উপকূলীয় ২ হাজার একর প্যারাবন বেদখলে

প্যারাবন কেটে লবণ মাঠ ও চিংড়ি ঘের নির্মাণ

এম.রায়হান চেীধুরী চকরিয়াঃ কক্সবাজার জেলার উপকূলে জেগে উঠা বনবিভাগের মালিকানাধীন সাড়ে ৫ হাজার একর বন ভূমির মধ্যে ২ হাজার একরই বেদখলে। উপকূলের প্রভাবশালী সিন্ডিকেটরা ঐ ভূমি দখল করে নেয়। বন বিভাগ ঐ সব প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ও জবর দখলকারীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি। জবর দখলকারীরা এখনও বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে।


উপকূলীয় রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়,চকরিয়াস্থ চিলখালী, কাউয়ার দিয়া, চৌফলদন্ডী-খুরুস্কুলে প্রভাবশালীরা সন্ত্রাসীকে দিয়ে সরকারী বন ভূমি জবর দখল করে নিচ্ছে। বন বিভাগের আপত্তি থাকা সত্বেও লবণ ও চিংড়ি চাষের জন্য উপকূলের চর ভূমি ও বন ভূমি নামে মাত্র ইজারা- বন্দোবস্তর নামে সরকারী বন ভূমি দিন দিন জবর দখল করে নিচ্ছে। ফলে অসংখ্য ভূমি দিন দিন হাত ছাড়া হয়ে যাচ্ছে। উপকূলের চর ভূমিতে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম ভাবে সৃষ্ট ম্যানগ্রোভ বাগান স্থানীয় উপকূল বাসীর জানমাল, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির রক্ষাকবচ হিসাবে অদ্বিতীয় ভূমিকা পালন করে এলেও এখন তা কিছু ভূমি খাদকের কবলে পড়েছে। সরকার উপকূলীয় এলাকায় ম্যানগ্রোভ বাগান সৃষ্টির মাধ্যমে জান-মাল রক্ষা ও ভূমির স্থায়ীত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলার উপকূলীয় এলাকায় জেগে উঠা সব চরে বন বিভাগ ম্যানগ্রোভ বাগান সৃষ্টি করেন। কিন্তু প্রশ্ন জাগে তা কিভাবে লিজ নেয় প্রভাবশালীরা চিংড়ি ঘের ও লবণ চাষের জন্য। ৯১ এর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় ম্যানগ্রোভ বাগান ধ্বংস হওয়ায় উপকূলীয় এলাকায় বন ভূমি লিজ না দেয়ার জন্য  সব সরকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন। এ নির্দেশ  উপেক্ষা করে সদরের চকরিয়া কাওয়ার দিয়া, চিলখালী, খুরুস্কুল- চৌফলদন্ডী- পোকখালী ও ইসলামপুর উপকূলে বাগান ধ্বংস করে লবণ উৎপাদন ও চিংড়ি ঘের করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। এসব ইউনিয়নের উপকূলের প্যারাবণ কেটে লবণ মাঠ ও চিংড়ি ঘের নির্মাণ কারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা সহ বন বিভাগের সংশ্লিষ্টাতর মাধ্যমে প্যারাবন এলাকায় লিজ প্রদান কারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে উপকূলবাসি। এছাড়া দূর্যোগ কালে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন এসব এলাকার জনগন। এ ব্যপারে উপকূলীয় রেঞ্জের এক কর্মকর্তা জানান লোকবল কম থাকায় আমরা অসহায়। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিলেও স্বল্প সংখ্যক কর্মচারী নিয়ে তা পালন করা কঠিণ হয়ে পড়ে স্থানীয়রা জানান, উপকূলীয় প্যারাবন রক্ষা করা সম্ভব না হলে ৯১ এর ঘুর্ণিঝড়ের মত মারাতœক বিপর্যয় নেমে আসবে জনজীবনে।