আবাসিক ও প্রশাসনিক ভবন সংকটে টেকনাফ মডেল থানা

আবুল কালাম আজাদ
সীমান্ত উপজেলার জানমাল নিরাপত্তার একমাত্র বাহন হচ্ছে টেকনাফ মডেল থানা। ইদানিং এ থানা আবাসিক ও প্রশাসনিক ভবন সংকটে ন্যুজ হয়ে পড়েছে। ফলে থানার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পত্র, গুলাবারুদ,
বিভিন্ন মামলার আলামত, আটককৃত মালামল এবং সিপাহী থেকে আরম্ভ করে ওসি তদন্ত পর্যন্ত কর্মকর্তাদের থানার অভ্যান্তরে আবাসিক ভবন না থাকায় সীমাহীন কষ্টে দিন যাপন করছেন এরা। থানা পরিদর্শন করে দেখাযায়, থানার অভ্যান্তরে মহিলা হাজত খানা আটককৃত পণ্যদির স্তুপ। ফলে মহিলা আসামীদের দূর্ভোগের অন্ত নেই। এছাড়া, ১৮/২০ অফিসারদের বসার, থাকার কোন সু-ব্যবস্থা নেই। কোন অফিসার বসে, কোন অফিসার দাড়িয়ে আবার কোন অফিসার ভাড়া ঘরে মামলার ফাইল পত্র নিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি মুষ্ঠিময় ২/৩জন অফিসারের আবাসিক ভবন ছাড়া থানায় আর কোন আবাসিক ভবন না থাকায় থানার বাইরে গিয়ে বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, ভাড়া বাসায় গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। এতে যেমনি অর্থ ব্যয় হচ্ছে পাশাপাশি যাতায়াতে বিষম র্দূভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাও আবার থানার থেকে ২/৩ মাইল দূরে এ কারণে তারা যাতায়াতে যেমনি কষ্ট পাচ্ছে এর ছেয়েও আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বেশি। তাছাড়াও নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। ইহা ছাড়া সবচেয়ে কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছেন স্বল্প বেতন ভোগী সিপহীরা। এদের আবাসন সংকট আরও তীব্রতর। থানার জরাজীর্ণ প্রশাসনিক মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায় গাদাগাদি করে ১০/১২জন সিপাহী শুইতে পারলেও বাকিদের শুইবার স্থান হচ্ছে থানা মসজিদের বারান্দায়। টেকনাফকে মডেল থানা ঘোষণা দেওয়ার পর একটি সার্ভিস ডেলিভারী সেন্টার ও বাউন্ডারী ওয়াল হলেও আবাসন ও প্রশাসনিক ভবন সংকটের কোন আশু ব্যবস্থা না নেওয়ায় র্দূভোগে পরছে টেকনাফ মডেল থানার কর্মরত অফিসার ও সিপাহীরা। এ ব্যপারে এলাকার সচেতন মহল থানার আবাসন, প্রশাসনিক ও পানীয় জলের সংকট দূরীকরণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি, পুলিশ মহা পরিদর্শক ও স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুর রহমান বদির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।