কক্সবাজারে কোরবানি গরুর হাটের নানা প্রস্তুতি

এম.আমান উল্লাহ: আসন্ন পবিত্র কোরবানী ঈদ ঈদুল আযাহা আর মাত্র ১০ দিন । ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহাধুমধামে পালন করবেন পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানী ঈদ। এই কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজার জেলা উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। গরুর হাটে চাঁদাবাজী, জাল নোটের ছড়াছড়ি সহ সব ধরনের অপরাধ দমন করতে র‌্যাব, পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। এছাড়াও উপজেলা, ইউনিয়নের স্থায়ী, অস্থায়ী গরু বাজারের তালিকা প্রায় চুড়ান্ত পর্যায়ে বলে জানা গেছে। ইতো মধ্যে গরু বাজার ইজারা দিতে কক্সবাজার জেলার ৪টি পৌরসভা, ৮টি উপজেলা, প্রায় ৭১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪০টি পরিষদ কর্তৃপক্ষ নানা প্রক্রিয়া ইজারা গ্রহীতারা একে অপরের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
তবে, কোরবানী উপলক্ষে কক্সবাজার পৌর সভার নারিকেল বাগান সহ আরো অনন্তত ১০টি স্থানে প্রতিবার অস্থায়ী কিছু হাট ইজারা দেয় হয়। আগামী পহেলা জিলহজ্ব থেকে ১০ জিলহজ্ব (৫ থেকে ১৫ অক্টোবর) পর্যন্ত ১০ দিনের জন্য এবারের অস্থায়ী হাটগুলো বসবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত অস্থায়ী হাট ইজারা প্রদানে কোন দরপত্র আহবান করা হয়নি। চলতি মাসের আগামী সপ্তায় দরপত্র আহবান করার কথা জানিয়েছেন কয়েকটি সুত্র। এ বছরও গোপনে জেলার সব চেয়ে বড় অস্থায়ী গরুর হাট ঝিলংজা নারিকেল বাগানইজারা নেয়ার জন্য তোড়জোর শুরু করেছে কয়েকটি চক্র। নিজেদের মধ্যে ঐক্যমত গড়ে তোলে যে যার এলাকায় অস্থায়ী গরু বাজারের ইজারায় অংশ নিতে একে অপরের সাথে শলা পরামর্শ করতে দেখা যাচ্ছে। জেলার স্থায়ী গরুর বাজারের মধ্যে রয়েছে, চকরিয়া গরুর হাট, ঈদগাও বাজারস্থ গরুর হাট, খরুলিয়া গরুর হাট ও উখিয়া এবং টেকনাফের গরুর হাটে পুরো পুরো প্রস্তুতিনেয়া হচ্ছে। মিয়ানমার, ভারত সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও গরু এনে মজুদ রেখেছে ব্যবসায়ীরা। কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, এবারের গরুর হাট তেমন জমে উঠেনি। গরুও বিক্রি হচ্ছে কম। তবে তাদের আশা আগামী সপ্তাহে পুরোপুরি শুরু হচ্ছে গরু বেচা-কেনা ।

এদিকে,কোরবানি ঈদের বাজারে এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী ভেজাল ও নি¤œমানের মসল্লা, হলুদ, ভোজ্য তেল বাজারজাত করতে নানা পন্থা অবলম্বন করছে। এক শ্রেণীর অধিক মুনাফা খোর ব্যসায়ী নি¤œমানের এসব মসল্লা, তেল বিক্রি করা শুরু করেছে। আদা, রসুন, পেয়াজ, এলাচির দাম দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। কামারের দোকান গুলোতে কাজের ভিড় দেখা যাচ্ছে। কামাররা এখন বিশ্রামে নেই। মুদি মালের দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভীড়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন