ব্যালটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন: প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
আওয়ামী লীগ ব্যালটের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনে ক্ষেত্রে সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাসী বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “আমরা সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাসী বলেই কখনোই জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিই নি।
” তিনি বলেন, “অতীতে যেমন আমরা তাদের (জনগণ) ভোটাধিকারে বাধা দেইনি, ভবিষ্যতেও একই ধারা বজায় থাকবে।” শনিবার সকালে গণভবনে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “জনগণ আমাদের পক্ষে রায় দিলেই কেবল আমরা ক্ষমতায় থাকবো, অন্যথায় নয়।”
তিনি বলেন, “কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি বা অনির্বাচিত কেউ যাতে ক্ষমতা দখল না করতে পারে, সে লক্ষে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা সংবিধানের বিধি-বিধান জোরদার করেছি।  অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেভাবেই পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।” আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা নয়, বরং তাদের সাংবিধানিক  অধিকার রক্ষা করাই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। আর এ কারণেই ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন জাতি ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর দেখেছিল।” নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার এই প্রথমবার রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে সার্চ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।” এ গঠন প্রক্রিয়ায় সরকারের কোনো হাত ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, “এ প্রক্রিয়া স¤পূর্ণ সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন চলাকালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসন  স¤পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।”  শেখ হাসিনা বলেন, “গত সাড়ে চার বছরে বর্তমান সরকার কোনো নির্বাচনেই হস্তক্ষেপ করেনি যার ফলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়েছে।” তিনি বলেন, “কোনো প্রার্থীই এমনকি বিএনপিও এসব নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেনি। আগামী সাধারণ নির্বাচনও একইভাবে অনুষ্ঠিত হবে।” প্রধানমন্ত্রী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান এবং একইসঙ্গে আশা করেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনেও বিরোধী দল অংশ নেবে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ড. এম. আলাউদ্দিন আহমেদ ও এস এম নূরুন্নবী, মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ স¤পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও আবদুর রহমান, এমপি উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন