ঈদগাঁওতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সহস্রাধিক বসতবাড়ী পানিবন্দী

ঈদগাঁহ প্রতিনিধি
সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁওতে মুষলধারে অবিরাম বৃষ্টি ও ঈদগাঁও নদীর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সহস্রাধিক বাড়ীঘর পানিবন্দী হয়ে মানবিক বিপর্যয়ে সৃষ্টি হয়েছে। পানিবন্দী জনগণ ছাড়াও
আমন ধানের বীজতলা সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে অনেক এলাকা গলাসমান পানিতে ডুবে গেছে। ব্যস্ততম বাণিজ্য কেন্দ্র ঈদগাও বাজারে জমেছে হাটু পরিমাণ পানি। ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও ঈদগাঁও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানি বন্দী।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদরের ঈদগাঁও, জালালাবাদ, ইসলামাবাদ, পোকখালী, ইসলামপুর, ভারুয়াখালী ও চৌফলদন্ডীর নিম্নাঞ্চল সমূহ প্লাবিত হয়ে জলাশয়ের মতো দেখাচ্ছে পুরো এলাকা। উপকূলীয় ইউনিয়ন গুলোতে গতকয়েক দিনের প্রবল জোয়ারে বেড়ীবাঁধ বিধস্থ হওয়ায় লোনা পানি ঢুকেছে লোকালয়ে। পানি নিষ্কাশনের জন্য ওয়াপদার স্লুইচগেটের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষন না থাকায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে না পারায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। পানিবন্দী লোকজন অন্যত্র সরে গিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে। আবদ্ধ দূষিত পানির কারণে অনেকেই  রোগাক্রান্ত হচ্ছে। টানা বৃষ্টির কারণে খেটে-খাওয়া মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে। কাজে যেতে না পারায় দিন মজুর শ্রেণীর লোকজন চরম অভাবের মধ্যে দিনাতিপাত করছে। শুক্রবার ঈদগাঁও বাজারে জনসমাগম অন্যদিনের তুলনায় কম দেখা গেছে। অন্যদিকে রাতভর টানা বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় বসতবাড়িতে চুরির খবর পাওয়া গেছে। বৃষ্টি ও রাতের আধারকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পেশাদার অপরাধী ও চোর ডাকাত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন ও আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে পানিবন্দী জনগণের জান-মালের সার্বিক নিরাপত্তাবিধান করার জন্য প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঈদগাঁও’র সর্বস্তরের জনগণ।