জালালাবাদে অসহায় পরিবার প্রভাবশালীর হয়রানী থেকে বাচঁতে চাই

নুরুল আজিম, ঈদগাও
ককসবাজার সদর উপজেলার জালালাবাদের অসহায় পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা অন্যায়, অত্যাচর, নির্যাতন, ঘরবাড়ী ভাংচুরসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা পাচ্ছে না বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানান। 

হয়রানীর শিকার পরিবারের সদস্যরা জানান, সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ লরাবাক এলাকার প্রভাবশালী বদিউল আলম, শেফায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র একই এলাকার প্রবাসী শমসুল আলমের বসতভিটাতে তাদের অংশ রয়েছে দাবী করে পরিবার পরিজনদের নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। এই ব্যাপারে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে উক্ত ঘটনা সমাধান হয়। ইহা প্রভাবশালীদের মনপুত না হওয়ায় তাৎক্ষনিক উক্ত প্রভাবশালী বদিউল আলম তার দলবল নিয়ে প্রবাসীর বসতভিটায় ভাংচুর চালায়। তাদের ঘরের দরজা-জানালা আসবাবপত্র ভাংচুর করে তাদের ১২বছরের স্কুল পড়–য়া ছাত্র ওবাইদুল হককে মারধর করে এবং প্রবাসীর স্ত্রী ও কলেজ পড়–য়া কন্যা মোহছেনাকে জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে দেয়। এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রভাবশালীরা কালকের মধ্যে জায়গা ছাড়িয়ে না দিলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে বীরদর্পে চলে যায়। সেই থেকে প্রতিদিন তাদেরকে অকত্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদর্শন করিতে থাকে। গেল ধান পাকার মৌসুমে প্রবাসীর ১০শতক জমির পাকাধান কাটিয়া নিয়া যায় উক্ত প্রভাবশালীরা। এই ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ করিলে এস.আই. হাসান উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাটা ধান জব্ধ করে এবং বদিউল আলমকে গ্রেফতার করে। উক্ত বদিউল আলম সরকার দলীয় লোক হওয়ায় পুলিশ তাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। সে ছাড়া পেয়ে ক্ষীপ্ত হয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠৈ। ২০/০৬/১৩ইং বিকাল ৩টায় তার দলবল নিয়ে দা-কিরিচ নিয়ে বসতভিটার টিনের ঘেরাবেড়া কাটিয়া, ভাঙ্গিয়া, তছনছ করিয়া ঘরে প্রবেশ করিতে চাইলে প্রবাসীর কলেজপড়–য়া মেয়ে মোহছেনা আকতার এগিয়ে আসলে তাকে মারধর করে গুরুতর আহত করে এবং বসতভিটা ছাড়িয়া দিতে হুমকি ধমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পার্শ্ববর্তী লোকজন মোহছেনাকে উদ্ধার করে ঈদগাও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সদর হাসপতালে রেপার করে। এঘটনায় মডেল থানায় প্রবাীর স্ত্রী শামসুন নাহার এজাহার দায়ের করে। মামলা নং- জি.আর.৪৮৩/১৩। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈদগাও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস.আই. হাসান। এদিকে আসামীরা মামলা করেছে খবর পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। দা-কিরিচ নিয়ে সংঘবদ্ধ চক্র রাস্তায় পাহারা দিচ্ছে। এতে প্রবাসীর কলেজ পড়–য়া মেয়েও স্কুল পড়–য়া ২ ছেলে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রবাসী পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ব্যপারে অসহায় পরিবার প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।