ধূমপানে ২০৩০ সাল নাগাদ মুত্যু হবে ৮০ লাখ লোকের

ডেস্ক রিপোর্ট: 
বিশ্বে বর্তমান ধূমপায়ীর হার অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৮০ লাখ লোকের মৃত্যু হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ আবার নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস-২০১৩’ আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়। ‘আমরা ধূমপান নিবারণ করি (আধূনিক)’ ও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত তামাক মুক্ত দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘তামাকের ব্যবহার প্রতিরোধে বিজ্ঞাপন ও স্পন্সরশিপ বন্ধ করতে হবে’।


আলোচনা সভায় আধূনিক’র নির্বাহী সচিব এমএ জব্বার বিশ্ব সংস্থার তথ্য তুলে ধরে বলেন, ‘তামাকে প্রায় ৪ হাজারের বেশি উপাদান থাকে যার মধ্যে ২৫০টি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এরমধ্যে ৫০টির বেশি ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী।

নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে শিশুদের তামাক চাষে ব্যবহার করা হয়। এসব শিশুরা ‘গ্রিন টোব্যাকো’ নামে এক প্রকার জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। এছাড়া তামাক ও তামাকজাত পণ্য ব্যবহারে ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, চুলপড়া, চোখে ছানি পড়া, শ্বাস কষ্ট ও পায়ে পচনসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান বলেন, “তামাক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে তামাকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরার পাশাপাশি তামাক বিরোধী আইনকে কঠোর করতে হবে। যদি তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হয় তাহলে বিজ্ঞাপন ও স্পনসরকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। ”

তামাক কোম্পানির যেকোনো বিজ্ঞাপন ও স্পনসরশিপ বন্ধ, তামাকজাত পদার্থের ওপর উচ্চহারে করারোপসহ গণমাধ্যমকে তামাকের বিজ্ঞাপন না দিতে নিরুৎসাহিত করার দাবি জানান তিনি।

ব্যারিস্টার তানিয়া আমীরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ডা. আবদুস সোবহান গোলাপ, আধূনিক মহাসচিব এ আই ইসলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রফেশনাল ডা. এম মোস্তফা জামান প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে তামাকের ক্ষতিকর দিক নিয়ে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলানিউজ 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন