যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে তারা আজ পরাজিত

বিশেষ সাক্ষাতকারে সোনালী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ও আ’লীগ নেতা কমল

ফরিদুল মোস্তফা খান: যারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছিল তারা আজ পরাজিত বলে উল্লেখ করে বিগত নির্বাচনে কক্সবাজার-রামু আসন থেকে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সোনালী ব্যাংক পরিচালক সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীদের এই ষড়যন্ত্র শুধু আমার বিরুদ্ধে নয়, এক সময় তারা আমার মরহুম পিতা সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাংসদ ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধেও করেছিল। কিন্তু ইতিহাস এটাই স্বাক্ষী দেয় যে, কোন নিস্ককলংক মানুষের বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করে লাভবান হয়না, বরং নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যান।
প্রতিবেদককে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে জনাব কমল আরো বলেন, রাজনীতিতে জড়িত হয়েছি শুধু মানুষের সেবা করার জন্য। কারণ মানব সেবায় কেবল আমি নিজের স্বস্থি খুঁজে পাই বলে বর্ণনা দিয়ে কমল বলেন, সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেংকারীতে আমাকে জড়িয়ে দিতে একটি মহল ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়েছিল।
এ ব্যাপারে পত্র-পত্রিকায় ব্যাপক লেখালেখিও হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আমাকে দু’বার ডেকেছিল। সেখানে আমি নিজের সমস্ত সম্পদের বিবরণ দিয়েছি। দীর্ঘ এক বছর তারা যাচাই-বাছাই করে দেখেছে, আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শোকরিয়া দুদক আমার বিরুদ্ধে প্রাপ্ত একটা অভিযোগেরও সত্যতা পাননি। তাই নির্দিদায় বলতে পারি, আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ ও নিস্ককলংক।
এক প্রশ্নের জবাবে সাইমুম সরওয়ার কমল আরো বলেন, নির্বাচনে হার-জিত আছে। তাই আগামীতে ফলাফল যে রকম হউক না কেন তা মেনে নিয়ে আমি কক্সবাজার-রামু তথা জেলার সর্বস্তরের মানুষের পাশে থাকবো। চেষ্টা করবো, কক্সবাজারে পর্যটক আকৃষ্ট ও সর্বাধুনিক একটি স্বর্ণ মসজিদ স্থাপন করতে। কারণ এখানে বৌদ্ধ ও হিন্দুদের কৃর্তি আছে, কিন্তু সে রকম একটি মসজিদ নেই যেখানে মসল্লিরা এবাদত করবে, আর পর্যটকরা মসজিদটিকে পরিদর্শন করবে। 
সাইমুম সরওয়ার কমল আরো বলেন, বিগত নির্বাচনে আমি এমপি হতে না পারলেও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় থাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারনে কক্সবাজারে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন করতে পেরেছি। তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করেছিলাম সৌদি আরবে বসবাসরত বাঙ্গালীদের আকামা পরিবর্তন করতে। সেদেশের সংশ্লিষ্টদের বুঝাতে। আল্লাহর কোটি কোটি শোকরিয়া আদায় করছি, কারণ আমার তদবিরের কারনে আজ সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসিদের আকামা পরিবর্তন হয়েছে। তারা বর্তমানে সেখানে বসবাস করে বাংলাদেশকে প্রতিনিয়ত রেমিটেন্স দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। কমল বলেন, নির্বাচিত হয় বা না হই বরাবরের মতোই আমি রামু-কক্সবাজারের মানুষের দারিদ্রতা বিমোচন, অবহেলিত রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালর্ভাট, মন্দির, গীর্জা ও বিদ্যুতায়নের চেষ্টা করেই যাবো।
৪৩ বছর বয়স্ক সদা হাস্যেজ্জল ও পরোপকারী জননেতা সাইমুম সরওয়ার কমল আরো বলেন, আমি চেষ্টা করেছি এ অঞ্চলের বঞ্চিত মানুষের সুখ-দুঃখে কাছে থাকতে। শুধু তাই নয়, স্বেচ্ছা শ্রমে এলাকাবাসীর সঙ্গে নিজে মাটি কেটে রাস্তা মেরামতের চেষ্টা করেছি। শিক্ষা-দীক্ষায় এগিয়ে নিয়ে আমাদের বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য রামুতে কক্সবাজার ক্রীড়া ও কারিগরী কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি।
বন্যার সময় আমি দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ঝিলংজা, চাকমারকুল, রাজারকুল, ফতেখাঁরকুল ভাঙ্গনরোধে ১৮ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছি। ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভারুয়াখালী-নন্দাখালী বেঁড়িবাধ নির্ণান করেছি। কক্সবাজার সমুদ্র গবেষণা কেন্দ্র ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠায় আমার ভূমিকা ছিল সব চেয়েই অগ্রণী। রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ এগিয়ে চলার পেছনেও আমি ছিলাম তৎপর। ঈদগাতে সোনালী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, বাজার উন্নয়ন, ভাদিতলার রাস্তা ও বিভিন্ন জায়গায় স্লুইচ গেইট স্থাপনসহ আমি অনেক উন্নয়ন করেছি। গর্জনিয়া-কচ্ছপিয়া ও কাউখোপের মানুষের উপর দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আরোপিত ট্যাক্স আমি আন্দোলনের মাধ্যমে বন্ধ করেছি। এছাড়া  রামু রামকোট, কক্সবাজার বাস টার্মিনাল, খুরুস্কুল সহ বিভিন্ন বড় বড় বিরোধ নিরসনে আমি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। এসবের পেছনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমার দলের সিনিয়র-জুনিয়র সকল নেতাদের ত্যাগ ছিল বলেই জনাব কমল তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন