দেশে এনে বিচার -কামরুল || ভেবে কথা বলুন--দুদু

ডেস্ক রিপোর্ট
লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপির সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে কেন্দ্র করে ফের গরম হতে শুরু করেছে বাংলাদেশের রাজনীতি। বিশেষ করে গত সোমবার লণ্ডনে প্রকাশ্য এক সভায় বক্তৃতা করার পর তাকে নিয়ে ক্ষমতাসীন মহাজোটের মন্ত্রী-নেতারা বেশ কড়া কড়া কথা বলতে শুরু করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার তারেককে ফেরারি আসামি উল্লেখ করে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।  আর দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত কোন দেশে পালিয়ে না থেকে তারেককে দেশে এসে প্রকাশ্যে রাজনীতি করার আহবান জানিয়েছেন।
এর আগে বৃহ¯পতিবার তারেক রহমান বিদেশে বসে বার বার সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, এটা হতে পারে না। তবে এসব বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাবনা চিন্তা করে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যার স¤পর্কে কথা বলছেন, তিনি খুব শিগগিরই বাংলাদেশে আসবেন। এসে নির্বাচন করবেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীও হবেন। তার স¤পর্কে বলতে হলে ভেবে বলুন। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম শুক্রবার দুপুরে জাতীয় গণগ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় তারেককে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। তার লণ্ডন সমাবেশ প্রসঙ্গে কামরুল বলেন, “মানি লন্ডারিং, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা এবং দুর্নীতির অভিযোগে তারেক রহামানকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু তিনি প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে দেশের রাজনীতি নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। আইনের চোখে তারেক রহমান একজন ফেরারি আসামি।কোন ফেরারি আসামি এভাবে কথা বলতে পারে না।” 
একই দিন সকালে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত অপর এক আলোচনা সভায় দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সরকার তারেক রহমানের রাজনৈতিক অধিকার হরণ করবে না। তারেক রহমান অবশ্যই রাজনীতি করবেন। আমরা তার গণতান্ত্রিক অধিকারে বাধা দেবো না। আমরা কারো রাজনৈতিক অধিকার হরণ করতে চাই না। তবে তারেকের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “স্বাধীন দেশে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই রাজনীতি করতে পারবেন। সুরঞ্জিত এও বলেন, “মানি লন্ডারিং মামলায় আÍসমর্পণ করুন। তারপর রাজনীতি করুন। অন্য একটি দেশে পলাতক থেকে নয়, দেশে এসে প্রকাশ্যে রাজনীতি করুন। এর আগে বৃহ¯পতিবার আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেন, তারেক রহমান বিদেশে বসে বার বার সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, এটা হতে পারে না। 
নাসিম বলেন, “আইনের চোখে সংবিধান অনুযায়ী সবাই সমান। একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে চিকিৎসার নামে বিদেশে চলে গেছেন। তিনি সেখানে বসে সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন।” এমন বক্তব্যের জবাবে তারেক রহমানকে ভবিষ্যত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অভিহিত করে তার স¤পর্কে আওয়ামী লীগ নেতাদের ভেবেচিন্তে কথা বলার পরামর্শ দেন দুদু। 
উল্লেখ্য, গত সোমবার লন্ডনে প্রবাসী নেতাদের সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালে বিদেশি রাজনীতিকরা যেন বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেয়, সেজন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তারেক। এক ডজনেরও বেশি মামলা মাথায় নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে লন্ডনে রয়েছেন তিনি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন