অভাব তাড়িত শিশুরা চোরাচালান ও অবৈধ কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চোরাচালান ও অবৈধ কর্মকান্ডে এখন অবাধে ব্যবহার করা হচ্ছে অভাব তাড়িত শিশুদের। অভাবে তাড়নায় দু’মুঠো খেয়ে পরে বাচতে অনেক শিশুদের দিয়ে এ ব্যবসা করেন তাদের পিতা-মাতারা। জৈনকা এক ছোট শিশু রুবেলের বয়স মাত্র ৮, অল্প বয়সে টাকা রোজগার করে টানছে সংসারের ঘানি। আর টাকা রোজগারের পথ পেয়ে আবার অনেকে হচ্ছে নেশায় আসক্ত। নষ্ট হচ্ছে এসব শিশুদের অনাকাঙ্খিত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। যে বয়সে এসব শিশুদের স্কুলে যাওয়ার কথা সে বয়সে এই কোমলমতী শিশুরা ব্যবহার হচ্ছে চোরাচালানী কাজে, অনেক সময় কড়া-কড়িতে নেশার টাকা জোগাড় করতে করেছে চুরি। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এক শ্রেণীর দালাল নামদারী অসাধু মহল শত শত শিশুদের টোকাই বানিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে। অন্যদিকে, অল্প বয়সে অভাবের খেয়ে অর্থের লোভে করছে অনৈতিক কর্মকান্ড, জড়িয়ে পড়ছে শিশু ও কিশোর অপরাধ অপকর্মে। সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও সহ জেলা জুড়ে চোরাই মালের রমরমা বাণিজ্য জমে উঠেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, বেতন ভোক্ত ও ভ্রাম্যমান টোকাই হিসেবে পরিচিত শিশু- কিশোরদের দিয়ে ভাঙ্গারি ব্যবসা, চুরি-ছিনতাই ও মাদক বহন সহ নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এতে সহযোগীতা করে যাচ্ছে কুরুচি পুর্ন মনমানষিকতা সম্পন্ন কতিপয় লোকজন। নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন, আইন শংঙ্খলা বাহিনির সদস্যদেরকে ফাকি দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বস্ত সূত্র মতে, চোরা কারবারি শিশুদেরকে অর্থের লোভ দেখিয়ে ব্যবহার করে তাদের দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার থেকে আসা অবৈধ মাদক পণ্যের কাজে লাগানো হচ্ছে। পাশাপাশি হত দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের এসব কোমলমতি শিশুরা অর্থের মুহে পড়ে জীবনে ঝুকি মাথায় নিয়ে এই হীন কাজকর্ম করে যাচ্ছে জেলা সহ বিভিন্ন উপজেলার শত শত অভাব তাড়িত শিশু-কিশোররা। এ কাজে শিশুদের ব্যবহার করে অনেক লোকজন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিনত হয়েছে। এ বিষয়ে সচেতন এলাকাবাসীর মতে, এই কোমলমতী শিশুদের হীন কর্মকান্ড থেকে রক্ষা করে, শিক্ষাঙ্গনের দিকে অগ্রসর করলে তাদের অনাগত ভবিষ্যৎ জীবন উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। আর না হয় তিলে তিলে কষ্ট ভোগতে হবে। কারা এই নিস্পাপ শিশুদের অন্ধকার জগতের বাসিন্দা বানাতে চায়? এরা কারা? তদারকি পূর্বক এদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার জোর দাবী অভিভাবক মহলের।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন