কক্সবাজারে স্থায়ী ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণর দাবিতে মানববন্ধন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : অস্থায়ী নয়, একটি পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামোগত স্থায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম চায়। পর্যটন নগরীকে বদলে দিতে অনেকদিন আগের এমন যৌক্তিক দাবীটি কক্সবাজারবাসীর। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত কাংখিত স্বপ্নের এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণে চলমান নানা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেছে কক্সবাজারের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ২১ জুলাই রোববার সকাল ১১টায়
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস)‘র আয়োজনে ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহযোগিতায় এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক আপন কণ্ঠের মফস্বল সম্পাদক আজাদ মনসুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস.এ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি আহসান সুমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনে দাবী। এ ক্রিকেট স্টেডিয়াম স্থাপিত হলে  শুধু কক্সবাজার নয় জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখবে বেশ গুরুত্ব সহকারে। এমন দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার কক্সবাজার পর্যটন গলফ মাঠে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলেও তা অস্থায়ী ভিত্তিতে করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের এ হটকারী সিদ্ধান্ত কক্সবাজারবাসী কখনোই মেনে নেবে না। আর কক্সবাজারে যদি ক্রিকেট স্টেডিয়াম হয়েই থাকে তবে তা হতে হবে স্থায়ী এবং পরিপূর্ণ। 
বক্তারা আরো বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মানের কথা বলা হলেও কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে তা দীর্ঘদিন আলোর মুখ দেখেনি। স্টেডিয়াম নির্মাণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরও থেমে নেই ওই মহলটি। তারা এখন একটা সময়ের পর বহুল কাঙ্খিত ক্রিকেট স্টেডিয়াম গুড়িয়ে দেয়ার পাঁয়তারাও করছে। 
বর্তমানে গলফ মাঠে স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চললেও অস্থায়ী ভাবে নির্মিত হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর কক্সবাজারের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। সুতরাং কোনভাবেই কক্সবাজারে অস্থায়ী ক্রিকেট স্টেডিয়াম করতে দেয়া হবে না। প্রয়োজনে দুর্বার আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।
কক্সবাজারের তরুণ উদীয়মান একঝাঁক সংবাদকর্মীদের সাথে একমত হয়ে আন্দোলনে মাঠে নেমেছে কক্সবাজারের ক্রীড়ামোদি সব মানুষ। ওই সময় প্রাণের এই দাবীর সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সুজনের জেলা সভাপতি শিক্ষাবিদ আবদুল বারী, কক্সবাজারের সিনিয়র সাংবাদিক আজকের কক্সবাজার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক প্রিয়তোষ পাল পিন্টু, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, দৈনিক কালের কণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার তোফায়েল আহমদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি লোক গবষেক মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জসিম উদ্দীন, সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. আয়াছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দীন, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, এক্সপাউরোলের নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়্ার কানন পাল । 
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে একাত্বতা প্রকাশ করেন, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক দিলওয়ার চৌধুরী, কলামিষ্ট ও গবেষক বিশ্বজিৎ সেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি পীযুষ কান্তি চৌধুরী, কক্সবাজার রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি রাসেল চৌধুরী, কক্স সিটি এফসি’র সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব, কক্সবাজার ফিল্ম সোসাইটির যুগ্ম-আহ্বায়ক সাংবাদিক নজরুল ইসলমা বক্সী, মঙ্গল পার্টির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান জগদিশ বড়–য়া পার্থ, উত্তরা সৃজনশীল সংসদের সভাপতি ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, কক্সবাজার ক্রীড়া সাংবাদিক পরিষদের সভাপতি মোর্শেদুর রহমান খোকন, জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কলিম উল্লাহ, কক্সবাজার ক্রীড়া লেখক সমিতির সহ-সভাপতি ও সুজনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, মহেশখালী ডিগ্রী কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক আমিনুল হক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির রামু শাখার সভাপতি সুরেশ বড়–য়া, জেলা জাসদের দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বাহাদুর, কক্সবাজার লেখক সোসাইটির আহ্বায়ক নুরুল আমিন হেলালী, লেখক ফোরাম জেলা সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মোস্তফা, সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক বলরাম দাশ অনুপম, জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তুহিন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের চিত্রগ্রাহক রোতাব চৌধুরী, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আমানুল হক বাবুল, একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম মিন্টু, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি সুজাউদ্দিন রুবেল, দৈনিক কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার ওমর ফারুক হিরু, সাগরদেশ এর স্টাফ রিপোর্টার নজরুল ইসলাম, দৈনিক হিমছড়ির স্টাফ রিপোর্টার শাহেদ ইমরান মিজান, দৈনন্দিনের স্টাফ রিপোর্টার আরফাতুল মজিদ, আপনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার একে রাসেল চৌধুরী, চিত্রসাংবাদিক মফিজুল ইসলাম মফি, সময়ের আলোর জেলা প্রতিনিধি এম. ফিরোজ উদ্দীন খোকা। এছাড়াও জেলার সর্ব শ্রেণীর পেশাজীবী, ক্রীড়ামোদী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে একাত্বতা প্রকাশ করেন। 
সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ জুলাই গণস্বাক্ষর কর্মসূচী ও ২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদানের ঘোষণা দেয়া হয়। 
প্রসঙ্গত, সরকার সম্প্রতি কক্সবাজার গলফ মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এর ধারাবাহিকতায় কাজও চলছে দ্রুতগতিতে। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তোপের মুখে বিসিবি ঘোষণা দেয় এ স্টেডিয়ামটি অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হবে। ২০১৪ সালের মহিলা ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর স্টেডিয়ামটি গুটিয়ে নিয়ে সেখানে পাঁচতারকা মানের হোটেল নির্মাণ করা হবে।