রমজানে ঈদগাঁও বাজারে মাছের দাম আঁকাশছোয়া

নুরুল আজিমঃ কক্সবাজার সদরের ২য় বৃহত্তম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারের মাছ বাজারে রকমারী প্রজাতির বিভিন্ন রকম মাছের প্রচুর সরবরাহ থাকলেও রমজান মাসের দোহাই দিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট।
ইসলামপুর, জালালাবাদ, পোকখালী, ইসলামাবাদ, চৌফলদন্ডী ও ভারুয়াখালীসহ বৃহত্তর ঈদগাঁও’র ৫/৬টি ইউনিয়ন এমনকি রামু’র ঈদগড় ও পাবর্ত্য বাইশারীর ৩/৪ লক্ষাধিক জনসাধারণের প্রাত্যহিক কেনাকাটার স্থান ঈদগাঁও বাজারে বাজার মনিটরিং টিম সক্রিয় না থাকায় ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটে নিচ্ছে অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা। শনিবার সাপ্তাহিক হাটের দিনে বাজারের মাছবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সামুদ্রিক ও মিঠাপানির মাছ আহরণ ও সরবরাহের কোন প্রকার ঘাটনি থাকায় প্রচুর মাছ উঠেছে। কিন্তু মাছের প্রাচুর্য্য সত্ত্বেও কেবলমাত্র রমজান মাসের চাহিদাকে অযুহাত দেখিয়ে কেজি প্রতি ২০/৩০/৫০ টাকা বেশি হারে দাম হাঁকা হচ্ছে। আর ক্রেতারা বাধ্য হয়ে উচ্চ দামে মাছ কিনে নিচ্ছে। বাজারে উঠা মাছের মধ্যে প্রতি কেজি নাইল্যা মাছ ৬০, বিনি ইছা ৬০, পাঙ্গাস ১০০, কৈপুটি ১২০, জাইল্লা ১২০, তেলাপিয়া ১৪০,কেচকি ১৮০, জাটকা ইলিশ ২০০, ফাইস্যা ২০০, বাইলা ২৫০, মাঝারি সাইজের রুই-কতলা ৩০০, মুছ মাছ (ঘুইজ্জা) ৩২০, তাইল্লা ৩৩০, গুইল্লা ৩৫০, চিংড়ি ৩৬০, বাটা ৩৮০ ও ইলিশ মাছ আঁকার ভেদে ৪০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরফ-লবণ-ফর্মালিন দিয়ে সংরক্ষণ করা ৮/১০ দিন আগের বাসী কালাফইল্লা মাছ বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ টাকায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাজারে আগত ক্রেতারা বাধ্য হচ্ছে এসব মাছ কিনতে। সদরের উপকূলীয় ইউনিয়ন চৌফলদন্ডীর ঘাটঘর সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণাঞ্চলে গভীর সমুদ্র ফেরৎ ফিশিং ট্রলার থেকে প্রতিদিন রকমারী প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ নামলেও ঈদগাঁও বাজার কেন্দ্রীক সিন্ডিকেট এসব মাছ ঈদগাঁওতে এনে উচ্চ মুল্যে বিক্রি করে। ফলে মাছ বেশী মিললেও মাছের দাম বাড়তি থেকে যাচ্ছে। আর গলাকাটা দাম দিয়ে এর খেসারত দিচ্ছে সর্বস্তরের ক্রেতারা। ৭/৮ ইউনিয়নবাসীর প্রত্যহিক কেনাকাটার স্থান ঈদগাঁও বাজারে বাজার মনিটরিং টিম কার্যকর করার জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করেছেন ঈদগাঁওবাসী।