রামুতে বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে সেনা প্রধান


ডেস্ক রিপোর্ট
কক্সবাজারের রামুতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ কাজ সুষ্ঠুভাবে স¤পন্ন হয়েছে। এসব নির্মিত বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনে এসেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া।
রোববার দুপুরে তিনি রামুতে পৌঁছে প্রথমে রামুর উত্তর মিঠাছড়ি বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে আসেন। এরপর সেনা প্রধান  শ্রীকুল মৈত্রী বিহার, অপর্ণাচরণ বৌদ্ধ বিহার, লাল চিং, সাদা চিং পরিদর্শন শেষে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারে যান। উল্লেখিত বৌদ্ধ বিহারের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি একের পর এক বৌদ্ধ বিহার ঘুরে নিমার্ণ কাজ দেখেন। এসময় তিনি বৌদ্ধ ধর্মীয় প্রতিনিধি এবং সেনা কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করেন। এসময় তিনি আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার সফরে এসে তা উদ্বোধন করবেন বলেন জানান। সেনা প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার পরিদর্শনের সময় অধ্যক্ষ সত্যপ্রিয় মহাথের’র সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এসময় সত্যপ্রিয় মহাথের  ক্ষতিগ্রস্থ বৌদ্ধ বিহারগুলো সেনাবাহিনী কর্তৃক সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্মিত হওয়ায় সেনা প্রধানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া বিহার অধ্যক্ষ সত্যপ্রিয় মহাথের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায়  এসব  বিহার ও বৌদ্ধ পল্লীজুড়ে নতুন আলোয় আলোকিত হওয়ায় তাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।   
বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভুঁইয়া বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনের সময়  চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল সাব্বির আহমদ, মেজর জেনারেল হাবিবুর রহমান খাঁন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের পরিচালক র্ব্রিগেডিয়ার সামশ খান, ৬৫ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার র্ব্রিগেডিয়ার আশরাফুল কাদের চৌধুরী,বিজিবি’র কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোঃ নজরুল ইসলাম, ১৭ ইসিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল জুলফিকার রহমানসহ উধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া এসময় কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুদ হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আবুল কালাম, রামু থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দিন খাঁনও উপস্থিত ছিলেন।  
প্রসঙ্গত: ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উগ্রবাদীরা রামুর বৌদ্ধ বিহার ও পল্লীতে হামলা চালায়। ধ্বংস হয়ে যায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মূল্যবান বুদ্ধের পবিত্র ধাতু ও তাল পাতায় লিখা হাজার বছরের প্রাচীন পবিত্র ত্রিপিটক গ্রন্থ। দুর্বৃত্তরা ১২টি প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির এবং  বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর ২৬টি বসত বাড়ীতে লুটপাট ও পরে আগুন দেয়। এ ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“তি হিসেবে নতুনভাবে বৌদ্ধ বিহার সমুহ নিমার্ণ শুরু করে সেনা বাহিনী। এরই মধ্যে এ ক্ষত চিহ্ন মুছে বৌদ্ধ বিহার ও বসত বাড়ী তৈরীর কাজ শেষ হয়।