ষড়যন্ত্রে আক্রান্ত সাংবাদিক জাহাঙ্গীরের বিবৃতি

হুমায়ুনের অপকর্ম ফাঁস করায় আমাকে টেসাস থেকে বহিষ্কার

টেকনাফ সাংবাদিক সমিতি (টেসাস) থেকে দৈনিক কক্সবাজারবানী পত্রিকার টেকনাফ প্রতিনিধি সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম বহিষ্কারের শিরোনামটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। জানা যায় যে, গত ২৯ জুলাই কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক সাগর দেশ ও দৈনিক আজকের কক্সবাজার এবং অনলাইন পত্রিকাতে আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি, বিজিবি ক্যাম্প, বন বিট এবং বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী দপ্তরে দালালি চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্মে
লিপ্ত হওয়ার অভিযোগ এনে এর অপরাধে টেকনাফ সাংবাদিক সমিতি(টেসাস) থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা সম্পুর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিত যা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, মিথ্যা বানোয়াট। প্রকৃত ঘটনার বিবরন- প্রাপ্ত সুত্রে পাওয়া যায় যে, গত ০৮ জুলাই হোয়াইক্যং পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২০০০ পিছ ইয়াবা ও নোহা গাড়ি সহ ঢাকা গাজিপুরের শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী রতন মিয়াকে আটক করে। রতন পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পরপরই ধৃত আসামী রতন মিয়াকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ছাড়ানোর তদবির করার জন্য হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মাসরুল হক এর কাছে আসেন দৈনিক হিমছড়ি পত্রিকার টেকনাফ প্রতিনিধি হুমায়ুন রশিদ এবং এর নেতৃত্বে অন্য এক পত্রিকার প্রতিনিধি। এক পর্যায়ে ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে ১০ লক্ষ টাকার অফার দেওয়ার পরেও হুমায়ুন রশিদ বলেন, আপনি ধৃত আসামী রতন মিয়াকে ছেড়ে দিলে টেকনাফের সকল পত্রিকার প্রতিনিধিদের আমি ম্যানেজ করব যাতে পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত না হয়। তিনি আরো বলেন, আমি সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে না পারলে আমি কি সাংবাদিক নেতা হয়েছি? এই রকম ভাবে পুলিশ কর্মকর্তাকে ধৃত আসামীকে ছাড়ানোর জন্য নানা ভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু ঐ পুলিশ অফিসার এস আই মাসরুল হক তার দায়িত্বের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের সাথে আতাত না করে পরবর্তীতে ধৃত আসামীকে নিয়ামানুযায়ী কোর্ট হাজতে প্রেরন করেন। আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা রুজু করেন। এর পরের দিন হুমায়ুন রশিদের অপকর্ম নিয়ে পত্রিকাতে একটি বস্তুনিষ্ট, প্রকৃত সংবাদ প্রকাশিত হলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালাতে শুরু করে এবং আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করেন। হুমায়ূন রশিদ টেকনাফ সাংবাদিক সমিতি(টেসাস) এর সাধারন সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। যারা আমার বিরুদ্ধে সরকারী ও বেসরকারী প্রশাসনে দালালির অভিযোগ এনে আমাকে সাংবাদিক সমিতি থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এ অভিযোগের পিছনে যদি একবিন্দু পরিমান ও আমার দোষ থাকলে আমি অপরাধের দায়ভার নিয়ে নিজেই স্বইচ্ছায় সমিতি হতে পদত্যাগ করব। তবে আরো একটি সুত্রে জানা যায় যে, গত ২৬ দিবাগত পুর্ব রাত্রে টেকনাফ থানা অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশক্রমে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই মাসরুল হক ও এস আই মোনাফ স্বংগীয় ফোর্স নিয়ে ইয়াবা মামলার আসামী ইয়াবা গডফাদার লেদার লাল মিয়ার পুত্র জাফরকে আটক করার জন্য পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালানোর জন্য গেলে তাৎক্ষনিক ভাবে হুমায়ুন রশিদ ঐ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মোবাইল করে জানতে চান এত রাত্রে জাফরের বাড়িতে কী? হুমায়ুন রশিদ এর আগেও পুলিশের হাতে ধৃত আসামী রতন মিয়াকে ছাড়ানো ও পলাতক আসামী জাফরকে মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জোর তদবির করেন যা পুর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। তার এই নিজের অপকর্ম ফাঁস  হওয়াতে তা ঠেকানোর জন্য আমার উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। সে প্রকৃত ইয়াবা মামলার আসামীকে ছাড়ানোর জন্য টেকনাফের সকল সাংবাদিক কর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে এবং সাধারন সম্পাদকের ক্ষমতা দেখিয়ে যে একটি ঘৃন্যতম আইনবিরোধী কাজ করতে চেয়েছিল এতে কী সাংবাদিকরা হেয় প্রতিপন্ন হয়নি? তা কি অপরাধ নয়। মুলত তার এই অপকর্মের ব্যাপারে আমি জেনেছি বলে সে টেকনাফ সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদকের প্রভাব কাটিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ এনে এই বহিষ্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া । দৈনিক কক্সবাজার বানী প্রত্রিকাতে তার অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় কী আমার অপরাধ? দেশের প্রচলিত আইনকে সম্মান করা একজন নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু যারা কলম সৈনিক হয়ে প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দেয় এবং ইয়াবা পাচারকারী ও ধৃত আসামীদের ছাড়ানোর জন্য পুলিশের কাছে লাখ টাকার অফার দেয় তা কি অপরাধ নয়? এসব সত্য কথা বলাতে আমার বিরুদ্ধে এই অনৈতিক সিদ্ধান্ত। তাই আমি টেকনাফ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও সংগঠনের ও অন্যান্য সংবাদ কর্মী ভাইদেরকে অনুরোধ করব যে, আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে তা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করে প্রকাশ করার জন্য। আমার বিরুদ্ধে আনীত উক্ত অভিযোগ সম্পুর্ন ষড়যন্ত্রমুলক, বানোয়াট ও মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশিত করে সমাজে আমার সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ও প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দিচ্ছে, এসব মিথ্যা সংবাদে আমার সহকর্মী ভাই ও জনসাধারন সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত এসব অপপ্রচার মুলক সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও ঘৃনা জানাই ।


প্রতিবাদকারী

জাহাঙ্গীর আলম
 টেকনাফ প্রতিনিধি
  দৈনিক কক্সবাজারবানী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন