পুলিশের টুকেন বানিজ্য থেমে নেই

কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে চলছে লাইসেন্স বিহীন সহশ্রাধিক যানবহন

উখিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে ও উপ সড়কে চলচে এক হাজারের অধিক লাইসেন্স বিহীন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ড্রাইভারের নিয়ন্ত্রনে টেক্সী, সি.এন.জি, জীপ, ডাম্পার, কক্সলাইন, সীলাইন ও সেন্টমাটিন নামের জানবাহন। যার ফলে এ সড়কে যত্র তত্র গাড়ী চলাচল করাই প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে দূর্ঘটনা। দুই থানার পুলিশের মাসিক
মাশুয়ারার মাধ্যমে এই যানবাহন গুলো চলে পুলিশের লাইসেন্স নিয়ে। যার ফলে একজন যাত্রী মারা গেলে ২৫ হাজার টাকা ও আহত হলে চিকিৎসা সেরে চলে যাওয়া এই হচ্ছে দূর্ঘটনা কবলিত যাত্রীদের ক্ষতি পুরন। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার- টেকনাফ মহাসড়কের উন্নয়ন না হওয়ায় ব্রীজ, কালবাট ও রাস্তার মাঝে ও পাশে গর্তের সৃষ্টি হওয়াই দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, উখিয়ার ও টেকনাফের বিভিন্ন উপ সড়ক ও কক্সবাজার- টেকনাফ মহা সড়কে পুলিশের লাইসেন্স নিয়ে চলছে বেপরোয়া ভাবে সহশ্রাধিক বিভিন্ন যানবাহন। উখিয়া থানার পুলিশের স্ব-ঘোষিত কনেষ্টাবল ক্যাশিয়ার নাম ধারী পুলিশ ও একই ভাবে টেকনাফ থানার ক্যাশিয়ার নামের পুলিশ এর মাধ্যমে ডাম্পার, টেক্সী, সি.এন.জি, কক্সলাইন, সীলাইন, সেন্টমাটিন, নাফ স্পেশাল সার্ভিস, মৌলভী বাজার সার্ভিস, জীপ গাড়ী গুলোর অধিকাংশের ড্রাইভারের লাইসেন্স থাকাতো দুরের কথা বৈধ কাগজ পত্র নেই। এছাড়াও তাদের চালকেরা অপ্রাপ্ত বয়স্ক। যেহেতু চালকদের ও গাড়ীর মালিকদের বৈধ কাগজ পত্র নেই তা হলে গাড়ী গুলো চলাচল করতে হলে অবশ্যই পুলিশের হাতে জীম্মি হতে হবে। এ জন্য উল্লেখিত গাড়ীর মালিকদের এবং ড্রাইভারের মাধ্যমে দুই থানায় পুলিশকে মোটা অংকের উৎকোচ দিতে হয়। না হলে ঐ সমস্ত গাড়ী গুলো পুলিশ ধরে নিয়ে থানায় আটকিয়ে রাখার অনেক নজির রয়েছে। কিছু দিন আগেও উখিয়া থানা পুলিশ সি.এন.জি ও মটর সাইকেল নাম্বার প্লিট না থাকায় আটক করে ছিল। ঐ গাড়ী গুলো উৎকোচের বিনিময়ে চেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে পরের দিন স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় সাংবাদ প্রকাশ হয়ে ছিল। বর্তমানে যেই ভাবে কক্সবাজার টেকনাফ মহাসড়কে বেপরোয়া ভাবে যানবহন চলচে তাতে প্রশাসনের নজর ধারী নেই বললে চলে। যানবাহন চলাচলের বিধি নিষেধ না থাকায় সব চেয়ে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে কলেজ, মাদ্রাসা ও স্কুল পড়–য়া ছাত্র/ ছাত্রীরা। প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল করিম বলেন, উখিয়া- টেকনাফ থানা পুলিশকে টাকা না দিয়ে ঐ সব গাড়ী চলাচল যদি না করত অবৈধ ভাবে ১০/১২ বছরের ছেলে কি ভাবে গাড়ীর চালক হয়। এবং সি.এন.জি ও টেক্সী বৈধ কাগজ পত্র না থাকার পরেও পুলিশ ঐ সব গাড়ী আটকানোর পর কি ভাবে চেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য উখিয়া সার্কেল এ.এস.পি চত্র ধর ত্রিপুরার নিকট যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় গাড়ী থেকে পুলিশের চাঁদা নেওয়ার ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন