কক্সবাজারে পাহাড় খেকোর বিরুদ্ধে অভিযান : তালিকা তৈরি

কক্সবাজারবাণী ডেস্ক: কক্সবাজার শহরে পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হয়ে হয়েছে অন্তত পাঁচ হাজার স্থাপনা। পাহাড় ধসে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও থামাতে পারছেনা এসব পাহাড় খেকোর বিরুদ্ধে। তাই শেষ পর্যন্ত এসব পাহাড় খেকোর বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নেমেছে প্রশাসন,বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানের প্রথম দিন শহরের কলাতলী, লাইট হাউজ এলাকা পরিদর্শন করে একটি তালিকা তৈরী করেছেন এ তিন বিভাগের কর্মকর্তারা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক  সরদার শরিফুল ইসলাম ও কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক কাজল তালুকদার। অভিযানকালে লাইট হাউজ এলাকায় সরকারী জমিতে অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় তিন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আব্দুর রহমান বলেন, সরকারী জমি এ ভাবে নির্বিচারে পাহাড় কেটে জমি দখলের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ কখনো মেনে নেয়া যায়না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব পাহাড় খেকোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত যৌথ অভিযানের আগে প্রশাসন, বনবিভাগ,পরিবেশ অধিদপ্তর ও কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালান করা হয়। এ কর্মসূচী উদ্বোধন করেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আব্দুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক  সরদার শরিফুল ইসলাম, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক কাজল তালুকদার ও কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃবৃন্দ।উল্লেখ্য, গত ২০১১ সালের ৩০ জুলাই সকালে সাহিত্যিকা পল্লি এলাকায় পাহাড় ধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই বছর ২৬, ২৭ ও ২৮ জুন একাধিক পাহাড় ধসের ঘটনায় জেলার বিভিন্ন স্থানে মারা গেছে ৬৪ জন। এর আগে ২০১০ সালের ১৫ জুন শহরের একাধিক পাহাড় ধসের ঘটনা সেনা সদস্যসহ ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন