এম. রায়হান চৌধুরী
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর গর্জনতলী পরিণত হয়েছে অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত করার নিরাপদ জোনে। নাম শুনলেই ভয়ে অনেকে এখন আতঁকে উঠে।
সড়ক দস্যুতা, পাহাড়ি জায়গা দখল, পকেটমার, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অপরাধিদের বসবাসের নিরাপদ আস্তানার এ গর্জনতলী। স্থানীয় চিঁচকে চোরেরও আস্তানা রয়েছে এখানে। এসব অপরাধীদের ওই এলাকায় ছোটখাট বস্তিও রয়েছে। এসব বস্তিগুলো ঘিরে চলে নানা অপরাধ। দখল বেদখল, মাদক পাচার, নারী ব্যবসা সহ চলে দিন রাত অসামাজিক কার্যকলাপ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেধা কচ্ছপিয়া ন্যাশনাল পার্কের আওতাভুক্ত এই বিশাল ভূমির গাছ ও মাঠি কেটে গড়ে তোলা হচ্ছে বসত বাড়ি। কয়েকটি দল দীর্ঘদিন ধরে এ অপরাধ কর্মে জড়িত রয়েছে। পূর্ব-মধ্যম ও পশ্চিম গর্জনতলীতে অপরাধের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত চলছে মারামারি ও হানাহানি। সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আস্তানা হিসাবে গড়ে উঠা পূর্ব গর্জনতলীতে গত ১৪জুন দিন দুপুরে পুলিশ সোর্সের হাত কেটে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা। কিছুদিন পূর্বে একই এলাকা থেকে অস্ত্রসহ দুই ডাকাতকে আটক করেন স্থানীয় জনতা। ৬জুন গভীর রাতে মধ্য গর্জনতলী পল্লী ডাক্তার জসিমের ঘর ডাকাতি করে সংঘবদ্ধ ডাকাতরা। গত ১১ জুন উত্তর কচ্ছপিয়া সড়কের সিএনজি গাড়ি ডাকাতির ঘটনাও ঘটে। সব মিলিয়ে খুটাখালী গর্জনতলীর আইন শৃংখলা ভেঙ্গে পড়েছে বলে দাবি করেন এলাকাবাসী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার সচেতন মহল জানান, গর্জনতলীতে কিছু সন্ত্রাসী অপরাধের স্বর্গরাজ্য হিসাবে গড়ে তুলেছেন। স্থানীয়দের দাবি বর্তমানে এ বিশাল পাহাড়ি এলাকায় প্রতিনিয়ত অস্ত্রের ঝনঝনানি ও মহড়া চালিয়ে সাধারণ মানুষদের ভীত সন্ত্রস্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে আসছে তারা। এসব সন্ত্রাসীদের মধ্যে কিছু কিছু বর্তমানে জেলে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানায়, ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ন্যাশনাল পার্ক বেষ্টিত গর্জনতলী উপজেলার বিভিন্ন অপরাধে জড়িতরা এখানে আশ্রয় নেয়। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সে দলের ছত্র ছায়ায় এখানে চলে ধর্ষণ, অপহরণ, জবর দখল, ডাকাতি সহ সবধরনের অপরাধ। এসব অপরাধ নির্মূলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এগিয়ে আসবেন কি? এমনটাই প্রশ্ন সচেতন মহলের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন