কক্সবাজার সদরে আ’লীগ প্রার্থী হতে চান ব্যারিস্টার মিজান

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রচলিত গতানুগতিক বাণিজ্যিকরাজনীতিতে আমূলপরিবর্তন আনতে নিজেকে রাজনীতির মাঠে সক্রিয় করার ঘোষণা দিলেন কক্সবাজারের প্রথম ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত এক প্রীতিভোজ শেষে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। তিনি বর্তমান কলুষিত রাজনীতির অবস্থান তুলে ধরে নিজের চিন্তাধারা সাংবাদিকদের জানিয়ে বলেন, “রাজনীতিবীদরা রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নিয়েছে বিধায় দেশপ্রেম আর জনসেবায় নিজেকে সপে দিতে ব্যর্থ হয়।
সমাজ, দেশ ও যুবকদের ফিরিয়ে আনা দরকার। আর এটি করতে হলে অবশ্যই রাজনীতির সাথে স¤পৃক্ত হতে হবে।
তিনি বলেন, “আমি নিজে এখন স্বয়ং স¤পূর্ণ। সুতরাং আমি মনে করছি এখনই সময় সমাজের জন্য ভালো কিছু করার। প্রতি মুহুর্তে একটা দায়িত্ববোধ-সমাজের প্রতি জবাবদিহীতাআমাকে পেয়ে বসে। যার দরুণ আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে-সমাজ ও দেশের কল্যাণে কাজ করার।সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি আরো বলেন, “নানা কারণে আমাদের সামাজিক আচার, রাজনীতি, জীবনদর্শন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে প্রচলিত ধারা, তাতে গুণগত পরিবর্তন আনয়ন জরুরী।
অপরীসিম সম্ভাবনাময় জনপদ কক্সবাজারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার। বিশেষ করে কক্সবাজার স্বাস্থ্য ও শিল্প ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে। এছাড়া মাদকের চোরাচালান, অবৈধ বাণিজ্য যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এসব দেখার কেউ নেই।যোগ করেন তিনি। তিনি আরো যোগ করেন, “সময় এসেছে নতুন কিছু করে দেখার। অহিংস, অসাম্প্রদায়িক ও সহনশীল সমাজ গঠনে সকল ধর্মের মানুষ এক হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
এজন্য তিনি কক্সবাজারে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত থাকলে আগামী ডিসেম্বরের দিকে কক্সবাজারে একটি মানসম্মত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার কথা জানান। ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ বলেন, “রাজনৈতিক মতাদর্শ আমাদেরকে জনকল্যাণের দীক্ষা দেয়। কিন্তু সাম্প্রতিকালে এসবের অপব্যবহার আমাদেরকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করছে। কলুষিত করছে রাজনৈতিক সংস্কৃতি।
তিনি বলেন, “তাই সহনশীল, মননশীল ও উৎপাদনশীল সমাজ গঠনে প্রত্যেকেরই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবার আছে। যতই বিভেদ, মত পার্থক্য অথবা স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকুক, দিন শেষের হিসেব-নিকেশ ফলাফল একটাই-এ দেশটা আমাদেরই।
তাই তিনি আসন্ন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার সদর-রামু আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন বলে ঘোষণা দেন। কোন দলের হয়ে নির্বাচন করবেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি খোলাসা করে কিছু না বললেও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতিতে তিনি নিজেকে ইতোমধ্যে সপে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত হলেই সময়মতো আরো বেশি নিজেকে রাজনীতিয়ান করবেন বলে জানান তিনি।
এছাড়া সম্প্রতি ঢাকায় কক্সবাজারের জেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের নৈশভোজও বলে দেয় তিনি আওয়ামীলীগের হয়ে রাজনীতির মাঠে নামছেন। অন্যদিকে একটি বিশ্বস্থ সুত্র জানিয়েছে, ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে রাজনীতি কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।
ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ ১৯৭০ সালের ১ জানুয়ারী কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও পাঁহাশিয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। সদর উপজেলার ভারুয়াখালী দীপশিখা একাডেমী কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট সাঈদ রমজানুল আলম তার গর্বিত পিতা। কক্সবাজার জেলা প্রথম ব্যারিস্টার ২০০৩ সালে লন্ডন থেকে বার-এট-লসনদ নিয়ে তিনি ব্যারিস্টারসম্মান অর্জন করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন