধনী ব্যক্তি)। ঐ তিন জনকে টাইটানিকে ভ্রমনে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিলো। নানান কূটকৌশল ও ছলাকলার আশ্রয় নেয়া হয়েছিলো। যে কোন মূল্যেই তাদের ভাসমান প্রাসাদ টাইটানিকে উঠাতে হবে। কেননা তাদের অর্থ, প্রভাব ও ক্ষমতা “ফেডারেল রিজার্ভ সিষ্টেম” প্রতিষ্ঠার পথে একমাত্র বাধা। তাই যে কোন প্রকারেই হোক তাদের দুনিয়া থেকে সরাতে হবে। তা’ না-হলে তাদের অন্যান্য গোপন পরিকল্পনাও বাস্তবায়ন হবে না। এবং অন্যান্য গোপন পরিকল্পনার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে “যুদ্ধ” বাধানো। দেশে দেশে, জাতিতে জাতিতে যুদ্ধ বাধানো একটি লাভজনক ব্যবসা। খুবই লাভজনক ব্যবসা। ঐ লাভ বিবাদমান কারোই হয় না; লাভ হয় না-বিজয়ীর, না-বিজিতের। লাভ হয় শুধু যুদ্ধে যারা অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে। প্রচুর লাভ। শুধু যে আর্থিক লাভ তা নয়, যুদ্ধের ফলে বিবাদমান উভয় পক্ষ ক্রমে ক্রমে অর্থ বিনিয়োগকারীর পাতা ফাঁদে আটকা পরে। অধিক থেকে অধিকতর। তাই ভ্যাটিক্যান-জেসুইট্স্-রথচাইল্ড গোষ্টি তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় যে-সব যুদ্ধ বাঁধাবার পরিকল্পনা রয়েছ, এবং ঐ যুদ্ধ থেকে যে প্রভূত লাভের স্বপ্ন দেখছে, তাতেও ঐ তিন জন বড় বাঁধাস্বরুপ। তাই যে কোন মূল্যে তাদের দুনিয়া থেকে খরচ হয়ে যেতে হবে। অতএব দেখা যাচ্ছে যে, যুদ্ধ মানেই লাভ, লাভ, আর লাভ। কার লাভ? লাভ না-বিজয়ীর, না-বিজিতের। লাভ হয় শুধু যুদ্ধে বিনিয়োগকারীর। কেননা যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার জন্যে বিবদমান উভয় পক্ষেরই অর্থের প্রয়োজন হয়। ঐ অর্থ আসে তৃতীয় পক্ষ থেকে। এবং শেষমেষ যুদ্ধে ঐ তৃতীয় পক্ষেরই লাভ। এ জন্যেই ইসলাম ধর্মের পয়গম্বর হজরত মোহাম্মদ (স.) এক হাদীছে বলেছিলেন, “অধিকাংশ যুদ্ধ হচ্ছে একটি প্রতারণা বিশেষ”। সে যুগের প্রেক্ষাপটে ঐ হাদীছের মর্ম বোঝা দূরুহই বটে। কিন্তু এ যুগের প্রেক্ষাপটে এটি পরিষ্কার বোঝা যায়।

যাই হোক, এবার ঘটনার মূল স্রোতে আসা যাক।

Edward Smith ছিল টাইটানিকের Captain.। North Atlantic জলপথে জাহাজ চালানোর তার ২৬ বছরের অভিজ্ঞতা। এবং ঐ সময়ে সে ছিলো পৃথিবীর সবচাইতে অভিজ্ঞ মাষ্টার। এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এই যে, দীর্ঘকাল যাবৎ সে ছিলো J.P. Morgan/Jesuits-এর অধীনে কর্মরত। Edward Smith ছিলো Jesuits Tempore Co-adjutor.।অর্থাৎ সে পাদ্রী ছিলো না। সে ছিলো Short Robe Jesuit.। Jesuits হতে হলে পাদ্রী হতে হবে এমন কোন কথা নেই। নিয়ম হচ্ছে – Jesuits Order-এ যারা পাদ্রী নয়, তারা নিজনিজ পেশাগত দক্ষতা দিয়ে Jesuits Order-এ সেবা করে যাবে। যে কেউ Jesuits হতে পারে। তবে তাদের Jesuits পরিচিতি সাধারণ্যে প্রকাশিত নয়। গোপন থাকে। কেউ জানতে পারে না। Edward Smith-ও তেমনি তার পেশা জাহাজের ক্যাপ্টেন হিসেবে Jesuits Order-এ সেবা করে যাচ্ছিল।

সময় ১০ এপ্রিল, ১৯১২।

দক্ষিণ ইংল্যান্ড থেকে টাইটানিকের যাত্রা শুরু হবে হবে এমন অবস্থা। Father Francis Browne, ক্যাপ্টেন Edward Smith এর Jesuits Master, টাইটানিকে উঠেন। এ লোকটি সমগ্র Ireland-এ সবচেয়ে ক্ষমতাধর। ও শুধু রোমে Jesuits Order-এর General-কেই জবাবদিহিতা করে। অন্য কাউকেই নয়। জাহাজে উঠেই Father Francis Browne কিছু ছবি তোলে, যার মধ্যে Victim-দের ছবিও রয়েছে। ছবি তোলার পর সে ক্যাপ্টেন-এর সাথে বৈঠক করে। কিছু Brief করে। এবং এসময় সে ক্যাপ্টেনকে Jesuits হিসেবে তার শপৎ এর কথা মনে করিয়ে দেয়। এবং পরবর্তী সকালে তাকে বিদায় জানিয়ে জাহাজ থেকে অবতরণ করে।

Edward Smith-কে নির্দেশ দেয়া হয় Titanic-কে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য। এবং বস্তুতঃ ঠিক সেটাই সে করে। Captain Edward Smith তার প্রভুর (The Jesuit General) আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। Jisuit Order –এর প্রভুর নির্দেশ। প্রভুর নির্দেশে যে কোন কিছুই করা বৈধ। অবশ্য পালনীয়। তা’ ভালমন্দ যে কাজই হোক। নিরীহ নির্দোষ মানুষকে হত্যা করা, লুন্ঠন করা কিংবা যৌনতা সংক্রান্ত যেকোন অপরাধ।

অন্যান্য যে কোন Jesuits-এর মত Edward Smith একজন Jesuit Order এর member হিসেবে যে শপৎ তা’ একটু দেখা যাকঃ

Jesuits হিসেবে ঐ শপথের মাধ্যমে Captain Edward Smith-ও ইচ্ছে-বিবেক-বুদ্ধিবিহীন একজন যন্ত্রমানবে পরিণত হয়। Jesuits Order –এর ইচ্ছে অনুযায়ী Captain Smith এখন যে কোন কাজ করতে বাধ্য, তা’ যত নিষ্ঠুর ও হীন কাজই হোক-না-কেন। এ যেন Jesuit হিসেবে Captain Smith এর শহীদ হয়ে যাওয়া।

দৃঢ়, নিঃশঙ্খ Captain Smith, একজন রোবটের মতো, যে-কিনা জানে ঐ কালরাত্রিতে জাহাজে তার কাজ কী? Smith এখন Jesuit শপথের অধীন। অন্য কথায়, ভূবন বিখ্যাত জাহাজ Titanic তৈরী-ই হয়েছিলো Jesuits এর শত্রুপক্ষকে নিধন করার জন্য।

২৬ বছরের পরিচিত অতলান্তিকের এই জলপথে তিন রাত্রি অবিরাম চলার পর Captain Smith হঠাৎ জাহাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। সমানে, পূর্ণ গতিতে। নিকশ কালো ঘুঁটঘুটেঁ অন্ধকার রাত। অমাবষ্যা। সামনে প্রায় ৮০ বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত বরফের চাঁই (ICE BERG / ICE FIELD)।

ইতিমধ্যেই আটটি সতর্কীকরণ Telegram এসে পড়েছে; জাহাজ খুব দ্রুতগতিতে চলছে। নেভিগেশান কন্ট্রোল গতি কমাতে বলছে। সেদিক ভ্রুক্ষেপ নেই Captain Smith এর। এত অভিজ্ঞ একজন কাপ্তানের এতগুলো সতর্কীকরণ (Cautions) প্রয়োজন আছে কি? মোটেই না। কারণ সে ঐ জলপথে প্রায় ২৬ বছর জাহাজ চালিয়েছে। ঐ পথ তার নখদর্পনে। চিরচেনা। সে অতি অবশ্যই জানে যে এই ঐ এলাকায় বরফের পাহাড় (Ice Berg) রয়েছে। তাই আটটি কেন, আটশ’ টেলিগ্রামও তাকে থামাতে পারতো না। কেননা সে এখন Jesuit শপথের ও আদেশের অধীন (Under Jesuit’s Oath and Order)। যে কোন মূল্যে Titanic ডুবিয়ে দিতে হবে। ধ্বংস করতে হবে।

বারবার টাইটানিকের গতি কমানোর নির্দেশ সংবলিত ঐ টেলিগ্রাম Smith কাছে আসলেই হাস্যকর। কারণ সে এখন অন্য জগতের মানুষ। বিবেক-বুদ্ধি বর্জিত একজন যন্ত্রমানব। তার প্রভু এখন ভ্যাটিক্যানে। সে প্রভুর নির্দেশই এখন সে মানবে। পালন করবে। অন্য কোন নির্দেশই আর কার্যকর হওয়ার নয়। আশ্চর্য্য হলেও সত্য যে, নিকটবর্তী বাণিজ্যিক মালবাহী কোন জাহাজ যাতে Titanic এর উদ্ধারে/সাহায্যে এগিয়ে না-আসে, সেজন্য আকাশে বিপদসংকেত (Distress Flares) ছোঁড়া হয় সাদা রংয়ের। অথচ হওয়া উচিৎ ছিলো “লাল” রংয়ের। কোন জাহাজে সাদা রংয়ের Distress Flare ছোঁড়া মানে হচ্ছে ঐ জাহাজে এখন “পার্টি” (Party) চলছে। আর “লাল” রং মানে “বিপদ”।

Titanic ট্রাজেডি হচ্ছে বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ট্রাজেডি। এবং নৃশংস ট্রাজেডি সংঘঠিত হয় Roman Catholic Jesuits-দের হাতে। মাত্র ৩ জন লোককে দুনিয়া থেকে সরাবর জন্য প্রায় ১৫০০ লোককে প্রাণ দিতে হয়েছে। উদ্দেশ্য Federal Reserve Systerm প্রতিষ্ঠা করা। ঐ তিনজন লোক তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছিলো। তাছাড়া প্রভূত ধনসম্পদের ক্ষতি গুণতে হয়েছে। কোন পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। সর্বশান্ত হয়েছে। কোন কোন পরিবারের সব সদস্যকেই প্রাণ দিতে হয়েছে।

প্রচুর বই, চলচ্চিত্র, প্রামাণ্য চিত্র, স্মারক রচিত হয়েছে Titanic-কে ঘিরে। কিন্তু তারা অধিকাংশই সত্য প্রকাশ করেনি, বরঞ্চ, ওগুলো তৈরী করা হয়েছে “সত্য”-কে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য।

এপ্রিল ১৯১২। ইতিমধ্যেই Federal Reserve System প্রতিষ্ঠার পথে সকল প্রতিবন্ধক নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। দূরীভূত করা হয়েছে।

ডিসেম্বর ১৯১৩। প্রাইভেট কেন্দ্রীয় ব্যাংক Federal Reserve System প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৮ মাসের মধ্যে Jesuits এর কাছে পর্যাপ্ত অর্থ এসে গেছে ১স বিশ্ব যুদ্ধ বাঁধাবার। Jesuits পরিকল্পিত ১ম বিশ্ব যুদ্ধ শুরু।

Central Bank কী? কাকে বলে?

Central Bank হচ্ছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেটি পুরো একটি দেশের জন্য নোট/মুদ্রা ছাপায়/বানায়/তৈরী করে। পূর্ব ইতিহাস/নজির থেকে দেখা যায় – নোট তৈরী করতে গিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট যে দু’টি ক্ষমতা ভোগ করে তা’ হোল –

১. সুদের হার (Interest Rate) নিয়ন্ত্রণ এবং

২. সমগ্র দেশের জন্য মুদ্রা যোগানের (Money Supply) নিয়ন্ত্রণ।

সরকারী অর্থব্যবস্থায় Central Bank শুধু এমনি এমনি টাকা যোগায় না, তারা সরকারকে দেয়া প্রতি ডলার নোটের উপর একটি নির্দিষ্ট হারে সুদ ধার্য করে। অর্থাৎ সরকার Central Bank থেকে সুদের বিনিময়ে অর্থ ঋণ হিসেবে নেয়। এ থেকেই পরিষ্কার বোঝা যায় যে – Central Bank কর্তৃক ইস্যুকৃত/ছাপানো নোটের মূল্য কী বা কত হবে, তার নিয়ন্ত্রণ থাকে Central Bank এর হাতে এবং তা’ তারা বাজারে (বা সরকারকে) অর্থ/মুদ্রা যোগান বাড়িয়ে বা কমিয়ে করে থাকে। বুঝতে একটু কষ্ট হলেও এই ব্যবস্থা (System/Structure) শেষ পর্যন্ত যা’ পরিণতি ডেকে আনে তা’ হলো “ঋণ” (Debt)। ঋণের ফাঁদ।

প্রতিটি ডলার তৈরী হওয়া মানে হলো “সেই ডলার + তার সাথে সংযুক্ত সুদ। ধরা যাক - এক ডলার সমান ১.১৫ ডলার (USD. 1 = USD. 1.15)। এবং যেহেতু Central Bank এর কাছে ডলার/মুদ্রা ছাপানোর একমাত্র অধিকার (Monopoly Right), তাই তাদের দেয়া প্রতি ডলার ঋণের সাথেই সংযুক্ত থাকে সুদ। কিন্তু সুদ বাদে মূল ঋণের ডলারগুলো কোথা আসে? তা’ আসে ঐ Central Bank থেকেই। তার মানে হলো Central Bank প্রতিনিয়তই ডলার ছাপাতে এবং যোগাতেই থাকে বিরামহীনভাবে। এবং ঋণের পর ঋণ, ঋণের পর ঋণ, এভাবেই চলতেই থাকে। ফলশ্রুতিতে তৈরী হয় ঋণের বোঝা বা দাসত্ব। ঋণ = দাসত্ব

যখন সরকার FED (Federal Reserve) থেকে ঋণ নেয় কিংবা জনগণ যখন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, তখন সরকার ও জনগণ উভয়কে তা’ সুদ সমেত ফিরিয়ে দিতে হয়। কিন্তু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কিংবা সরকার যখন FED থেকে ঋণ নেয় তখন তা’ হয় আসল বা Principal Amount রূপে; তাহলে পরিশোধ্য সুদ বা Interest এর মুদ্রা কোথায়??? নাই! সুদের নোটগুলোর অস্তিত্বই নাই। তাই বলা হয় – যদি কখনও এরকম অবস্থার সৃষ্টি হয় যে জনগণ ও সরকার তাদের সমস্ত টাকা/ঋণ শোধ করে দেয়, তবে মার্কেটে লেনদেনের জন্য একটি মুদ্রাও আর অবশিষ্ট থাকবে না। তাই ঐ সুদ (Interest) পরিশোধের জন্য জনগণ/সরকারকে আবার ঋণ গ্রহণ করতে হয়। এভাবে সমাজে একদিকে মানুষ শ্রম বিক্রি করে যেতে থাকে এবং সাথে সাথে বাণিজ্যিক কর্মকান্ড চলতে থাকে এবং এভাবেই বিরাগহীনভাবে মানি সার্কুলেশান চালু থাকে। কিন্ত সুদের মুদ্রা কখনই ছাপানো হয় না। এবং এ জন্যই পৃথিবীতে মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) হয় । সব দেশেই। আমরা যেমন বলি এখনকার ৫০০ টাকা ৫ বছর আগের ১০০ টাকার মতো। অর্থাৎ মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া। সব ঐ সুদেরই কারসাজি যেটি মুদ্রানীতির (Monetary System) মধ্যেই লুকিয়ে (Built-in) থাকে। অর্থনীতির ছাত্র না-হওয়ার এর গাণিতিক সমীকরণটি দিতে পারলাম না। দুঃখিত।

একটি অনুসিদ্ধান্ত আসা যায় যে সর্বমোট ঋণের মুদ্রা/ডলার/টাকা বাজারে Circulation হওয়া টাকা থেকে বেশীই থাকে।

আমেরিকার ইতিহাসে একবারই সরকার সমস্ত লোন শোধ করে দিয়েছিলো। এবং তা হলো ১৮৩৫ সালে প্রেসিডেন্ট Andrew Jackson এর আমলে। Jackson সমস্ত ঋণ পরিশোধ করে Central Bank নামক সাপকে বন্ধ করে দিয়েছিলো। কিন্ত তাকে বাঁচতে দেয়া হয়নি। Jackson ঐ ব্যাংকারদের “চোর ও সাপ” নামে অভিহিত করেছিলো।

এছাড়া প্রেসিডেন্ট Abraham Lincolnও ঐ প্রাইভেট ব্যাংকারদের ফাঁদ থেকে বাঁচার জন্য সরকারী মালিকানায় Greenback চালু করেছিলো। কিন্ত তাকেও বাঁচতে দেয়া হয়নি। মেরে ফেলা হয়েছিলো।

Money=Debt. আবার Debt = Slavery.। এই ঋণের দাসত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না সরকার, না জনগণ। আমেরিকার অন্যতম স্থপতি থমাস জেফারসন তার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন এভাবেঃ

অর্থাৎ “আমি মনে করি – ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানসমূহ অত্যাধুনিক সুসজ্জিত সেনাবানিনীর চাইতেও বেশী ভয়ংকর। এবং আমেরিকার জনগণ যদি কখনোও সরকারী/ব্যক্তিমালিকাধীন (Private Bank) ব্যংকসমূহকে তাদের দেশের জন্য মুদ্রা ছাপানোর সুযোগ দেয়, তবে একদিন ঐ প্রতিষ্ঠান সমূহ আমেরিকার জনগণকে গৃহহারা করবে, যা’ তাদের পূর্বপুরুষরা তাদের দিয়ে গিয়েছিলো।

১৯১০ সালে আমেরিকার জর্জিয়ার উপকূলে অতি গোপন এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এবং এখানেই Central Banking Bill (FEDRAL RESERVE ACT) তৈরী করা হয়। ঐ বিল বা খসড়া আইন তৈরী করে কিছু অতি বিত্তশালী ধনকুবের। এখানে আইনসভার সদস্যদের (Law Makers) কোন হাত ছিলো না। অবগতিও ছিলো না। ১৯৩৩ সালের শেষের দিকে মুদ্রার বিপরীতে স্বর্ণমান (Gold Standard) সম্পূর্ণ উঠিয়ে দেয়া হয়। ১৯৩৩ সালের আগে ডলার নোটের উপর স্বর্ণমান বা Gold Support এর কথা লেখা ছিলো। কিন্তু ১৯৩৩ এর পরে নোটের উপর লেখা হয় – It is a legal tender. অর্থাৎ এর পিছনে কোন কিছুর Support নাই, এক টুকরো মূল্যহীন কাগজের টুকরো। এখন একমাত্র যে জিনিষটি ডলার এর মূল্য নির্ধারণ করে তা’ হলো বাজারে এর Supply এর পরিমান দ্বারা। অর্থাৎ Central Bank কী পরিমাণ ডলার ছাপাচ্ছে এবং বাজারে ছাড়ছে, তা’র উপর। কাজে কাজেই মুদ্রা যোগান নিয়ন্ত্রণ (Power to Regulate Money Supply) ক্ষমতা মানেই হলো মুদ্রার মূল্য নির্ধারণ ক্ষমতা (Power to regulate its value)। এর আরেক মানে হলো এমন ক্ষমতা যা’ সমস্ত দেশ, সমাজ ও অর্থনীতিকে কারো পায়ের তলায় রাখা। হাতের মুঠিতে রাখা। সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা।

এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো এই যে Federal Reserve System (আমেরিকার কেন্দ্রিয় ব্যাংক) হলো একটি Private Corporation। এ তথ্য সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, অনেক শিক্ষিত আমেরিকানদেরই জানা নেই। এরা (Owners of Federal Reserve System) নিজেরাই নিজেদের নীতি নির্ধারণ (Policy Making) করে থাকে। এখানে সরকার বা জনগণের কোন এখতিয়ার নেই। ক্ষমতা নেই। এটি একটি প্রাইভেট ব্যাংক যেটি সুদের বিনিময়ে আমেরিকার সরকারকে সমস্ত অর্থ ঋণ হিসেবে দিয়ে থাকে।

আমরা কমবেশী সবাই জানি যে ১৭৭৫ সালে আমেরিকায় বিপ্লব হয়। যেখানে ইংল্যান্ডের ঐ আমেরিকান ছোট ছোট উপনিবেশগুলি শাসক ইংল্যান্ডের রাজতান্ত্রিক অত্যাচার অনাচারের নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে চায়। বিপ্লবের কারণ হিসেবে নানান কথা বলা হলেও বিপ্লবের আসল কারণ হলো মুদ্রা তৈরী। এ সময় ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় জর্জ আমেরিকার স্বাধীন সুদমুক্ত মুদ্রা ছাপানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। শাসক ইংল্যান্ড জোরজবরদস্তি চায় যে উপনিবেশ আমেরিকা তাদের (ইংল্যান্ড) ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে সুদভিত্তিক ঋণ নিক। কিন্ত উপনিবেশ আমেরিকা চায় এ থেকে মুক্ত হতে। প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর উক্তি থেকে বিপ্লবের কারণ স্পষ্ট হয়ে উঠে।

অর্থ ছাপানো নিয়ে আমেরিকা সেই যে নানা মাত্রিক ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়ে তা’ থেকে আর মুক্ত হতে পারেনি। উপরে বর্ণিত “জেকিল আইল্যান্ড” হচ্ছে সেই ষড়যন্ত্রের ক্ষুদ্র একটি অংশ। আব্রাহাম লিংকন, এ্যান্ড্রু জ্যাকসন, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন সহ আরো কয়েকজন দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হাজারো চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় নিজেদের সুদমুক্ত একটি কেন্দ্রিয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য যা’ কি-না আমেরিকার জনগণের জন্য মুদ্রা তৈরী ও যোগান দিবে। কিন্তু প্রাইভেট ব্যাংকারদের বহুমূখী ষড়যন্ত্রের সাথে এটেঁ উঠতে পারেনি। ১৯১৩ সালে ষড়যন্ত্রকারীরা Federal Reserve System নামে একটি প্রাইভেট কেন্দ্রিয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়ে এবং আমেরিকার সরকার ও জনগণকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ফেলে।


- See more at: http://www.bengalinews24.com/selecter-news/2013/06/27/8791#sthash.bk9HDoZ9.dpuf