নানা সমস্যায় জর্জরিত ঈদগাঁহর অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়

নুরুল আমিন হেলালী
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁর অধিকাংশ সরকারি ও রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ, সু-শিক্ষার পরিবেশ, শিক্ষক সংকট, স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ নলকুপের অভাবে বিশুদ্ধ পানির আকাল দেখা দিয়েছে।
ফলে সমস্যা জর্জরিত এসব বিদ্যালয়ে সুশিক্ষার পরিবেশ প্রতিনিয়ত ব্যাহত হচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। বৃহত্তর ঈদগাঁহ এলাকার ৬টি ইউনিয়নে সরকারি-বেসরকারি ও এনজিও পরিচালিত প্রায় ৫০টিরও অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা  গেছে, অধিকাংশ বিদ্যালয়ে সুশিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে নানা সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান। বিশেষ করে অবকাঠামো সমস্যা, শিক্ষক সংকট, বিশুদ্ধ পানির অভাব, টয়লেট সমস্যা ও শিক্ষার্থীদের শারিরীক ও মানসিক বিকাশ ঘটানোর মাধ্যম খেলাধুলার মাঠ সমস্যা হল অন্যতম। সরকারি সুযোগ-সুবিধা শিক্ষার ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিবছর শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়লেও অনেক প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে, অবকাঠামোগত সমস্যা বিরাজমান। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে নলকুপ থাকলেও পানি স্বাস্থ্যসম্মত কিনা তা কখনো পরীক্ষা করা হয়নি। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে নলকুপ বিকল, আবার কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তাও নেই। ফলে এসব বিদ্যালয়ে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য শিক্ষার অবস্থা আরও নাজুক। এসব বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের মাঝে মাঝে ভিজিট করার কথা থাকলেও কেউ যাচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। অন্যদিকে অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার কোন মাঠ নেই। যার কারণে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাত্যহিক সমাবেশ, শরীর চর্চা, বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতাসহ নানা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অন্তহীন সমস্যায় জর্জরিত বিদ্যালয়গুলোতে বিরাজ করছে বেহাল অবস্থা। ভোমরিয়া ঘোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাদিতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ মাইজ পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, জমিরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুনকারখিল প্রাথমিক বিদ্যালয়, চান্দের ঘোনা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরপাড়া ইয়াকুব আলী রেজি. প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাহাতিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে আলাপে জানা যায়, উল্লেখিত বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত মাঠ না থাকার ফলে প্রত্যহিক সমাবেশ করতে গিয়ে নানা সমসার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অন্যদিকে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোন ধরনের খেলাধুলাসহ শরীর চর্চা থেকে বঞ্চিত দীর্ঘদিন। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীর চর্চা শিক্ষক না থাকায় অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত শরীর চর্চা হয় না। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি সহপাঠ ক্রমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সুশিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত কল্পে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন