দৈনিক বাঁকখালীর একজন জ্ঞানপাপী লেখকের মুখে থুথু

ফরিদুল মোস্তফা খান
নারীর প্রতি বিদ্বেষ নয়, বরং পরম মমতাময়ী মায়ের জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা তথা মুসলিম প্রধান একটি দেশের ঈমান-আকিদা রক্ষার স্বার্থে কক্সবাজারবাণীতে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদকে কেন্দ্র করে বুধবার সতীর্থ দৈনিক বাঁকখালীতে ‘কক্সবাজারের একটি পত্রিকায় নারীর প্রতি কেন এত বিদ্বেষ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
প্রতিবেদনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে মনে হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক সম্পূর্ণ একচোখা নীতিতে এটি তৈরি করে বোঝাতে চেয়েছেন, সামাজিক কোন অনাচার-ব্যভিচারের বিরুদ্ধে একজন নাগরিক হিসেবে সম্পাদক ও সাংবাদিকদের করার কিছুই নেই।
আর প্রতিবেদনটি শুধু কক্সবাজারবাণী কেন, ঢাকার জাতীয় দৈনিক আমাদের অর্থনীতি, মানবজমিন, www.amadershomoybd.com, www.coxsbazarnews.net, www.khobortorongo.com, www.bengalinews24.com, www.chakarianews.com সহ জাতীয় ও স্থানীয় অনেক অনলাইন পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে। অতএব, জনাব নুর-ই চৌধুরী আপনি কি বলতে পারবেন? উল্লেখিত গণমাধ্যমের হাস্যকর বিষয়, যিনি প্রতিবেদনটি লিখেছেন তিনিই একমাত্র সংবাদপত্র, সাংবাদিকতা, পত্রিকার ডিক্লারেশন ও রেজিস্ট্রেশন আইনের সবই জানেন। আর যিনি সম্পাদক হওয়ার সকল নীতিমালা অনুসরণ পূর্বক রাষ্ট্রকে সন্তোষ্ট করে নিজের সম্পাদিত দৈনিকটি প্রতিদিন প্রকাশ করে ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা অর্জন ছাড়াও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি দৈনিক এবং বহুল প্রচারিত একটি অনলাইন গণমাধ্যমে জেলা সংবাদদাতার পদ ডিঙিয়ে আঞ্চলিক প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি কিছুই জানেন না ! 

এছাড়া বাঁকখালীর উক্ত প্রতিবেদক জনাব নূর-ই চৌধুরী শুধু নিজের জ্ঞান জাহির করেছেন তা নয়, সম্পাদকদের জ্ঞান দেয়ারও স্পর্ধা দেখিয়েছেন, তাতে আমার বিচলিত হওয়ার কোন কারণ না থাকলেও বিচলিত হয়েছি এজন্যই, দৈনিক বাঁকখালীর মত একটি পাঠকপ্রিয় পত্রিকা- যার হাত ধরেই আমার সাংবাদিকতার হাতেখড়ি, সেই পত্রিকায় অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে লেখাটি ছাপানো হয়েছে। তবে এতে আমি দু:খ পাইনি, কারণ মনে হচ্ছে প্রতিবেদনটি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলের চোখফাঁকি দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে। কেননা, দৈনিক বাঁকখালী কিছুদিন আগে যার-তার হাতে থাকলেও ইদানিং নাকি উক্ত পত্রিকায় সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতা বোঝেন এরকম কিছু দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন। 
যাই হোক- দৈনিক বাঁকখালীতে প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে জনাব নুর-ই চৌধুরীর মত একজন মহাজ্ঞানী কিংবা সাংবাদিক কক্সবাজারে আছেন, তা জানতাম না ! তাই পত্রিকাটিকে ধন্যবাদ এজন্যই, একজন মহাজ্ঞানীর সাথে অন্তত আমার পরিচয় ঘটিয়েছেন। যার কাছ থেকে সাংবাদিকতার মধ্য বয়সে এসে আমি কিছু আজব জ্ঞান পাচ্ছি! পরিশেষে আমি সেই মহান জ্ঞানী প্রতিবেদক জনাব নুর-ই চৌধুরী সম্পর্কে কিছুই বললাম না, একচোখা এবং প্রচুর জ্ঞান থেকেও অপপথে ব্যবহারকারী হিসেবে শুধু তাঁকে জানাতে চাই, আপনি যা লিখেছেন তার সবই ঠিক, কিন্তু একটি কথা লিখলেন না যে, একজন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক পত্রিকা ডিক্লারেশনের সময় রাষ্ট্রের কাছে এই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকেন যে, তার সম্পাদিত কাগজটি দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের বিরোধিতা ছাড়া রাষ্ট্রীয় কল্যাণকর সব লেখাই প্রকাশ করবেন। অতএব, জনাব নুর-ই চৌধুরী আপনি কি বলতে পারবেন? ডকুমেন্টারি এই সংবাদটি প্রকাশ করে দৈনিক কক্সবাজারবাণী সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করেছে? না! নীতিমালা ভঙ্গ করেনি, বরং সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে রাষ্ট্রকে দেয়া তার প্রতিশ্রুতির যথার্থই পালন করেছে। ধিক্কার নয়, মুখে থুথু দিতে ইচ্ছে হয় আপনার মত জ্ঞানপাপীকে, যিনি প্রকাশিত রিপোর্টের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত না পড়ে ‘মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি’র মত একটি লেখা প্রচার করে দালালের খাতায় নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করলেন। 
থুথুটা এজন্যই কক্সবাজারবাণী ভিডিও ফুটেজের নায়ককে বাদ দেননি, বরং যা ছিল তাই প্রকাশ করেছে। হ্যাঁ, কক্সবাজারবাণী একটি কাজ করেনি, সেটি হচ্ছে যে নারীর জন্য আপনার এত দালালি-মায়া, তার নগ্ন ছবি ছাপায়নি! শুধু তার মত আমাদেরও মা, মেয়ে, কন্যা আছে তাই ওই রকম আপত্তিজনক ছবিটি না ছাপানো যদি অদক্ষতা হয় একজন দক্ষ দালাল হিসেবে আপনাকে সাধুবাদ আর জনাব নূর-ই চৌধুরী! আপনিসহ আমাদের সম্মানিত সকল পাঠকদের কাছে আমরা ক্ষমা প্রার্থীও।

লেখক-
সম্পাদক ও প্রকাশক
দৈনিক কক্সবাজারবাণী 
এবং
আঞ্চলিক প্রধান
 দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন