মোটেল রোডের ঝুঁপড়ি দোকান শীর্ষ অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি ঝুঁপড়ি দোকানকে ঘিরে প্রকাশ্যে গড়ে উঠেছে কক্সবাজার জেলার শীর্ষ অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা। পর্যটন শহর কক্সবাজারের মটেল রোডের ত্রাণ ও শরণার্থী কমিশনারের কার্যালয়ের বাম পাশের দেয়াল ঘেঁষে অবৈধভাবে গড়ে উঠা দোকানকে নিরাপদ আস্তানা হিসেবে বেছে নিয়েছে অপরাধীরা। ওই আস্তানায় বসেই নিরাপদে প্রকাশ্যে গাঁজা, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদক সেবন করেন মাদকাসক্তরা। প্রকাশ্যে গাঁজা ও ইয়াবা ট্যাবলেটের বিকিকিনি হয় সেখানে।
বসে জুয়ার আসরও। এমনকি শহরের শক্তিশালী কয়েকটি মোটর সাইকেল চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরাও সেখানে আড্ডা জমান। প্রায় সময় ওই আস্তানাকে ঘিরে থাকে নানা দামী ব্রান্ডের একাধিক মোটর সাইকেল। এসব মোটর বাইকের অধিকাংশই চোরাই। প্রথম প্রথম ওই দোকানে পথচারী এবং আশ-পাশের এলাকার সাধারণ লোকজন যাতায়াত করলেও এখন দোকানটি অপরাধীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। রাত ও ভোরে ওই স্পটে প্রতিদিন একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে থাকে। ঝুঁপড়ি দোকানটি গত ২/৩ বছর ধরে অবৈধভাবে পরিচালনা করে আসছেন শহরের পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মহিউদ্দিন প্রকাশ কালাবদা।
কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে দোকানটিতে এলাকার সাধারণ লোকজন এবং আশ-পাশের অফিসের কর্মচারী ও পথচারীরা বসে চা-পান খেতেন। কিন্তু গত প্রায় ৭/৮ মাস ধরে দোকানটি চোর-ডাকাত-ছিনতাইকারীদের আড্ডাস্থল হয়ে উঠেছে।’
বাহারছড়ার আলমগীর বলেন, ‘দোকানটি অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে। মাদকসেবীদের নিরাপদ সেবনস্থলও এটি। ওই দোকানকে ঘিরে নানা অভিযোগ আমাদের কানে আসছে।’ একই ভাবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দারা দোকানটি বন্ধ করে দিয়ে অপরাধ কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণের দাবী জানান।
তবে দোকানদার মহিউদ্দিন ওরফে কালাবদা বলেন,‘আমি কোন অপরাধের সাথে জড়িত নই। তবে দোকানে ভাল-খারাপ সব ধরনের মানুষই আসে।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি আমি গুরুত্বের সাথে দেখছি।’ দৈনন্দিনের সৌজন্যে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন