জেলায় বিট কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় চলছে সরকারী কাঠ পাচার

চেইন্দা খন্দকার পাড়া থেকে ৬০ ফুট কাঠ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলার বিভিন্ন স্থানে বিট কর্মকর্তাদের সাথে গোপন আঁতাতের মাধ্যমে সরকারী বনজ কাঠ চুরি করছে চোর সিন্ডিকেট। বিট কর্মকর্তারা ম্যানেজ হয়ে যাওয়ার কারণে কাঠচোরদের হাতেনাতে ধরেও পার পেয়ে যায়। সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনার বৃদ্ধি পাওয়ায় উজাড় হয়ে যাচ্ছে সামাজিক বনায়নসহ সরকারী বনাঞ্চলের মূল্যবান কাঠ। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজার বিভাগীয় দক্ষিণ বন বিভাগের রামুর চেইন্দা বিট এলাকায়।
স্থানীয় বিট কর্মকর্তা রাশেদ ইবনে সিরাজ ও বিট অফিসের মুন্সি সাইফুল ইসলামের যোগসাজসে একদল চিহিৃত কাঠপাচারকারী সিন্ডিকেট ৬০ ফুট লম্বার ১০ পিচ সামাজিক বনায়নের একাশি কাঠ গোপনে বিক্রি করতে মজুদ করে রামুর মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খন্দকার পাড়ার চেইন্দা বিট অফিসের সাথে লাগোয়া সুলতান আহমদের বাড়িতে। খবর পেয়ে ৪ জুলাই সকালে স্থানীয় লোকজন সুলতানের বাড়ি ঘেরাও করে বাড়রি উঠান ও বাড়ির ভিতর থেকে কাঠগুলো উদ্ধার করে। এলাকার লোকজন জানান, মিঠাছড়ির কাইম্যারঘোনার মৃত আব্দু শুক্কুরের পুত্র ছৈয়দ আলম, ইব্রাহিম খলিল, সাবেক মেম্বার আব্দুর রহিম, চৌকিদার দিল মোহাম্মদ, রশিদ আহমদ, মোহাম্মদ হোসেনের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট বিট অফিসের লোকজনকে মোটা অংকের বিনিময়ে ম্যানেজ করে সামাজিক বনায়নসহ সরকারী বনাঞ্চলের কাঠ রাতে আঁধারে কেটে লোকচক্ষুর অন্তরালে তা বিক্রি করে দেয়। পাশাপাশি উক্ত সিন্ডিকেটটি বিট কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই পাহাড় থেকে মাটি কেটে ডাম্পারে ডাম্পারে করে নিয়ে যায়, অথচ বিট অফিসের লোকজন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, এসব লোকজনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তারা মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে দমিয়ে ফেলে। চেইন্দা বিট অফিসের মুন্সি সাইফুল ইসলাম জানান, কাঠগুলো জনৈক এক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। শ্রমিক না পাওয়ার কারণে সেগুলো সুলতানের বাড়িতে রাখা হয়। তবে মুন্সির কথা অস্বীকার করে বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাশেদ ইবনে সিরাজ বলেন, কাঠগুলো জব্দ করা হয়েছে এবং সুলতান মামলার আসামী হবে। এনিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে বিট কর্মকর্তারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্যই কি নিরহ লোকজনের বিরুদ্ধে এধরনের ব্যবস্থা। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন