বিএনপি-জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের ঈদ এবারো কারাগারে

কক্সবাজারবাণী: প্রতিবারের মতো এবারও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনেক নেতাকর্মীরই ঈদ কাটবে দেশের বিভিন্ন কারাগারে। এদের মধ্যে সরকার দলীয় এমপি ও বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রভাবশালী বেশ ক’জন মন্ত্রীও রয়েছেন। সবার উপরে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষপ্রায় সব নেতৃবৃন্দ। এসব নেতাদের অনেকেরই ঈদ বেশ কয়েকবার কারাগারে কেটেছে।

যুদ্ধাপরাধের বাইরে যেসব নেতা কারাগারে আটক রয়েছেন ঈদের তাদের মুক্তির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

কারাগারে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযম, আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির মাওলানা একেএম ইউসুফ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, মাওলানা আব্দুস সোবহান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, এটিএম আজহারুল ইসলাম ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলী। এদের মধ্যে পাঁচজন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ফাঁসি ও দণ্ডপ্রাপ্ত এবং বাকি পাঁচজনের বিচার চলছে।

এছাড়াও আটক রয়েছেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. শফিকুর রহমান, মিয়া গোলাম পরওয়ার, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক তাসনিম আলম, ঢাকা মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি ও ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিন, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক কেন্দ্রীয় নেতা রাজশাহী জেলা আমির আতাউর রহমান, সিলেট জেলা আমির ও সাবেক শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের।

শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, সাহিত্য সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুহসনিন কবির এবং পশ্চিমের সাবেক সভাপতি।

এদের বাইরে বিভিন্ন জেলা কারাগারে আরো উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মীর ঈদ কাটবে কারাগারে। ঈদের দিন যার যার পরিবারের সদস্য এই নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ বিন সাঈদী নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “ঈদের নামাজের পর আমরা বাবার সঙ্গে দেখা করব। এক্ষেত্রে তারা কারা নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের পাঁচজন সদস্য দেখা করবেন। সঙ্গে তারা মাওলানা সাইদীর জন্য বাসা থেকে ঈদের নাস্তাও নিয়ে যাবেন বলেও জানান তিনি।”

বিএনপি নেতাদের মধ্যে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, আব্দুল আলীম এদু’জনের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। এছাড়াও অন্যান্য মামলায় আটক রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আব্দুস সালাম পিন্টু ও সাবেক সাংসদ নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দীন আল মামুন।

একমাত্র সরকারদলীয় সংসদ সদস্য হিসেবে আটক রয়েছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের এমপি গোলাম মাওলা রনি।

কারাগারের বাইরে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার অব্দুর রাজ্জাক ও মতিউর রহমান আকন্দ ছাড়া বেশির ভাগই আত্মগোপনে। এরা কে কোথায় ঈদ করবেন তার নির্দিষ্ট কোনো স্থান বলতে পারেনি অনেক নেতা।

তবে কারাগারের বাইরে আত্মগোপনে রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক একেএম নাজির আহমাদ, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা রফিউদ্দিন আহমাদ, অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।

ভারপ্রাপ্ত প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরের নায়েবে আমীর হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, আমীর মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, রেজাউল করিম, জাহিদুর রহমান, এনামুল হক মঞ্জু, সাবেক শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া।

চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা শামসুল ইসলাম এমপি, সহকারী সেক্রেটারি আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, খুলনা মহানগর আমির আবুল কালাম আযাদ, বরিশাল মহানগর আমির অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, রংপুর মহানগর আমির অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান বেলাল, কক্সবাজার জেলা আমির মু. শাহজাহান। নতুন বার্তা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন