রমজান আসার আগেই টেকনাফ বাজারে আগুন!

আবুল কালাম আজাদ
পবিত্র রমজান আসন্ন, তাই টেকনাফ পৌর ও উপজেলার হাট বাজার সমূহের কালোবাজারীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের গুদামজাত ও ২/৩গুণ বাড়িয়ে নিচ্ছে। ফলে ক্রেতা সাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে।
হাটবাজার সমূহ পরিদর্শন করে দেখাযায় প্রতিটি পণ্যে দাম আকাশ ছোঁয়া। ইহা ছাড়া দোকানের পণ্য মূল্যের কোন নির্দিষ্ট তালিকা নেই। ফলে এক এক দোকানে এক এক দর। একটার সাথে অন্যটার কোন মিল নেই। ইহা ছাড়া পবিত্র রমজান উপলক্ষে ক্রেতা সাধারণকে ঠকিয়ে বেশি মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল পণ্য পসরা সাজিয়ে রেখেছেন। স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক কোন বাজার মনিটরিং না থাকায় ঐ কালোবাজারী ও মজুদদারীরা দিন দিন ক্রেতা সাধারণকে ঠকিয়ে বেশী মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে এ ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাজার পরিদর্শন করে দেখা যায় এখনো রমজান শুরু হয়নি এর পরেও ছোলা প্রতি কেজি ৮০/৯০ আবার কোন কোন দোকানে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোয়াবিন তৈল প্রতি কেজি ১৩০ হতে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডাল, চিনি, ময়দা, আটা, গুড়ো দুধ, ঘি, খেজুর ইত্যাদির দাম আকাশ ছোঁয়া। পাশাপাশি সবজি বাজার আগুন, মাংস ক্রয় করা সাধারণ ক্রেতাদের পক্ষে মোটেও সম্ভব হচ্ছে না। মুরগী দেশি কেজি ২০০/২৫০টাকা ফার্ম মুরগী কেজি ১৮০/১৯০টাকা। মাছের দাম ছোট মাছ যেমনি দাম বড় মাছের পাশ্বেই ঘেষা যাইনা সাধারণ ক্রেতাদের। ইলিশ মাছের কেজি ৮/৯শ টাকা। রুপচান্দা, গলদা চিংড়ি, পাংকাশ এর দাম আরও বেশি। তাই এলাকার সাধারণ জনগণ রমজান আসার আগেই স্থানীয় প্রশাসন, পৌরকর্তৃপক্ষ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকর্তৃক বাজার মনিটরিং ও মূল্য তালিকা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন।