টেকনাফে কবরস্থানের মাটি দিয়ে ইউপি ভবন ভরাট

টেকনাফ সংবাদদাতা: সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে পাহাড়ী কবরস্থানের মাটি কেটে নব নির্মিত ইউপি ভবনের নীচের অংশ ভরাট করা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের বিশাল ভবনের নির্মাণ কাজে পাশের ১টি প্রাচীণ টুইন্যাবাপের কবরস্থানের পাহাড় কেটে ডাম্পার দিয়ে দিন দুপুরে ভরাট করছে প্রভাবশালী মহল। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, দেশ বিভক্তির অনেক আগেই এই কবরস্থানটিতে নাটমুরা পাড়া, দরগাহ পাড়া, উলুচামরী, রসুলাবাদ সহ বিভিন্ন গ্রামের মৃত ব্যাক্তিকে দাফন করে আসছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ইউপি ভবন নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্টান মের্সাস আলিফ এন্টার প্রাইজের কর্ণধাররা কবরস্থানের পাহাড় কেটে মাটি ভরাটের ব্যাপারে অবগত হওয়ার পরও তা রীতিমত উপক্ষো করে আসছে। অল্প টাকায় ডাম্পার দিয়ে অতি লাভের আশায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ধর্মের উপর আঘাত হানছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্টানটির প্রত্যেকে এ ব্যাপারে অবগত হওয়ার পরও নিকটস্থ পাহাড়ের মাটি দিয়ে ভরাট করে লাখ লাখ টাকা পকেটস্থ করছে। এভাবে মাটি কাটলে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান এবং বিশেষ একটি মহলের স্বার্থসিদ্ধি হলেও হ্নীলার প্রাচীণ ঐতিহ্যময় কবরস্থানটি কালের গর্ভে হারিয়ে যাবার আশংকা দেখা দিয়েছে। মুসলিম ধর্মের পবিত্র স্থান গোরস্থানের মাটি কেটে সরকারী দালান নির্মাণ করায় সচেতন মহল রীতিমত শংকিত। প্রভাবশালীর নেতৃত্বে কবরস্থানের মাটি কাটছে বিধায় এলাকার নিরীহ লোকজন ভয়ে মুখ খুলতে পারছেনা। অব্যাহতভাবে কবরস্থানের পাহাড় কাটার ফলে মুসলমানদের পবিত্র স্থানটি এখন হুমকির মুখে। পাহাড় কাটায় জড়িতরা অস্বীকার করে বলেন, এটি প্রাচীন কবরস্থান হলেও মুলত বট গাছের পশ্চিমে মুর্দা দাফন করা হয়। কোন সময় কখনো পাহাড়ী কবরস্থানটির পূর্বদিকে দাফন করা হয়নাই। সুতরাং এটি কবরস্থান হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। তবে স্থানীয়দের সুবিধার্তে পাহাড় কেটে এখানে একটি মসজিদ নির্মাণ করার পরিকল্পনা আছে। ইউপি ভবন নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের সংশ্লিষ্ট নুরুল হোছাইন জানান, কবর স্থান নাকি অন্য কিছু তা আমাদের দেখার বিষয় নই। টাকা দিয়ে মাটি কিনে ভরাট করতেছি। পাহাড়ী মাটি দিয়ে সরকারী দালান নির্মাণ কেন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দূষের কি আছে। ইউপি চেয়ারম্যান মীর কাশেম বলেন, আমিতো জানিনা কি মাটি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। মাটি ভরাট থেকে শুরু করে সব কিছুইতো ঠিকাদারের বিষয়। সহকারী বন সংরক্ষক মো: রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, এ ব্যাপারে আমি শুনিনি। বিষয়টির ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোজাহীদ উদ্দিন বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে আমি অবগত। এ ব্যাপারে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে হ্নীলা সর্বস্তরের জনসাধারণ জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া মাধ্যমে ধর্মীয় কবরস্থান রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন