১২৯৪ পোশাক কারখানাকে বিজিএমইএ-র সেবা বন্ধ

ডেস্ক রিপোর্ট: 
ভবনের অবকাঠামোগত নকশা ও ওজন সংক্রান্ত তথ্য বিজিএমইতে দেয়ার যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো সাভারের রানা প্লাজা ধসের মতো ভয়াবহ ট্র্যাজেডির পরও  তা মানে নি বিজিএমইএ’র অন্তর্ভূক্ত ১ হাজার ২৯৪ টি কারখানা। এসব কারখানাকে রোববার থেকে সব ধরনের সেবা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে বিজিএমইএ।


বিজিএমইএ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বিজিএমইএ এর ঢাকার ২হাজার ৬ শ’ গার্মেন্ট কারখানার মধ্যে নকশা জমা দিয়েছে মোট ১ হাজার ৮৬৪ টি।
অন্যদিকে চট্টগ্রামে বিজিএমইএ’র ৭০০ কারখানার মোট ১৭০ টি নকশা পাওয়া গেছে। সে হিসাবে নকশা জমা দেয়নি মোট ১ হাজার ২৯৪ টি কারখানা। 

তবে বিজিএমইএ’র ৭৮ শতাংশ মালিক তাদের নকশা জমা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি মো: শহীদুল্লাহ আজীম। তিনি এ পর্যন্ত বিজিএমইএ’তে প্রায় ১ হাজার ৫শ’ এর কাছাকাছি নকশা জমা পড়েছে বলে জানান। তবে এখানে কারখানার সংখ্যা আরো বেশি। 

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এক মালিক বা গ্র“পের একাধিক কারখানা বা ভবন থাকে। সেক্ষেত্রে যারা দিয়েছে একটি ফাইলেই এক গ্র“প বা মালিকের সব নকশা জমা দেয়ায় আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে ৫০ শতাংশের ওপরে কারখানা নকশা জমা দেয়নি। প্রকৃত অবস্থা হলো ৭৮ শতাংশ গার্মেন্ট কারখানার নকশা বিজিএমইএতে জমা পড়েছে। 

এসব কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা সম্পর্কে শহীদুল্লাহ আজীম বলেন, মালিকদের এ ধরনের অবহেলা আমরা মেনে নিইনি। মে মাসের মধ্যে তাদের ভবনের নকশা ও ওজন সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিলো তা যেহেতু তারা দেন নি তাই বিজিএমইএ তাদের সেবা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তবে তারা যদি নকশা জমা দেন তাহলে পুনরায় সেবা দেয়া শুরু করা হবে।

সূত্রে জানা যায়, তবে এখনই তাদের সদস্যপদ বাতিলের কথা ভাবছেন না বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ। তাদের আরো সময় দেয়া হবে। তারপরও  যদি তারা বিজিএমইএ’র নির্দেশনা না মানেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজিএমইএ। 

বিজিএমইএ থেকে জানা যায়, যেসব নকশা জমা পড়েছে তা বিশেষজ্ঞরা দেখবেন। নকশার মাধ্যমে যদি কোনো সমস্যা ধরা পড়ে তাহলে তা সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হলে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

উল্লেখ্য, পোশাক কারখানাগুলোতে যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধানে সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন-বিজিএমইএ। আর দুর্ঘটনা এড়াতে গার্মেন্ট ভবেনগুলোর সার্বিক অবস্থা জানতে বিজিএমইএ এ উদ্যোগ নেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন