২০০১ সালের সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবেদন কেন প্রকাশ নয়: হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা: ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই কমিশনের প্রতিবেদন জনসমক্ষে কেন প্রকাশ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

২০০১ সালে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতার ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ-এর পক্ষে ২০০৯ সালে হাইকোর্টে রিট করা হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে ওই বছরের মে মাসে রুল জারি করেন আদালত। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ওই বছরের ৬ মে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত কমিশন গঠন করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এরপর অবসরপ্রাপ্ত বিচারক শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। ২০১১ সালে কমিশন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। কিন্তু ওই প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ না হওয়ায় রিট আবেদনকারী পক্ষ হাইকোর্টে একটি আবেদন করে।

আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বুধবার এ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে তিনি বলেন, ২০০১ সালের ঘটনায় গঠিত কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ২০১৪ সালে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে ঘটনা ঘটেছে, তা ঘটত না। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা গেলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতো না। জনস্বার্থে জনসমক্ষে প্রতিবেদন প্রকাশ করা উচিত।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন